Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রাখাইনে জাতিগত নিধন বন্ধ করার আহ্বান

| প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সাম্প্রতিককালের বর্বরতম নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ রোববার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে সংহতি সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক এতে নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত  একটি আদেশ জারি করে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনা হচ্ছে শুধুমাত্র একটি নৃগোষ্ঠীকে বিতাড়িত করা সংজ্ঞামতে জাতিগত নির্মূলকরণ। এই কাজ এখনই বন্ধ করতে হবে এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এগুলো অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আসিয়ানের প্রতিষ্ঠাকালীন দেশ হিসেবে এর মূলনীতি সম্পর্কে মালয়েশিয়া ভালোভাবেই সচেতন রয়েছে। পাশাপাশি মালয়েশিয়া স্মরণ করিয়ে দেয়, তাদের দেশে অন্তত ৫৬ হাজার রোহিঙ্গা এবং প্রতিবেশী অন্যান্য দেশেও অসংখ্য রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। আর এটি এখন আর অভ্যন্তরীণ বিষয় নেই, অন্যতম আন্তর্জাতিক ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে মালয়েশিয়া। শুধুমাত্র রোহিঙ্গারাই মিয়ানমার থেকে বিড়াড়িত ও জাতিগত হত্যার শিকার হচ্ছে। মালয়েশিয়া অবিলম্বে মিয়ানমারকে রাখাইনে সেনাবাহিনীর রোহিঙ্গা নিধন বন্ধের আহ্বান জানায়। এর আগে, রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানের বিষয়ে মালয়েশিয়াকে নাক না গলানোর আহ্বান জানায় মিয়ানমার। এর জবাবে মালয়েশিয়া দেশটিকে কড়া সকর্তবার্তা দিল। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাখাইনে সেনাবাহিনীর নির্যাতনে মুসলিম রোহিঙ্গারা চরম মানবিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।
রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে মালয়েশিয়ার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার উপস্থিতি বিষয়টিকে একটি আন্তর্জাতিক ইস্যুতে পরিণত করেছে। মালয়েশিয়ার এ অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট দপ্তরের ডেপুটি জেনারেল ইউ জউ হায়ে বলেন, প্রতিবেশী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রদ্ধা দেখানো উচিত। তিনি বলেন, আসিয়ান আঞ্চলিক জোটের মূলনীতিতে একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকার আরেকটি দেশের নেই। আমাদের এ নীতিকে অনুসরণ ও সম্মান দেখানো উচিত। মিয়ানমারের এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মানবিক সংকটের শিকার রোহিঙ্গাদের জন্য রোবববার আয়োজিত সংহতি সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।
আসিয়ান আঞ্চলিক জোটের মূলনীতি বিষয়ে মিয়ানমারের বক্তব্যের জবাবে মালয়েশিয়া বলছে, প্রতিবেশি ও জোটের সচেতন সদস্য হিসেবে মালয়েশিয়া মনে করে, আসিয়ানের সদস্য মিয়ানমার সরকারেরও উচিত, রোহিঙ্গাদের রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়া এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো। একই সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের দেশগুলোকেও অবশ্যই মিয়ানমারের এই কার্যক্রম বন্ধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়। বিবৃতিতে মালয়েশিয়া মিয়ানমারের সরকারকেও রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে বলেছে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ