বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নাটোর জেলা সংবাদদাতা (দিনাজপুর অফিস) : নাটোর থেকে নিখোঁজ হওয়ার দুইদিন পর দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জ এলাকা থেকে পুলিশ মোঃ আব্দুল্লাহ (২৭), সাব্বির আহমেদ (২২) ও সোহেল রানা (২৫) নামে তিন যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে। মোঃ আব্দুল্লাহ শহরের কানাইখালী এলাকার হাফেজ মাওলানা মোঃ লুৎফর রহমানের ছেলে ও অনলাইন সংবাদপত্র বাংলা টাইমসবিডি ২৪ এর নির্বাহী সম্পাদক রেদোয়ান সাব্বির একই এলাকার মৃত আকরাম হোসেন সোনা মিয়ার ছেলে এবং শহরের কালুর মোড় এলাকার কালু ব্যাপারীর ছেলে সোহেল রানা। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ৩ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার তোকিয়া বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে সাদা পোশাকধারী ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তি তাদের আচমকা মার ধর করে দু’টি হাইএস মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তারা তিনজন নিখোঁজ থাকায় পরিবারের লোকজন পুলিশ ও র্যাবের কাছে জানিয়েও কোন খোঁজ-খবর পায়নি। সাব্বিরের মা রুখসানা বেগম নাটোর সদর থানায় একটি জিডি করেন। সোমবার সকালে পরিবারের কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর আসে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নিখোঁজ তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান জানান, কলাবাড়ী মাদরাসার পাশে এবং পুলিশ বক্সের কাছে এলাকাবাসী তিনটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে এসআই সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করে থানা নিয়ে যান। নিহত তিনজনের মাথাতেই গুলির চিহ্ন রয়েছে। তিনি আরো জানান নিহতদের কাছ থেকে কয়েকটি বিদেশি মদের বোতল, কিছু জামা কাপড় ও ৪টি মোবাইল সেট পাওয়া গেছে। ওই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
নিহত রেদোয়ান সাব্বির নাটোর পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং মোঃ সোহেল রানা যুবলীগ কর্মী বলে দাবি করেছেন নাটোর জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব ও নাটোর পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাড. মোঃ সায়েম হোসেন উজ্জল। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, নিহত মোঃ আব্দুল্লাহ’র নামে কোন মামলা নেই তবে রেদোয়ান সাব্বিরের নামে নাটোর সদর থানায় হত্যাসহ ১২টি এবং সোহেল রানার বিরুদ্ধে ৩টি মামলা আছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টায় নিহত আব্দুল্লাহর পিতা লুৎফর রহমান ও তার সহযোগীরা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে নিহত ৩ জনের লাশ শনাক্ত করেছে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, ওই ৩ জনকে কালো মাইক্রোবাস যোগে কে বা কারা গত ৩ ডিসেম্বর রাতে নাটোরের তয়েকাবাজার এলাকা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরের দিন ৪ ডিসেম্বর এ ঘটনায় নাটোর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে ঘোড়াঘাট এলাকায় তাদের লাশ পাওয়া যায়। তিনি জানান, পুলিশের ধারণা কোন শত্রুতার জের ধরে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। তারা যুবলীগের কর্মী বলে তারা শুনেছেন, তবে তাদের সম্পর্কে পুরোপুরি তথ্য নেয়া হয়নি। তদন্তের মাধ্যমে কি কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিল, কেন তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি জানান, ওই ৩ যুবক নিখোজের বিষয়ে যেহেতু নাটোরে সাধারণ ডায়েরি করা আছে। তাই সেখানেই মামলা হওয়ার কথা। মামলা হলেই হত্যাকা- সম্পর্কে তদন্ত শুরু হবে এবং প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা সম্ভব হবে। এই ঘটনায় ঘোড়াঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।