পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
গত সপ্তাহে বিশেষ করে বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে বিভিন্ন ধরনের খবরে পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠা ভরপুর ছিল। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধানকে বলা হয় কমিশনার। তিনি ৪ দিনের সফরে ঢাকায় এসেছিলেন। তার ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশে গুম, খুন, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ইস্যুগুলি প্রাধান্য পায়। তার ঢাকা অবস্থানকালেই বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দেন, যা জনমনে দারুণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। তিনি ‘নেত্র নিউজ’ নামক একটি নিউজ পোর্টালের রেফারেন্স দিয়ে বলেন যে, সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ অপরাধী এবং রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীবৃন্দকে গ্রেফতার করে অথবা অপহরণ করে একটি স্থানে রাখে, যার নাম বলা হয়েছে ‘আয়নাঘর’। মির্জা ফখরুল আয়নাঘর সম্পর্কে নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্ত করার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান মিশেলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন। আমি সাধারণত আমার সংবাদ ভাষ্যে অথবা কলামে সেনসেশনালিজম করি না। দ্বিতীয়ত, যেসব খবর স্পর্শকাতর সেগুলো নিয়েও আমি খুব কম লিখে থাকি। লেখার সময় আমি দুইটি বিষয়ের ওপর খেয়াল রাখি। প্রথমটি হলো, আমার লেখায় আমার পত্রিকার বা পত্রিকা কর্তৃপক্ষের কোনো ক্ষতি হবে কিনা। দ্বিতীয়ত ঐ লেখায় আমার কোনো ক্ষতি হতে পারে কিনা। তাই আজকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যথা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ইত্যাদিতে যেসব বিষয় লেখা হয় বা আলোচনা করা হয় সেসব বিষয় নিয়ে সাধারণত আমি লেখালেখি করি না। যদি কোনো স্পর্শকাতর বিষয়ে লিখতেও হয় তাহলে সেটির সপক্ষে স্ট্রং এভিডেন্স বা ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে আমার কম্পিউটারে সেটি সেভ করি। তারপর আমি লিখি।
যে কথা বলছিলাম। বাংলাদেশে গুম, খুনকে ইংরেজিতে Enforced disappearance বলা হয়। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের পরদিন অর্থাৎ শুক্রবারের এক শ্রেণির পত্রপত্রিকায় দুই একটি পুরানা প্রসঙ্গ উঠে আসে। বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির মেম্বার বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন যে, মহল বিশেষ বিএনপির অস্থায়ী সভাপতি তারেক রহমানকে উঁচু থেকে নিচে ফেলে দিয়েছিল। এর ফলে তার শিরদাড়ার দুই একটি হাড় ভেঙ্গে যায়। লন্ডন গিয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেওয়ায় তিনি ভালো হয়েছেন। এই ধরনের আরো অভিযোগ মির্জা ফখরুল করেছেন। যেমন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এবং সিলেটের নেতা ইলিয়াস আলী এবং বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমসহ বহু নেতাকে মহল বিশেষ উঠিয়ে নিয়ে গেছে। ৮/১০ বছর হয়ে গেল, আজ পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এই ধরনের অনেক খবরই আছে।
তবে সব খবরকে টেক্কা মেরেছে শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি বক্তব্য। এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে রীতিমত ভূমিকম্পের মতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তার বক্তব্যটিও অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কিন্তু আমি দেখলাম, ইংরেজি ডেইলি স্টার, বাংলা প্রথম আলো, দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক সমকাল এবং আমাদের সময় পত্রিকাসমূহের প্রথম পৃষ্ঠায় এই খবর ছাপা হয়েছে। তাই আমি ঐ খবরটি এখানে উল্লেখ করছি। তবে এখানে আমি বলতে চাই যে, এই বিষয়টি নিয়ে আজ আমি আলোচনা করবো না। আমি এই বিষয়টি দেখার জন্য অপেক্ষা করছি যে, সরকার, আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দলসমূহ এ ব্যাপারে কী বলে। দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত উক্ত সংবাদের শিরোনাম, ‘চট্টগ্রামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী/ ভারতে গিয়ে বলেছি, এই সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’ দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠার শিরোনাম, ‘ভারতকে বলেছি শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে হবে/ চট্টগ্রামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’ দৈনিক সমকালের শিরোনাম, ‘চট্টগ্রামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী/ শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারতকে অনুরোধ করেছি’। ডেইলি স্টারের হেডলাইন, Hasina Govt. must be kept stable/ Momen says at Janmastami festival. প্রিয় পাঠক, আমি প্রথমেই বলেছি, আবার এখনও বলছি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের এই বক্তব্য অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর এবং স্পর্শকাতর। এ সম্পর্কে অনেক কথা বলার আছে। তবে আজ আমি বলবো না। আমি দেখছি, সরকার এবং আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে কী বক্তব্য দেয় এবং বিরোধী দলই বা কী প্রতিক্রিয়া দেখায়। এখন আমি আজকের মূল আলোচনায় ফিরে যাচ্ছি।
॥দুই॥
গত ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার ‘দৈনিক প্রথম আলোর’ একটি খবরের শিরোনাম, “আরএসএসের ‘অখণ্ড ভারত’ গঠনের স্বপ্ন, বিজেপি নীরব”। খবরের ভেতর চারটি ইনসেট দেওয়া হয়েছে। প্রথম ইনসেটে বলা হয়েছে, ‘অখণ্ড ভারতের সংবিধানের এই খসড়া তৈরি করেছেন ৩০ জন ধর্মগুরু ও পণ্ডিত। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রয়াগ রাজের ধর্ম সংসদে এই খসড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ দ্বিতীয় ইনসেটে বলা হয়েছে, ‘অখণ্ড ভারত গঠনের স্বপ্ন পূরণের পথে ভয়ই একমাত্র বাধা। যেদিন এই ভয় কাটানো যাবে সেদিনই এই অখণ্ড ভারত গঠন সম্ভব হবে- মোহন ভগবত, আরএসএস প্রধান।’ তৃতীয় ইনসেট, ‘অখণ্ড ভারতের রাজধানী হবে বারানসি। নতুন ধর্ম সংসদও গড়ে তোলা হবে সেখানে- স্বামী আনন্দ স্বরূপ, শংকরাচার্য পরিষদের পীঠাধ্যক্ষ ও সভাপতি।’ চতুর্থ ইনসেট, ‘চীন ও পাকিস্তানের কব্জা থেকে আগে হৃত জমি উদ্ধার করে দেখাক, তারপর নাহয় অখণ্ড ভারতের কথা ভাবা যাবেÑ আসাদুদ্দিন ওয়েইসি, হায়দারাবাদের এআইএমআইএম নেতা ও সংসদ সদস্য।’
রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বাধীনতার প্ল্যাটিনাম জুবলি উদ্যাপনের প্রাক্কালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবত অখণ্ড ভারত গঠনের লক্ষ্যমাত্রা যে আরো একবার নতুন করে বেঁধে দিলেন তা বাস্তবায়নের অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীন সত্ত্বার লোপ হওয়া। শুধু বাংলাদেশই নয়, স্বাধীন সার্বভৌম সত্ত্বা হারাবে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও। অর্থাৎ ভারতসহ ৫টি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হবে অখণ্ড ভারত। মোহন ভগবত বলেছেন, সেই অখণ্ড ভারত হবে হিন্দু রাষ্ট্র। তার চরিত্র ও সংবিধান কেমন হবে, সেই খসড়াও প্রকাশিত হয়েছে। স্বামী আনন্দ স্বরূপ বলেন, অখণ্ড ভারতে বসবাসকারী মুসলমান ও হিন্দুদের কোনো ভোটাধিকার থাকবে না। ভোট দানের অধিকার ছাড়া এই দুই সম্প্রদায়ের অন্য সবাই অন্যদের মতো নাগরিক সুযোগ সুবিধা ও অধিকার ভোগ করতে পারবেন। অখণ্ড ভারতের রাজধানী হবে বারানসি। নতুন ধর্ম সংসদও গড়ে তোলা হবে সেখানে। আগামী বছর প্রয়াগরাজে (প্রয়াগরাজের আগের নাম ছিল এলাহাবাদ) মাঘী পূর্ণিমার সময় এই খসড়া সংবিধান চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হবে। অখণ্ড ভারতের প্রত্যেককে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। অখণ্ড ভারতের পতাকা হবে গৈরীক। এই রাষ্ট্রে ১৬ বছর বয়সী সকলের ভোটাধিকার থাকবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় আনা হবে জ্যোতিষ চর্চা, গণিত, আয়ুর্বেদ প্রভৃতি। চর্চা হবে ভূগর্ভ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানেরও।
॥তিন॥
আরএসএসকে আমি অতীতে খুব সিরিয়াসলি নিতাম। কারণ সব সময় জেনে এসেছি যে, এটিই হলো বিজেপি, বজরং দল, করসেবক, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ইত্যাদি বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের প্যারেন্ট অর্গানাইজেশন। আরএসএস থেকে যে কমান্ড দেওয়া হয় সেটিই ফলো করে তার শাখা-প্রশাখাসমূহ। তাদেরকে সিরিয়াসলি নেওয়ার আরেকটি কারণ হলো এই যে, ১৯৮৪ সালের সর্বভারতীয় নির্বাচনে তাদের সদস্য সংখ্যা যেখানে ছিল মাত্র ২, সেখানে ২০১৮ সালের নির্বাচনে লোক সভায় তারা দুই তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করেছে এবং নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে পরপর দুই মেয়াদে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করেছে। সর্বভারতীয় দল হিসাবে কংগ্রেসের আয়তন দিনের পর দিন ক্ষুদ্র হওয়ায় এবং এর মধ্যে অপর কোনো দল সর্বভারতীয় দল হিসাবে উত্থিত না হওয়ায় আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনেও বিজেপিই দিল্লীর সরকার গঠন করবে বলে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল মনে করে। আরো অবাক ব্যাপার হলো এই যে, যতই দিন যাচ্ছে ততই বিজেপির উগ্র হিন্দুত্ববাদ ভারতের আম জনতাকে আকৃষ্ট করছে। এর ফলে আমার ধারণা হয়েছে যে, ভারতের সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা লেখা থাকলেও ভারতের হিন্দু জনগণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ধর্মনিরপেক্ষতার বিরোধী এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাসী।
এ পর্যন্ত ঠিকই আছে। কিন্তু তাই বলে আরএসএস কীভাবে ধারণা করতে পারল যে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ তাদের স্বাধীন সত্ত্বা মুছে দিয়ে অখণ্ড ভারতে ঢুকে পড়বে? সেটাই যদি হবে তাহলে তো ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির কোনো প্রয়োজনই ছিল না। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়। ভিত্তি ছিল, হিন্দু মুসলমান দুই জাতি। অর্থাৎ দ্বিজাতি তত্ত্ব। অখণ্ড ভারতেই যদি যোগদান করতে হয় তাহলে বাংলাদেশের পক্ষে ১৯৭১ সালটি তো ছিল সুবর্ণ সুযোগ। সেদিনও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ফলে ভারত হয় ত্রিখণ্ডিত। যিনি যে কথাই বলুন না কেন, বাংলাদেশের ভিত্তিও কিন্তু দ্বিজাতি তত্ত্ব। নাহলে ওপার বাংলার সাথে ধর্ম ছাড়া আমাদের তো আর কোনো পার্থক্য নাই। বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতি, বাংলা আচার-আচরণ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়Ñ সবই যদি অখণ্ড বাংলার হয় তাহলে ৭১ সালে দুই বাংলা এক হলো না কেন? পরবর্তী ৫১ বছরেও দুই বাংলা আলাদা আছে কেন?
শেষ করবো সামান্য কয়েকটি পরিসংখ্যান দিয়ে। ভারতের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। আর ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার সম্মিলিত জনসংখ্যা ১৯১ কোটি। অর্থাৎ ভারত ছাড়া এই চারটি দেশের জনসংখ্যা ৫১ কোটি। ভারতের আয়তন ১২ লক্ষ ৬৯ হাজার বর্গমাইল। আর এই ৬টি দেশের সম্মিলিত আয়তন ২২ লক্ষ বর্গমাইল। অর্থাৎ ভারত ছাড়া ঐ ৫টি দেশের সম্মিলিত আয়তন ১০ লক্ষ বর্গমাইল। এই ১০ লক্ষ বর্গমাইলের মানুষ কি বেকুব যে তারা নিজেদের স্বাধীন সত্ত্বা ছেড়ে হিন্দু রাষ্ট্রে মিশে যাবে? আফগানিস্তানকে শতবর্ষ কেন, হাজার বছরে বৃটিশ, মার্কিন এবং রুশরা চেষ্টা করেও পদানত রাখতে পারেনি। সেখানে তারা হিন্দুদের বশ্যতা স্বীকার করবে কেন? বাংলাদেশের কথা তো আগেই বলেছি। পাকিস্তানের বেলুচ-পাঠানরা তো চাইলে ৪৭ সালেই অখণ্ড ভারতের অংশ থাকতে পারতো। বিগত ৭৫ বছরে তারা ভারতমুখী হয়নি। আজ কেন হবে?
আমার তাই মনে হয়, ভারতের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে আরএসএস তথা বিজেপি উন্মাদ হয়ে গেছে। তারা মনে করছে যে, অবশিষ্ট ৫টি দেশের মানুষও তাদের মতো উন্মাদ হয়ে গেছে। তাদের যদি মাথা খারাপ না হয় তাহলে শতবর্ষ পরে কেউ নিজের স্বাধীনতা বিসর্জন দিতে পারে? শতবর্ষ পরে কেউ হিন্দুত্বের রাজত্বে স্বেচ্ছায় দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হওয়ার আগ্রহ দেখাতে পারে? দেশের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে বিজয় আরএসএস এবং বিজেপিকে মাটি থেকে উঠিয়ে আকাশের পরী বানিয়েছে। তারা এখন পরীর মতই স্বপ্নচারী এবং কল্পনাবিলাসী। অন্যদের কথা বাদ দিন। বাংলাদেশকে যদি কোনো সময় এ ধরনের উন্মাদ প্রস্তাব দেওয়া হয় তাহলে বাংলাদেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ (সাম্প্রতিক আদমশুমারী অনুযায়ী) যার যা আছে তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।