মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তাইওয়ানের কাছে ১১০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য কংগ্রেসের কাছে অনুমতি চাইবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্পুটনিক নিউজ এজেন্সির বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এসব অস্ত্রের মধ্যে ৬০টি অ্যান্টি শিপ মিসাইলস এবং ১০০ টি এয়ার টু এয়ার মিসাইল রয়েছে।
মার্কিন প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাইওয়ানের কাছে বিক্রি করতে যাওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৬০ এজিএম-৮৪ এল হারপন ব্লক-২ মিসাইল যার মূল্য ৩৫৫ মিলিয়ন ডলার, ১০০ এআইএত-৯এক্স ব্লক ২ সাইডউইডার কৌশলগত এয়ার টু এয়ার মিসাইল যার মূল্য ৮৫.৬ মিলিয়ন ডলার এবং ৬৫৫ ডলার মূল্যের নজরদারি রাডার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ফাইটার জেট এফ-১৬ বিমান দিয়ে এই সাইডউইডার মিসাইল ছোড়া হয়।
স্বশাসিত দ্বীপ অঞ্চল তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ড বলে দাবি করে বেইজিং। কিন্তু তাইওয়ান প্রশাসন বেইজিংয়ের এ দাবি মানতে নারাজ। অন্যদিকে মার্কিন সরকার চীনকে চাপে রাখতে তাওয়ানকে সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরের পর তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। প্রতিক্রিয়া হিসেবে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়াও চালায় বেইজিং। সেই উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘোষণায় তাইওয়ানের ওপর চীন আরও কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন মুখপাত্র। এদিকে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দুটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তাইওয়ানের কাছে বাইডেন যে অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাবনা দিয়েছে তা দ্রুতই অনুমোদন দিবে দেশটির বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটি।
বাইডেন প্রশাসন এ অস্ত্র প্যাকেজের আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এসব অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার আগে এতে কংগ্রেসের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক সিনেট কমিটি এবং প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। আশা করা হচ্ছে, কংগ্রেস সদস্যরা তাইওয়ানে এ অস্ত্র বিক্রি অনুমোদন করবেন। তবে তা হতে আগামী কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাস লেগে যেতে পারে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ এক বিবৃতিতে বলেন, তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি এমন সব কার্যক্রমও বন্ধ করতে হবে, যার কারণে তাইওয়ান প্রণালির আশপাশে সামরিক উত্তেজনা বেড়ে যায়।
চীনা মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যাই করুক চীন তার স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।