Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢেঁড়শের গুণাগুণ

| প্রকাশের সময় : ২৬ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

খেতে সুস্বাদু ঢেঁড়শ নামের সবজিটি গ্রীষ্মকালে আমাদের দেশের বাজারে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। এই সবজির প্রচুর উপকারিতা রয়েছে, যেমন-

* ঢেঁড়শের মধ্যে আছে প্রচুর খাদ্যআঁশ, আর সেজন্যই অনেক খাদ্য বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করে নিয়েছেন, এই ঢেঁড়শ খাদ্য পরিপাকে বিশেষ সহায়তা করে। এই খাদ্যআঁশ পেটের মল পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।
* ঢেঁড়শে আছে ফোলেট। সেই ফোলেট সদ্য জন্মানো শিশুর দেহের নিউরাল টিউব ডিফেক্টস কমিয়ে দেয়। মেয়েরা গর্ভবতী হওয়ার আগে কিংবা গর্ভবতী অবস্থায় ঢেঁড়শ খেলে খুব উপকার পাবেন।

* ঢেঁড়শে আছে ভিটামিন কে আর সেই ভিটামিন কে রক্তকে জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। ভিটামিন কে অস্থিকে শক্তিশালী করে তোলে। সেজন্য ঢেঁড়শ খেলে অস্থি শক্তিশালী হয়। খাদ্য তালিকায় ঢেঁড়শ রাখলে হাঁপানি রোগীরাও অনেক আরাম পাবেন। সে জন্য হাঁপানি রোগ থাকা প্রতিটি ব্যক্তিকে ঢেঁড়শ খেতে উপদেশ দেওয়া হয়।
* ঢেঁড়শের প্রচুর পানি ধরে রাখার ক্ষমতা আছে। সেজন্য ঢেঁড়শ খেলে পেটের মল পরিষ্কার হয়ে যায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ দূর হয়।

* কাঁচা কিংবা রান্না করা যেভাবেই হোক ঢেঁড়শ রোজ খেলে, অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোটা হওয়ার সঙ্গে অতিরিক্ত ক্যালোরি অথবা ফ্যাটযুক্ত খাওয়ার গ্রহণ করার কোনও সম্পর্ক নেই। ওবেসিটি কিংবা মুটিয়ে যাওয়া অনেক সময় পুষ্টির অভাব থেকেও হয়।
* ঢেঁড়শ খেলে দেহে কোলেষ্টরেলের পরিমাণ কমে যায়। হার্টের অসুস্থতার প্রবণতা কমে যায়। কোলেষ্টরেল থেকে ওবেসিটি এবং হার্টের অসুস্থতা দুই সমস্যাই হতে পারে।

* ঢেঁড়শে প্রচুর আঁশ আছে যা পরিপাক পদ্ধতিকে সাহায্য করে। খাদ্য ভালোভাবে হজম হলে দেহের চামড়াতে ঔজ্জ্বল্য ফুটে উঠে। * ঢেঁড়শে উপস্থিত ভিটামিন সি দেহের ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। ঢেঁড়শে দেহের টিস্যুকে মেরামত করে। এই ব্যাপারগুলো দেহের ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।
* মাথায় চুল রুক্ষ হয়ে গেলে খুব খারাপ লাগে। ঢেঁড়শকে পানিতে ভিজিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে সেই মিশ্রণ চুলে ব্যবহার করলে চুল রেশমের মতো হয়ে উঠে।

* এই একই মিশ্রণতে কন্ডিশনার হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। চুল ধুয়ে নিয়ে অতিরিক্ত পানি মুছে নিয়ে, সেই মিশ্রণটি চুলে লাগানো যেতে পারে। তারপরে আবার চুল ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
* শুকনো স্ক্যাল্পকে ঠিক করতে ঢেঁড়শকে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। ঢেঁড়শকে ময়শ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করলে, চুল হয়ে উঠে নরম। আর এর কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। সেই হিসেবে বাজারের কেনা ময়শ্চারইজার থেকে স্ক্যাল্পের ভালোর জন্যে ঢেঁড়শের ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করাই ভালো।

* ঢেঁড়শ শুধু স্ক্যাল্পের উন্নতি করে তা নয়, ঢেঁড়শ খুশকিও দূর করে। ঢেঁড়শ স্ক্যাল্পে ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পকে ময়শ্চারাইজ করা হয় এবং খুশকি দূরে রাখা যায়।
* ঢেঁড়শে উপস্থিত পুষ্টিগুণ ত্বকের কালো ছোপ দূর করে । ঢেঁড়শ ত্বককে সুন্দর করে তোলে।
* ঢেঁড়শ সান ষ্ট্রোকের হাত থেকেও বাঁচায়।
* ঢেঁড়শ কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

আফতাব চৌধুরী
সাংবাদিক-কলামিস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢেঁড়শের গুণাগুণ

২৬ আগস্ট, ২০২২
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ