পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720123578](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আয়নাঘরকে সরকারের গোপন নারকীয় গুমকেন্দ্র উল্লেখ করে সেখানে বন্দি সকলের মুক্তি দাবি করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সুইডেন ভিত্তিক নিউজপোর্টাল নেত্র নিউজের অনুসন্ধানী ভিডিও প্রতিবেদন ‘আয়নাঘর’নারকীয় এক গোপন সরকারী গুমকেন্দ্রের সন্ধান পেয়েছে, যেখানে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর গুমের শিকার বন্দীদের আটক রেখে নির্যাতন করা হয়। গুমের নির্মম শিকার এই হতভাগ্যরা আপনার, আমার মতই এই সমাজের মানুষ। একদিন হুট করে মানুষ গুলো হারিয়ে যায়, আর আয়নাঘরের দেওয়ালে দেওয়ালে লিখে রাখে 'বাঁচার আর্তনাদ! গতকাল রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী নিষ্ঠুর সরকার গত এক যুগের বেশী সময় ধরে শুধুমাত্র তাদের অবৈধ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে গোটা দেশে ভয়ঙ্কর এক নারকীয় পরিবেশ তৈরি করেছে। সরকারের সমালোচনাকারী বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজের সত্য উচ্চারণে নির্ভীক ব্যক্তিদের তুলে নিয়ে গুম ও বিচারবহির্র্ভূত হত্যা করে সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার এক আবশ্যকীয় কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। অনেককে ৯ বছর, ১০ বছর ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিএনপির সাবেক এমপি ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হীরু ও ঢাকার কমিশনার চৌধুরী আলমসহ ৬০০ এর অধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে।
গুমের শিকার ব্যক্তিরা কোথায় প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলে যে, এখানে গুম হয় না। গুম বলে কোন শব্দ নেই। তাহলে এতগুলো মানুষ গেলো কোথায়?
রিজভী বলেন, এই আয়নাঘর পৃথিবীর কুখ্যাত কারাগারের মতো ভয়াবহ। এই সরকারের অবসানের পরে এগুলো সব উন্মোচিত হবে, বিচারও হবে এবং এই যুগটি ইতিহাসে গুমের যুগ হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। শেখ হাসিনা প্রায় তার পিতা-মাতা, ভাইদের হত্যাকাণ্ডের কথা বলতে গিয়ে অশ্রু বিসর্জন দেন। তখন কি তার একবারও মনে হয় না যে, তার ডেথ স্কোয়াড প্রতিনিয়ত গুম-খুন করছে যাদের, তাদের পরিবারের কি অবস্থা! তারাও তো কেউ পিতা হারাচ্ছেন, কেউ স্বামী, ভাই বা স্বজন হারাচ্ছেন। গুম হওয়া পিতাকে ফিরে পেতে আর্তনাদ করছে সন্তানরা। আর না হয় তারা তাদের বাবার লাশটা ছুঁেয় দেখতে চায়। বিএনপির এই নেতা অবিলম্বে বন্দীশালা আয়নাঘরের রহস্য উদ্ঘাটন করার জন্য জাতিসংঘকে দিয়ে তদন্তপূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ দাবী জানান। তিনি বলেন, অমানবিক আয়নাঘর নামের ডিটেনশন সেল থেকে অনতিবিলম্বে সবাইকে মুক্তি দিয়ে এই গুম চেম্বারের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বন্ধিশালা থেকে সবাইকে মুক্তি দিতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দলের কেউ নন আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতি এমনভাবে প্রকাশ্যে হাটে হাঁড়ি ভাঙার পর সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাহেব এই সত্য ঢাকা দেয়ার জন্য মিথ্যাচার করলেও শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন তার বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা নাকচ করে দিয়ে আবারো বলেছেন, আমি ভুল কিছু বলিনি। আমি জেনে শুনে বুঝে দায়িত্ব নিয়েই বলেছি। কারণ তাকে এটা নিয়ে তদবিরের দায়িত্ব শেখ হাসিনা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বর ভারত যাচ্ছে ক্ষমতায় থাকার ধর্না দিতে। আব্দুল মোমেন তার পটভূমি রচনা করে এসেছেন। এখন আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরা বলছেন সে আওয়ামী লীগের কেউ না। কিন্তু তিনি সিলেট মহানগর থেকে এমপি হয়েছেন কোন দলের টিকিটে? ওবায়দুল কাদের অনুমোদিত সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ১ নম্বর সদস্য কে? তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদটি ব্যবহার করেই বক্তব্য দিয়েছেন।
রিজভী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অসংকোচ সত্য প্রকাশের পর দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে, বিদেশী সরকারের মদদেই বর্তমান সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতায় বসে আছে, আগামীতেও তারা বিনা ভোটে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের জন্য অনুরোধ করছে। একটা রাষ্ট্র কতটা অপদার্থ অক্ষম ও জনবিচ্ছিন্ন হলে অন্য রাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল হয়। ভারতের কাছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষমতায় টিকে থাকার এ হীন আকুতি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বার্থ ও মর্যাদার পরিপন্থী। বাংলাদেশ অন্য কোনো রাষ্ট্রের অঙ্গ বা কারও মক্কেলরাষ্ট্র নয়। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের সরকার ক্ষমতায় আসবে যাবে জনগণের ভোটের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্য আজ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি বার বার বলেছেন, শেখ হাসিনার ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়। বিদেশী প্রভূ। তারা দেশকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানিয়েছে। ১৯৯১ সালে এক জনসভায় এই মহিয়সী নারী বলেছিলেন, আমাদের হাতে স্বাধীনতার পতাকা, অন্যদের হাতে গোলামির জিঞ্জির"। আজ প্রমাণিত হলো বর্তমান সরকার প্রধান ক্ষমতার জন্য লেন্দুপ দর্জির ভূমিকা পালন করছে। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।