Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বিএনপির কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

দেশব্যাপী বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ওপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হামলা এবং গুলির প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির র‌্যালীতে নেতাকর্মীদের ওপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হামলা এবং পুলিশ গুলি চালিয়ে মহানগর যুবদল নেতা মো. শাওনকে হত্যাসহ বহু নেতাকর্মীকে গুলিবিদ্ধ করে আহত করে। এতে পুলিশের গুলিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আক্তার হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন মসু, সোনারগাঁও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন, পিয়ার হোসেন, দুপ্তারা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রমজান হোসেন, কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল সাত্তার, আড়াইহাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ওমর ফারুকসহ অনেক নেতাকর্মী আহত হয়।
এছাড়া বিএনপি’র ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি পালনকালে গতকাল রংপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আক্তারুজ্জামান তিতু, গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আমিনুল ইসলাম রঞ্জু, নেত্রকোণা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মো. মুশফিকুর রহমান কনক, মো. শাহীন কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কাউসার হোসেন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ফায়সাল আহমেদ, মেদনী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুল খালেক ও চল্লিশা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. মানিক মিয়াসহ বহু নেতাকর্মী পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হয়। এসব ন্যাক্কারজনক, বর্বরোচিত, নৃশংস ও পৈশাচিক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, গায়ের জোরে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের মাত্রা এখন সীমাহীন পর্যায়ে। সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে ধ্বংস করতে এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মানুষের রক্তে হাত রঞ্জিত করার নেশা আওয়ামী সরকারকে পেয়ে বসেছে। বিএনপির প্রতিটিতে কর্মসূচিতে ব্যাপক জনসমাগম দেখে আওয়ামী সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে প্রতিবাদী মানুষকে কাবু করতে চাইছে, এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষ যেন সরকারের বিরুদ্ধে টু শব্দ উচ্চারণ করতে না পারে। গতকাল নারায়ণগঞ্জ, রংপুর ও নেত্রকোণায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দকে পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ও নৃশংসভাবে গুলি করে আহত করার ঘটনায় নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শান্তিপূর্ণ র‌্যালীতে নারায়ণগঞ্জে পুলিশ বেপরোয়া গুলি চালিয়ে মহানগর যুবদল নেতা মো. শাওনকে নৃশংসভাবে হত্যা করাসহ দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের ওপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও তাদেরকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো-বর্তমান স্বৈরশাহী দেশে বিএনপিসহ সকল বিরোধী দলের নাম-নিশানা মুছে ফেলতে চায়। তবে জনগণ তাদের এই আশা কোনদিনই পূরণ হতে দেবে না। আওয়ামী সরকারের পতন ঘটাতে মানুষ এখন রাস্তায় নামতে শুরু করেছে।
এদিকে, ঢাকা মহানগর উত্তর রুপনগর থানাধীন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে আসার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালায় এবং বিএনপি নেতা রিপন এবং সোহেল রানাকে আহত অবস্থায় গ্রেফতার করে পুলিশ। হামলায় আরও আহত হয়েছে বিএনপি নেতা জাহিদুল, কফিল উদ্দিন, মানিক, তাজিমুন মনির ও জাকিরসহ অনেক নেতাকর্মী। এই ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সাবেক এমপি, সাবেক মন্ত্রী, ডাকসু’র সাবেক ভিপি ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ আমান এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, প্রতিহিংসাপরায়ণ বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার তাদের আজ্ঞাবহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির ওপর নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদেরকে গুরুতর আহত করে। নারায়ণগঞ্জে যুবদল নেতা মো. শাওনকে গুলি চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগর উত্তর রুপনগর থানাধীন ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে আসার সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালায় এবং বিএনপি নেতা রিপন এবং সোহেল রানাকে আহত অবস্থায় গ্রেফতারসহ বিএনপি নেতা জাহিদুল, কফিল উদ্দিন, মানিক, তাজিমুন মনির ও জাকিরসহ অনেক নেতাকর্মীকে আহত করে। সরকার এসব অপকর্মের মাধ্যমে নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করতে এখন সীমাহীন হিংস্ররুপ ধারণ করেছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর এধরণের নিপীড়ণ ও জুলুম নিঃসন্দেহে দেশের জন্য ভয়াবহ অশনি সঙ্কেত। তবে সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণের অবসান ঘটাতে জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ