Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

লৌহজংয়ে পারিবারিক দন্দের জেরে বাড়িঘর ভাংচুর স্বর্ণ অলংকার লুট

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১০:২৬ পিএম

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পারিবারিক ও জমি সংক্রান্তের জেরে ধরে বসতঘর ও আসবাবপত্র ভাংচুর স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার গাওদিয়া ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লৌহজং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, নুরপুর গ্রামের জমেলা খাতুন ও স্বামী মৃত ইমান বক্স বেপারীর জমি ও বাড়িঘর ছেলেরা তার বাবার সম্পদ ও তাদের মায়ের সম্পদের ভাগাভাগি নিয়ে দন্দ চলে আসছে।
ভুক্তভোগী তাদের মা জমেলা খাতুন (৫৫) জানান, আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমি ঘটকালি করে এবং সন্তান ডেলিভারির কাজ করে এই সম্পদ করছি। আমার ছেলে রাসেল আমাকে খাওয়া খরচ দেয়না। আমার এই সম্পদ নেয়ার জন্য আমাকে ৫/৬ বার মারধোর করছে আমি চেয়ারম্যানের শহিদ ফকিরের কাছে বার বার বিচার দিয়েও বিচার পাইনি কারন আমার ওই ছেলে চেয়ারম্যানের দোকানে কাজ করে তাই আমার ছেলের বিচার করেনা। আমার স্বামীর সম্পদ আমার ছেলে মেয়েরা ভাগ করে নিয়ে যাক আমার সমস্য নাই কিন্তু আমার নিজের নামের জমি আমি জীবিত থাকতে জোর করে আমার থেকে লিখে নেয়ার জন্য মারধোর করছে। আজ দুপুরে আমার ছেলে রাসেল ঘরে ভাংচুর চালিয়ে আমার আলমারী থেকে সাড়ে ৮ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে আমি অন্য বাড়ি পালিয়েছি বলে ঐ বাড়িতেও ভাংচুর চালিয়েছে। তিনি আরোও জানান চেয়ারম্যান মেম্বরের কাছে বিচার চাইতে গেলে তারা বলেন জমি তোমার ছেলেদেরকে লিখে দাও আর যদি না দাও তাহলে গ্রামে থাকতে পারবা না। চেয়ারম্যানের কাছে বিচার পাবো না তাই আমি জীবনের নিরাপত্তার জন্য থানায় জিডি করছি।
স্থানীয় মো. স্বপন হোসেন জানান রাসেল হামলা করবো বলে রাসেলের মা আমার বাড়িতে আস্রয় নেয়,রাসেল যান্তে পেরে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে এবং আমার ছোট ভাইয়ের বৌ’য়ের কাছ থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে রাসেল।
এ বিষয়ে গাওদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম ফকির জানান, তাদের সাথে কথা হয়েছে এই পারিবারিক বিষয় আগামী শুক্রবার মা ছেলেদের মধ্য মীমাংসা করে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে লৌহজং থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, আমরা ঘটনাস্থলে টিম পাঠিয়েছিলাম এখানে মা ছেলের মধ্য ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এবিষয়ে অভিযোগ দিতে বলেছি অভিযোগ দিলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাঙচুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ