পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে এসেও ন্যায্য দাবির বিষয়ে কথা বলার কারণে শ্রমিকদের গুলি খেয়ে জীবন দেয়ার মতো ঘটনা যেমন ঘটছে। তেমনি জীবন যাত্রার ব্যয় পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধির পরেও দেশের চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকদেরকে দৈনিক ১২০ টাকা মজুরীতে কাজ করতে হচ্ছে। মে দিবস উপলক্ষে গতকাল এক বিবৃতিতে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ আশরাফ আলী আকন ও সেক্রেটারী জেনারেল হাফেজ মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশে দুর্নীতি দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে এক শ্রেণীর লুটেরা আঙ্গুল ফুলে বটগাছ হচ্ছে। অপর দিকে আল্লাহর বন্ধু নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমিকরা অমানুষিক পরিশ্রম করেও ন্যায্য অধিকার, প্রকৃত মর্যাদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অধিকার ও ন্যায্য দাবীর কথা বললেই তাদের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। যা কোন সভ্যদেশে চলতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন শ্রমিক হত্যা, শ্রমিক অধিকার হরণ ও কল কারখানায় মালিক শ্রমিক সংঘর্ষ চায় না। ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন চায় মালিক শ্রমিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা, উৎপাদন বৃদ্ধি, সমৃদ্ধি ও কর্মক্ষেত্রে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে।
সুসম্পর্ক, উৎপাদন, সমৃদ্ধি ও কর্মক্ষেত্রে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টিতে ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন। ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠা হলে- শ্রমিকের মজুরি সমস্যা দূরীভূত হবে, কাজের সময় নির্ধারণ থাকবে, কাজের প্রকৃতি বা ধরন নির্ধারণ থাকবে, শ্রমিকের স্থানান্তর গমনের অধিকার থাকবে, লাভের অংশীদারিত্ব থাকবে, স্বাস্থ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে, শ্রমিকের সন্তানদের শিক্ষা-দীক্ষার সুযোগ দান, বাসস্থান এর অধিকার, কর্মকালীন ক্ষতির দায়িত্ব থেকে শ্রমিককে মুক্তি দান, চাকুরির নিরাপত্তা প্রদান নিশ্চিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।