Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বজগতের পথ প্রদর্শক হচ্ছে পবিত্র কাবা

খুৎবা পূর্ব বয়ান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পৃথিবীর প্রথম মসজিদ ও ঘর হচ্ছে কাবা ঘর। এটা শুধু মানব-দানব নয় বরং গোটা বিশ^জগতের পথ প্রদর্শক হচ্ছে পবিত্র কাবা। আল্লাহ বলেন, নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্য নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময় (সূরা ইমরান ৩:৯৬)।

গতকাল রাজধানীর মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজমে খুৎবাপূর্ব আলোচনায় খতিব প্রিন্সিপাল মাওলানা খালিদ সাইফুল্লা এসব কথা বলেন। খতিব বলেন, পবিত্র কাবা ঘরের তওয়াফ, আরাফা, মীনা, মুজদালিফায় উপস্থিতি, সাফা-মারওয়ায় সাঈ, মাকামে ইব্রাহিমে সালাত আদায়, হাজারে আসওয়াদ চুম্বন, কোরবানি, জামারায় পাথর নিক্ষেপসহ একগুচ্ছ নেক আমলের যৌগিক ইবাদাতই হচ্ছে হজ। এটা ইসলামে পাঁচটি ভিত্তির একটি। ধনী মুসলমানদের ওপর জীবনে একবার তা আদায় করা ফরজ। আল্লাহ বলেন, এতে রয়েছ মকামে ইব্রাহিমের মত প্রকৃষ্ট নিদর্শন। আর যে, লোক এর ভেতরে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর এ ঘরের হজ করা হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ রয়েছে এ পর্যন্ত পৌঁছার। আর যে লোক তা মানে না। আল্লাহ সারা বিশ্বের কোনো কিছুরই পরোয়া করেন না (সূরা ইমরান ৩:৯৭)।

খতিব বলেন, একজন হাজীকে তালবিয়া পাঠ করতে হয়। লাব্বায়িকা আল্লাহুম্মা লাব্বায়িক, লাব্বায়িকা লা শরীকা লাকা লাব্বায়িকা, ইন্নাল হামদা ওয়াননিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শরীকা লাক। মহান আল্লাহতায়ালার সামনে হাজির হওয়ার মাধ্যমে শিরক মুক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয়া, তাঁর প্রশংসা ও রাজত্বের মালিকানার ঘোষণা দেয়া। এ ইবাদাতটি মূলত মক্কা মুকাররমার সাথে সম্পৃক্ত। এটি এমন ইবাদাত যা এই পবিত্র ভূমির সাথে খাস। হজরত সালেহ ও হুদ (আ.) এ দু’জন নবী ছাড়া পৃথিবীর সকল নবী রাসূলরা এ ভূমিতে হাজির হয়েছেন। হজ আদায় করেছেন। পবিত্র বাইতুল্লাহ তথা হেরেম শরীফে নামায আদায় করলে পৃথিবীর অন্য মসজিদ বা জায়গার তুলনায় এক লক্ষ গুণ বেশি সওয়াব হয়ে থাকে। তিন মসজিদ ছাড়া অন্যকোন মসজিদে অধিক সওয়াবের আশায় সফর করার বিধান নেই। বিশ^নবী জনাবে মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম স্থান হওয়ার কারণে পবিত্র এ ভূমির মর্যাদা শীর্ষ স্থান দখল করেছে। ছোট বড় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার পাহাড় রয়েছে পবিত্র মক্কায়। এর মধ্যে হেরা পর্বত অন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে জিব্রাঈল (আ.) এর মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা তাঁর প্রিয় বান্দা ও রাসূল মুহাম্মদ (সা.) এর উপর কোরআন নাযিল করেছেন। এছাড়া জাবালে সূর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হিজরতের সময় বিশ^নবী (সা.) হজরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.) এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এখানেও পবিত্র কোরআনের আয়াত নাযিল হয়েছে। প্রিয় নবী (সা.) এর বিশেষ মুয়জিযা প্রকাশ পেয়েছে।

রাসূল (সা.) এবং ইসলামের বিশাল ইতিহাস এ নগরীর সাথে সম্পৃক্ত। এ নগরী ছাড়া দ্বীন ইসলামকে কল্পনাও করা যায় না। বিধায় এর প্রতিটি পাহাড়-পর্বত, ধূলিকণা, ময়দান, ইমারাত বিশেষ করে পবিত্র কাবার টানে ছুটে চলে মুমিন মুসলমান দলে দলে এবং মহান আল্লাহর রহমত ও বরকত অর্জন করে ধন্য হয়। হিজরতের মহান ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা মদীনাতুল মুনাওয়ারার মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়েছেন। এ জায়গায় হিজরতে জন্য তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছেন। পবিত্র কোরআনে এসেছে, আরও বলুন: পালনকর্তা, আমাকে কল্যাণকর ভাবে নামিয়ে দাও, তুমি শ্রেষ্ঠ অবতারণকারী (সূরা মু’মিনুন ২৩:২৯)। সূরা আহযাব : ৬০, মুনাফিকুন : ০৮, তওবা : ১০১, ১২০ মোট ৪টি আয়াত ও অসংখ্য হাদিসে মদীনার নাম সরাসরি উল্লেখ আছে। স্বয়ং আল্লাহতায়ালা নিজে এর নামকরণ করেছেন।

প্রিয় নবী (সা.) এর রওজা মুবারকের যেখানে তিনি শায়িত আছেন সে জায়গাটুকুর মর্যাদা পবিত্র কাবার থেকেও বেশি। পৃথিবীর সকল ওলামায়ে কেরাম এ বিষয়ে একমত। পবিত্র কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ সূরা ও আয়াতগুলো এ ভূমিতেই অবতীর্ণ হয়েছে। এখানে নবী (সা.) এর প্রতিষ্ঠিত মসজিদে নববী রয়েছে। যেখানে নামাজ আদায় করলে অন্য মসজিদের তুলনায় এক হাজার গুণ বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। রাসূল (সা.) এর রওযা ও মেম্বরের মধ্যে জায়গাটুকু জান্নাতের অংশ। এ মদীনা নবী (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের খেলাফত পরিচালনার রাজধানী ছিল। সারা বিশে^ যখন ইসলাম থাকবে না তখন সাপ যে রকম গর্তে প্রবেশ করে ইসলাম কিয়ামতের পূর্বে মদীনায় ফিরে যাবে। আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই ঈমান মদীনার দিকে ফিরে আসবে, যেমনিভাবে সাপ তার গর্তে ফিরে আসে, (সহীহ বুখারী)। মদীনায় মহামারি ও দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না। রাসূল (সা.) বলেন, ‘মদীনার প্রবেশ দ্বারসমূহে ফেরেশতারা প্রহরায় নিযুক্ত আছেন, এতে মহামারি ও দাজ্জাল প্রবেশ করতে পারবে না, (সহীহ মুসলিম)।

পবিত্র এ ভূমিতে মসজিদে কোবা, মসজিদে কিবলাতইনসহ রাসূল (সা.) এর স্মৃতিধন্য অসংখ্য মসজিদ রয়েছে। রয়েছে ওহুদ, বদর, খন্দকসহ অসংখ্য যুদ্ধের স্মৃতি। রয়েছে নবী (সা.) এর হাতের স্পর্শে বরকতপূর্ণ স্থান। সাহাবী, নবী পত্নীদের পুণ্যময় স্মৃতি ও বরকত। রয়েছে জান্নাতুল বাকি, যেখানে অসংখ্য সাহাবী ওলীদের পবিত্র কবর। যা যিয়ারতের মাধ্যমে রূহানী দোয়া হাসিল করে থাকে কোটি কোটি মুমিন মুসলমান। বিশেষ করে নবী (সা.) এর রওজা পাকে সালাম প্রদান ও জিয়ারত। হাদীসে এসেছে নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার কবর যিয়ারত করল, তার ওপর আমার সুপারিশ ওয়াজিব হলো (বায়হাকি)। দুনিয়া আখিরাতের মুক্তির জন্য পবিত্র মক্কা মদীনায় যাওয়া মুসলমানদের জন্য একান্ত কর্তব্য।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন গতকাল জুমার বয়ানে বলেন, মাদকের ছোবল থেকে সমাজকে বাঁচাতে হলে প্রত্যেক পিতা মাতাকেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক ছাত্রছাত্রী মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়ে। পিতামাতার দায়িত্ব তার সন্তান কোথায় যায় কী করে ভালোভাবে খেয়াল রাখা। প্রত্যেক মানুষ রাষ্ট্র ও সমাজের কাছে দায়বদ্ধ। মানুষ সচেতন না হলে তার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে অগ্রসর হবে। খতিব বরেন, পরিবারকে সময় দেয়া নেকির কাজ। প্রতিবেশিরা যাতে কষ্ট না পান সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রত্যেক মানুষকেই দায়িত্ব পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। খতিব বলেন, আল্লাহর ঘর জিয়ারতে যাওয়ার আগে ওই ঘরের মালিকের সার্থে সর্ম্পক গড়তে হবে। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন কেবল তারই ইবাদত বন্দেগির জন্য। তিনি বলেন, বাংলা ভাষায় কথা বলতে অনেক সন্তানরা লজ্জাবোধ করে। সারাক্ষণ কার্টুন দেখে সন্তানরা হিন্দি ভাষায় পারদর্শী হচ্ছে। অনেকেই ইংরেজিতে কথা বলাকে মর্যাদাশীল মনে করেন। তা’হলে ভাষার জন্য এতো ত্যাগ স্বীকার আমরা কেন করলাম? তিনি বলেন, দুনিয়া চিরসুখের জায়গা না। মহান আল্লাহর হুকুম আহকাম সম্পর্কে আমরা অনেক গাফেল। শরীয়তের দৃষ্টিতে যেভাবে উপার্জন করতে বলা হয়েছে, সেভাবেই করতে হবে এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রেও কোনো হেরফের করা যাবে না।

ঢাকার শেওড়াপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতী সিফাতুল্লাহ রহমানি জুমার বয়ানে বলেন, মানব জাতির প্রথম মানব হজরত আদম (আ.) এবং প্রথম মানবী হজরত হাওয়া (আ.)। তারা উভয়ে জান্নাতে বসবাস করতে ছিলেন। মহান আল্লাহ তাদের একটি নির্দিষ্ট গাছের ফল খাওয়ার জন্য, তার কাছে যেতে নিষেধ করেছিলেন। ইবলিস জান্নাতের বাইর থেকে প্ররোচণা দিয়ে আদম এবং হাওয়া (আ.) সেই গাছের ফল খেতে বাধ্য করেছিল। এর পরিণতিতে আদম ও হাওয়া (আ.) এর জান্নাতি পোশাক খুলে গিয়ে তারা উলঙ্গ হয়ে গিয়েছিলেন। অতঃপর তারা গাছের পাতা দ্বারা গুপ্তাঙ্গ ঢাকতে শুরু করলেন। পবিত্র কোরআনের এই ঘটনা দ্বারা একথা প্রতীয়মান হয়েছে যে, মানুষকে উলঙ্গ বা অর্ধউলঙ্গ করে রাখা এটি ইবলিস বাহিনীর অন্যতম কাজ। বর্তমান যুগেও ইবলিস তার শিষ্য বর্গের মাধ্যমে মানুষকে পথভ্রষ্ট করার ইচ্ছায় আধুনিকতার নামে উলঙ্গ বা অর্ধউলঙ্গ করে পথে নামিয়ে দিতে চায়। ইবলিস বাহিনী বিশেষ করে স্বাধীনতার নামে নারী জাতিকে লজ্জা শরম থেকে বঞ্চিত করে ভোগবিলাসের পণ্য বানিয়ে দিতে চায়। অথচ নারী-পুরুষ উভয়ই মহান আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠ মাখলুক। তাই আল্লাহতায়ালা মানব জাতির গুপ্তাঙ্গ এবং দেহের অন্য অংশকে ঢেকে রাখার জন্য পোশাক সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছেÑ ‘হে আদমসন্তান! আমি তোমাদের জন্যে পোশাক সৃষ্টি করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান ঢেকে রাখবে এবং সাজসজ্জার পোশাক এবং পরহেজগারির পোশাক সৃষ্টি করেছি। এটি সর্বোত্তম। এটি আল্লাহর কুদরতের অন্যতম নিদর্শন।’ (সূরা আ’রাফ, আয়াত ২৬)।

বিশিষ্ট সাহাবি হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) তাফসির অনুযায়ী তাকওয়ার পোশাক বলে সৎ কর্ম ও আল্লাহভীতিকে বোঝানো হয়েছে। এটি মানুষকে উন্নত চরিত্রের অধিকারী বানায়। যেহেতু পোশাক দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মানুষের দেহকে ঢেকে রাখা তাই এমন পাতলা পোশাক নারী পুরুষ কারো জন্যই বৈধ হবে না। যা পরিধান করলে মানব দেহের আকৃতি এবং রঙ অন্য লোকেরা বুঝতে পারে।

উমর বিন আবু সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত : তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘দুই প্রকার জাহান্নামী লোক আমি (এখন পর্যন্ত) প্রত্যক্ষ করিনি (অর্থাৎ পরে তাদের আবির্ভাব ঘটবে) : প্রথম শ্রেণির মানুষ হবে এমন এক সম্প্রদায় যাদের কাছে গরুর লেজের মতো চাবুক থাকবে, যা দিয়ে তারা জনগণকে প্রহার করবে। দ্বিতীয়ত এমন একশ্রেণির মহিলা, যারা (এমন নগ্ন) পোশাক পরবে যে, (বাস্তবে) উলঙ্গ থাকবে, (পর পুরুষকে) নিজেদের প্রতি আকর্ষণ করবে ও নিজেরাও (পর পুরুষের প্রতি) আকৃষ্ট হবে। তাদের মাথা হবে উটের হেলে যাওয়া কুঁজের মতো। এ ধরনের মহিলারা জান্নাতে প্রবেশ করবে না এবং তার সুগন্ধও পাবে না। অথচ জান্নাতের সুগন্ধ এত এত দূরত্বের পথ থেকে পাওয়া যাবে।’ (মুসলিম ২১২৮, আহমাদ ৮৪৫১, ৯৩৩৮৮) আল্লাহতায়ালা গোটা মানবজাতিকে ভদ্র ও শালীন পোশাক পরিধান করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেন, ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। জীবনের সব ক্ষেত্রে ইসলামের যেমন দিকনির্দেশনা রয়েছে। ঠিক তেমনই পোশাকের ব্যাপারেও ইসলামী শরীয়তে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা আছে। পোশাক আল্লাহতায়ালার দেয়া নেয়ামত। সৃষ্টিগতভাবেই এই পোশাক মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর অন্যতম। লজ্জাস্থান আবৃত রাখা এবং সুন্দর পরিপাটি থাকার চাহিদা মানুষের স্বভাবজাত। ধুলোবালি এবং শীত ও গরমের প্রকোপ থেকে বাঁচতে পোশাক একটি প্রয়োজনীদয় অনুসঙ্গ। এজন্যই মানুষের বিরুদ্ধে শয়তানের প্রথম আক্রমণ হয়েছিল পোশাকের ওপর। ফলশ্রুতিতে আমাদের আদি পিতা আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.)-এর পোশাক খসে পড়েছিল। আজও শয়তান মানুষকে পথভ্রষ্ট করার ইচ্ছায় সভ্যতার নামে সর্বপ্রথম তাকে উলঙ্গ বা অর্ধউলঙ্গ করে রাস্তায় নামিয়ে দেয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, হে আদম সস্তান! আমি তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করে। আরও অবতীর্ণ করেছি, সাজসজ্জার উপকরণ। জেনে রাখ, তাকওয়ার যে পোশাক সেটাই সর্বোত্তম। এসব আল্লাহর নির্দেশনাবলির অন্যতম। যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে। (সূরা আরাফ: ২৬)। এই আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফাসসির ফকীহগণ বলেন, ঈমানের পর মানুষের ওপর সর্বপ্রথম গুপ্তাঙ্গ আবৃত রাখা ফরজ। নামায, রোজা ইত্যাদি সবই এর পরবর্তী করণীয়। আয়াতের মধ্যকার ‘লিবাসুত তাকওয়া’ এর ব্যাখ্যায় হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, তাকওয়ার পোশাক বলে সৎকর্ম এবং খোদাভীরুতাকে বোঝানো হয়েছে। (রুহুল মায়ানী)। সাদা পোশাক হলো উত্তম পোশাক। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমরা সাদা কাপড় পরিধান কর। কেননা, তা তোমাদের উত্তম কাপড়ের অন্যতম আর তাতেই তোমাদের মৃতদের কাফন দাও। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৪০৫৫)। মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের আমল করার তৌফিক দান করেনÑ আমীন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুৎবা পূর্ব বয়ান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ