বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে বাস ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বাস ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ৫ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। দূরপাল্লার গণপরিবহনে কিলোমিটার প্রতি ২ টাকা ১৫ পয়সা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে ২ টাকা ৪৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বনিম্ন বাস ভাড়া ১০ টাকা আর মিনিবাসে ৮ টাকা করা হয়েছে।
গত বুধবার (৩১ আগস্ট) বনানীর বিআরটিএ সদর কার্যালয়ে বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। এসময় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা তার সঙ্গে ছিলেন। নতুন এই ভাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) থেকেই কার্যকর হয়েছে। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা। এখনো সোস্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ জানাচ্ছে সাধারণ জনগণ।
বিডিজি.কম নামে একজন লিখেছেন, নাটকের একটা সীমা থাকার দরকার ছিল। এক রাতে ৫০% বাড়িয়ে দিয়ে এক মাস পরে ৫ টাকা কমিয়ে দেওয়া এর চেয়ে বড় কোনো নাটক হতে পারে না। এ রকম নাটকের জন্য সরকার এবং তার সহযোগীদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া দরকার।
লাকি ভাই নামে একজন লিখেছেন, ৫ পয়সা কি আছে? কেউ ৫ পয়সা দেখেছেন?
আরমান মুন্না নামে একজন লিখেছেন, সাধারণ মানুষের দুর্দশা নিয়ে তামাশা চলছে। খুবই দুঃখজনক পরিস্থিতি।
সালেহ একন নামে একজন লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। বাস ভাড়া প্রতিকিলোমিটারে ৫ পয়সা কমেছে। যারা কমিয়েছে সবাই তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। দয়া করে কেউ হাহা হিহি করবেন না।
আতিক গাজিপুর নামে একজন লিখেছেন, ইতরামি ছাড়া কিছু না। কেউ আর ভাড়া কমাবে না।
ইমন শেখ নামে একজন লিখেছেন, দেশে কি নাটক শুরু হলো। দাম বৃদ্ধি পায় দশগুণ কমে একগুণ। জনগণের সাথে ফাজলামির একটা লিমিট থাকা দরকার।
মো. বাহার উদ্দিন নামে একজন লিখেছেন, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন ৫ পয়সা দিয়া কি করা যায়?
মনির হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, ৫ পয়সা কমানো এর চেয়ে বড় হাস্যকর কি হতে পারে। ধারাবাহিক নাটকে সবাইকে স্বাগতম।
জগলুল আইয়ুব নামে একজন লিখেছেন, সবাই আনন্দ মিছিল বের করুন। এটা এখনো গিনিস বুকে লেখা হয়নি। শেষ চান্স, আর জায়গা নেই।
মিজানুর রহমান নামে একজন লিখেছেন, পুরাপুরি জনগণের সাথে একটা ফাজলামি ছাড়া আর কিছুই নয়।
আমিন ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, যে দেশে এক টাকার কয়েন নিতে চায় না কোনো দোকানদার, সে দেশে পাচ পয়সা কামানো এটা তামাশা ছাড়া কিছুই না। এর জবাব জনগণ একদিন ঠিকই দিবে।
মো. রিয়াদ জমাদ্দার নামে একজন লিখেছেন, সরকার ও পরিবহন নেতারা জনগণের সাথে তামাশা করছেন এই আর কি! জনধিকৃত সরকারের তামাশার যেন শেষ নেই!
নাজমা তাহের নামে একজন লিখেছেন, জনগণের কষ্ট নিয়ে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। পাঁচ পয়সা দিয়ে কি হয়।
টিকলু দেব নামে একজন লিখেছেন, এটা একটা সরকারের ভুল পদক্ষেপ। আমি বলবো ভন্ডামি ছাড়া আর কিছুই না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।