টানা ১১ দিন পর আন্দোলনের মধ্যে অবশেষে সিলেটে কাজে যোগ দিয়েছেন চা শ্রমিকদের একাংশ। আজ সোমবার বেলা ১টার দিকে শহরতলির লাক্কাতুরা এলাকায় চা বাগানে কাজে ফিরেন তারা। তবে আরেকাংশ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এখনও। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে গত ৮ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন দুই ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন চা শ্রমিকরা। ১৩ আগস্ট থেকে শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট। এর মধ্যে ঢাকা ও সিলেট মিলিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয় প্রশাসন, চা শ্রমিক নেতা ও বাগান মালিকদের মধ্যে। কিন্তু সমাধান আসেনি। সর্বশেষ গতরাতে মৌলভীবাজারে প্রশাসনের সাথে বৈঠক শেষে আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা জানান চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতারা। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আপাতত ১২০ টাকা মজুরিতেই কাজে ফিরবেন শ্রমিকরা। তবে শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে নিজেদের দাবি জানাবেন তারা। কিন্তু আজ সোমবার সকালে চা শ্রমিকদের একটি পক্ষ বেঁকে বসে। তারা কাজে যোগ না দিয়ে ঘোষণা দেয় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেটের লাক্কাতুরায় চা শ্রমিকরা সকাল থেকে বাগান এলাকায় বিক্ষোভ করেন, শ্লোগান দেন। তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে শ্রমিকদের মধ্যে দুটি পক্ষ তৈরি হয়। এক পক্ষ কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বেলা একটার দিকে শ্রমিকদের একাংশ কাজে যোগ দিতে বাগানে যান। চা পাতা তুলতে শুরু করেছেন তারা। কয়েকজন শ্রমিক জানান, চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি আন্দোলন আপাতত প্রত্যাহার করায় কাজে ফিরেছেন তারা। শ্রমিকদের একাংশ কাজে ফেরায় বাগান মালিকদের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে আরেকটি পক্ষ এখনও চালিয়ে যাচ্ছে আন্দোলন । তাদের দাবি, ৩০০ টাকা মজুরি বাস্তবায়ন করতে হবে অবিলম্বে। এই পক্ষে থাকা চা শ্রমিক ফেডারেশনের সংগঠক অজিত রায় বলেন, ‘১৩ দিন ধরে শ্রমিকরা খেয়ে না খেয়ে আন্দোলন করছে, অথচ রাতের অন্ধকারে ১২০ টাকায় কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল! এটা তো হঠকারী সিদ্ধান্ত। আমাদের দাবি, ৩০০ টাকা করতে হবে মজুরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাদের সাথে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন, তবেই কাজে ফিরে যাবো আমরা।’