মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, তিনি জেলে গেলে আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠবেন। ইসলামাবাদ হাইকোর্টে নারী বিচারপতিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি চলছে। আদালতে আসার সময় সাংবাদিকরা আবারও ইমরান খানকে প্রশ্নবোমা বর্ষণ করেছেন।
সাংবাদিক ইমরান খানকে প্রশ্ন করেন যে, সরকার তাকে গ্রেফতার করার পরিকল্পনা করছে কি না। জবাবে পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন যে, আমি জেলে গিয়ে আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠব।
ইমরান খানকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইবেন কিনা, জবাবে তিনি বলেন, ক্ষমা চাওয়ার আগে আমি আপনার কাছ থেকে এনওসি নেব, আপনার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনুল্লার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ মামলাটির শুনানি করছে।
শুনানি শুরু হলে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনুল্লাহ বলেন, এ তিনটি আদালতের সিদ্ধান্ত উল্লেখ করার উদ্দেশ্য, একটি হল দেওয়ানি আদালত অবমাননা, দ্বিতীয়টি হল বিচার বিভাগীয় অবমাননা এবং তৃতীয়টি হল ফৌজদারি আদালত অবমাননা। ফিরদৌস আশিক আওয়ান আদালতের সংযোজন। হ্যাঁ, এটি বিচারাধীন মামলার সাথে সম্পর্কিত আদালত অবমাননার অপরাধ।
পিটিআই চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আমি আপনার উত্তরটি বিস্তারিতভাবে পড়েছি, আদালত অবমাননার প্রকারভেদ নিয়ে রায়ে রেফারেন্স দেয়া হয়েছে, আমরা সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে আবদ্ধ। সুপ্রিম কোর্টের বনাম আর্দাশের কৌজি মামলা, ৯৬ নং অনুচ্ছেদ পড়–ন, রায়ে আদালত অবমাননার ধরনগুলোর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে আবদ্ধ।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেছেন, সমাজে এত মেরুকরণ হয়েছে যে, অনুগামীরা প্রকাশ্যে বিরোধীদের অসম্মান করে, এ বিচারকের সঙ্গে যদি এমন হয়, তাহলে কী হবে? আইনজীবী আন্দোলনের ফল আমরা পাইনি, অধঃস্তন বিচার বিভাগ এ আদালতের রেড লাইন, আমরা আগেই বলেছি বিচার বিভাগ ও জেলা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা লাল রেখা, আপনি আপনার উত্তরে ন্যায়সঙ্গত করার চেষ্টা করেছেন।
ইমরান খানের আইনজীবী বলেন, তিনি যুক্তি দেখাননি, বরং ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। ইসলামাবাদের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনুল্লাহ বলেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কি জ্ঞানের অভাবের অজুহাত দিতে পারেন? অপরাধ খুবই গুরুতর, যা বোঝা যায় না, আমাদের শুধু আইনের দিকে তাকাতে হয়, আমরা বুঝতে পারি সে কারণেই আমরা উত্তরে সেসব কথা লিখেছি, আপনি নিজেই বলুন আপনার উত্তর সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সঠিক কিনা? সূত্র : জং অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।