গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না জেসমিন রিভার বিরুদ্ধে আবারও গুরুতর অভিযোগে উঠেছে। এবার দুই ছাত্রীকে ৭ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন এবং নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে ভাইরাল করার হুমকির অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
দুই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ছড়ানোর হুমকিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। নারী হয়ে নারীকে বিবস্ত্র করার হুমকি কোনো মেনে নিতে পারছেন নেটাগিরিকরা। এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে ফেসবুকে।
এর আগে ফাঁস হওয়া অডিও ভাইরালের ঘটনায় বেকায়দায় পড়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি।
ভুক্তভোগী ছাত্রীরা এই অভিযোগ এনেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রিভা। তার দাবি, তিনি ওই সময়ে হলে ছিলেন না।
ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিযোগ, সেই অডিও ফাঁস হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে রিভা মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজিয়া হলের ২০২ নম্বর কক্ষ থেকে বঙ্গমাতা হলের ১১০৭ নম্বর রুমে নিয়ে যান দুই ছাত্রীকে। বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সেখানে দুজনকে আটকে রাখেন।
ক্ষোভ জানিয়ে ফেসবুকে একজন পাঠক লিখেছেন, ‘‘ক্ষমতা চিরদিন কারো হস্তগত থাকে না। আজকে যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে আগামীতে তারাও অন্য কারো ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার হবে।রিভেঞ্জ অফ ন্যাচার বলে একটা কথা আছে। প্রকৃতি নিজে থেকে কাউকে কিছু দেয়না, আপনি আগে যা দিবেন প্রকৃতি পরে আপনাকে তা ফেরৎ দিবে।’’
মো: আহসান শিমুল নামে অপর একজন পাঠক লিখেছেন, ‘‘কথাটা না বলতে চাইলে বলতে হয়। প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশে ছাত্র রাজনীতি উপযোগী নয়।
কারণ হচ্ছে এখানে ছাত্ররা রাজনীতি করে সন্ত্রাসী হয় সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে এবং নেতৃত্ব ধরে রাখার জন্য।তিন বছর চার বছরের কোর্স ৬ বছর লাগিয়ে বড় ভাই স্বীকৃতি লাভ করে।’’
আলম খান নামে একজন লিখেছেন, ‘‘একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রীর দেশে একজন মহিলার কাপড় হরণের হুমকি। দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া উচিত। সুনামধন্য বিদ্যাপিঠগুলোতে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক, রাজনৈতিক নেতাদের কারনে লেখা পড়ার অনেক ক্ষতি হচ্ছে।’’
এর আগে রিভার একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। যেখানে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ার কারণে রাজিয়া বেগম ছাত্রীনিবাসের ২০২ নম্বর রুমের কয়েকজন ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিতে শোনা যায় তামান্নাকে।
অডিও ভাইরাল হওয়ার পরই শুক্রবার রাতে রিভা নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা চান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।