পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের ভূখণ্ড দিয়ে ভারত তার কৌশলগত সাতটি উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। অবশেষে ভারত সরকার সেই চেষ্টায় সফল।
ট্রানজিট চুক্তির আওতায় ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে ১০ ট্যাংকার জ্বালানি তেল বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মেঘালয়ের ডাউকি স্থলবন্দর দিয়ে ট্যাংকারগুলো সিলেটের তামাবিল বন্দরে আসে। এরপর সিলেট-মৌলভীবাজার হয়ে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে রাতে ভারতের উত্তর ত্রিপুরার কৈলাশহরে পৌঁছায়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেটেরে তামাবিল স্থল শুল্ক বন্দরে ভারতীয় জ্বালানি তেলের ১০টি ট্যাংকার গ্রহণ করেন ইন্ডিয়ান অয়েল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. মাজহার আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শুল্ক বিভাগের সিলেট বিভাগীয় উপকর কমিশনার মো. আল আমিন, তামাবিল স্থল শুল্ক বন্দরের উপ পরিচালক মাহফুজ আলম ভূঁইয়া।
ইমিগ্রেশন ও শুল্ক বিভাগের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল সাড়ে চারটায় ট্যাংকারগুলো তামাবিল স্থলবন্দর ত্যাগ করে। রাত সাড়ে নয়টায় সেগুলো মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে পৌঁছায়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত সাড়ে ১০টায় ভারতের মনু স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে উত্তর ত্রিপুরার কৈলাশহরে যায় ট্যাংকারগুলো।
স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ট্যাংকারগুলোর ৩টিতে ২১ দশমিক ১৯ মেট্রিক টন এলপিজি ও ৭টিতে ৮৩ মেট্রিক টন পেট্রোলিয়াম অয়েল ছিল।
ইন্ডিয়ান অয়েল বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. মাজহার আলম জানান, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতের চুক্তির অংশ হিসেবে এটি প্রথম চালান। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও জ্বালানি পণ্যবাহী ট্যাংকার এভাবে এ পথে ট্রানজিট ব্যবহার করে আসবে।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, বাংলাদেশ-ভারতের একটি চুক্তির ভিত্তিতে ভারতীয় জ্বালানি পণ্যবাহী ট্যাংকার তামাবিল দিয়ে প্রবেশ করে আবার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতে গেছে। ঊর্ধ্বতন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশে তিনিসহ স্থলবন্দরের কর্মকর্তারা রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে শুল্ক বিভাগীয় কাজ সম্পন্ন করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।