Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভূঞাপুরে যমুনার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের টাকা পাইয়ে দিতে ঘুষের অভিযোগ

ভূঞাপুর(টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৪:১৬ পিএম

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের সরকারি টাকা পাইয়ে দিতে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের নদীর ভাঙনের শিকার ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় ও দরিদ্র পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষে সরকারিভাবে বরাদ্দ আসা ৫০ হাজার টাকা করে পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ২০ হাজার করে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। দুই ইউপি সদস্য হলো- অর্জুনা ইউনিয়ন বাসুদেবকোল গ্রামের দেলোয়ার হোসেন দিলশাদ ও সংরক্ষিত ইউপি সদস্য নাছিমা বেগম।

সম্প্রতি ঘুষ নেওয়ার ঘটনায় বাসুদেকোল গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ আরশেদ, আব্দুল কদ্দুস ও মাসুদ রানা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের পরে ২৮ আগস্ট স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব বাসুদেবকোল এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থতের উন্মক্ত তালিকা প্রণয়েনে আলোচনা সভা করেন। সভা চলাকালীন সময়ে ঘুষ দেয়া ব্যক্তিরা টাকা ফেরত চেয়ে হট্টগোল সৃষ্টি করে।

ঘুষ দেয়া একাধিক ব্যক্তিরা বলেন- মেম্বার দিলশাদ ও নাছিমা জানান, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থতের আর্থিক সহায়তার জন্য তালিকা হচ্ছে। এতে ৫০ হাজার করে টাকা দেয়া হবে। আপনারা যদি সেই টাকা নিতে চান তাহলে ২০ হাজার করে টাকা দিতে হবে। না দিলে টাকা পাওয়া যাবে না। পরে ৫০ হাজার টাকা পাওয়ার আশায় ধারদেনা করে তাদেরকে টাকা প্রদান করি।

জানা যায়, ২০১৯ সালে উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল চার ইউনিয়নে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ মোট ১ হাজার ৫০৩ জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করেন উপজেলা প্রশাসন। তারমধ্যে গাবসারা ৮৩১, অর্জুনা ৪৮৮, গোবিন্দাসী ১১২, নিকরাইলে ৭২ জনের তালিকা করা হয়। সেই চাহিদা মতে ২০২১ সালে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দ আসে। পরে তালিকার মধ্যে থেকে ৩’শ ৩২ জন ক্ষতিগ্রস্থের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশ আসে। এ খবরে ২০২২ সালের আগস্টে ওই দুই ইউপি সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকায় নাম অন্তভুক্ত করার নামে ঘুষ নেন।

ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন দিলশাদ ও নারী সদস্য নাছিমা ঘুষ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব বলেন, ইউপি সদস্য দিলশাদও নাছিমা বিরুদ্ধে সরকারিভাবে বরাদ্দ আসা আর্থিক সহায়তা পাইয়ে দিতে যে অভিযোগ আসে তার পরিপ্রেক্ষিতে উন্মক্ত তালিকা প্রণোনয়নের আয়োজন করা হয়। তাদের বিষয়ে অনেকের সাথে কথা হয়েছ। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আমার পরিষদকে হেয়পতিপন্ন করার চেষ্টা করছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: ইশরাত জাহান জানান, একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ