Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রিটেনের ইতিহাসে এই প্রথম মন্ত্রিসভার শীর্ষ চার পদেই অশ্বেতাঙ্গরা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:৩৯ পিএম

যে ‘হোয়াইট সুপ্রিমেসি’ বা শেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য একসময় বিশ্বজুড়ে অভিযান চালিয়েছিল ব্রিটিশরা। সেই ব্রিটেনেই এবার মন্ত্রিসভার শীর্ষ পদ থেকে বাদ গেল শেতাঙ্গরা। যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের গঠিত মন্ত্রিসভার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি পদের একটিতেও এই প্রথমবারের মতো কোনো শ্বেতাঙ্গ নেই।

নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে নিজের প্রতি অনুগতদেরকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ট্রাস। দেশটির প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি কোয়াসি কোয়ার্টেংকে নিয়োগ দিয়েছেন। কোয়ার্টেংয়ের পরিবার ১৯৬০-র দশকে ঘানা থেকে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। আরেক কৃষ্ণাঙ্গ জেমস ক্লেভারলিকে করেছেন নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ক্লেভারলির মা সিয়েরা লিওন থেকে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন আর তার বাবা শ্বেতাঙ্গ ছিলেন। মিশ্র জাতির শিশু হিসেবে তিনি নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন বলে আগে জানিয়েছিলেন ক্লেভারলি। ব্রিটেনের কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টিকে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানকে নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ব্র্যাভারম্যানের বাবা ও মা ছয় দশক আগে কেনিয়া ও মরিশাস থেকে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। প্রীতি প্যাটেলের পর তিনি ব্রিটেনের দ্বিতীয় জাতিগত সংখ্যালঘু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন। যুক্তরাজ্যের পুলিশ ও অভিবাসন বিভাগের কর্তৃত্ব ব্র্যাভারম্যানের হাতে থাকবে। ট্রাসের মন্ত্রিসভায় বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ নারী কামি বেইডেনক। তারা বাবা-মা নাইজেরিয়া থেকে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় ট্রাসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছিলেন।

গত কয়েক বছর ধরে ব্রিটিশ কনজারভেটিভ পার্টি পার্লামেন্টের প্রার্থী হিসেবে অশ্বেতাঙ্গদেরও মনোনয়ন দেয়া শুরু করে আর তাতেই এ বৈচিত্র দেখা দিয়েছে। কয়েক দশক আগেও ব্রিটিশ সরকারে শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের আধিপত্য ছিল। ২০০২ সালে প্রথম জাতিগত সংখ্যালঘুদের থেকে পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান পল বোয়েটাং। তিনি দেশটির অর্থমন্ত্রী ছিলেন। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বের দৌঁড়ে লিজ ট্রাসের সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলা ঋষি সুনাক ভারতীয় বংশোদ্ভূত। নেতৃত্বের দৌঁড়ে তিনি ট্রাসের কাছে হেরে গেলেও রানার আপ হন। এর আগে সুনাক যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।

তবে তারপরও ব্রিটেনের ব্যবসা, বিচার বিভাগ, সরকারি চাকরি ও সেনাবাহিনীতে শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্য বজায় আছে। কনজারভেটিভ পার্টি বৈচিত্র্যের ওপর জোর দিলেও দলটির পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে মাত্র এক চতুর্থাংশ নারী এবং ৬ শতাংশ জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু। সূত্র: ইউকে মেট্রো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুক্তরাজ্যে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ