গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতটি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে, সে সিদ্ধান্ত সেপ্টেম্বরের ১-২ তারিখের মধ্যেই দেওয়া হবে। রোববার (২১ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে এমন কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইভিএম আমাদের কাছে একটা পদ্ধতি। জটিল কিছু নয়। যেখানে নির্বাচন হয়েছে কেউ চ্যালেঞ্জ করেননি। কেউ বলেননি যে ইভিএমের কারণে হেরেছি। বিশাল অভিজ্ঞতা রয়েছে আমাদের। ৬ থেকে ৭শ নির্বাচন হয়েছে। রাজনীতিবিদরা টক-শোতে পক্ষে বলেছেন। অনেকে বিপক্ষেও বলেছেন। সুবিধা, অসুবিধাও আছে। আমরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।
মো. আলমগীর বলেন, ইভিএম ব্যবহার হবে, তবে কত আসনে হবে সে সিদ্ধান্ত আমরা এখনো নিতে পারিনি। আলোচনা করছি। এই মুহূর্তে ৭০ থেকে ৮০ আসনে ভোট করার সক্ষমতা আছে। আমরা কতগুলোতে পারব সেই সক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ৭০-৮০টা করার সক্ষমতা আছে। কিন্তু অনেক দল যেহেতু ৩০০ আসনেই চায়, কেউ একটাও চায় না। আমরা তো সবার কথা সমানভাবে গুরুত্ব দিতে পারব না। যারা ৩০০ আসনে চায় তাদেরটা গুরুত্ব দেওয়ারও প্রশ্নই আসে না। আমরা যেটা চাইছি সক্ষমতা এবং যৌক্তিকতা; সেটা দেখেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। কারো মুখে দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নেব না। সুষ্ঠু, সুন্দর ভোট করার জন্য সিদ্ধান্ত নেব।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি যে ইভিএমে ভোট কারচুপি হওয়ার কথা বলে, তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য আমরা ডেকেছিলাম। তারা আসেনি। কাজেই তারা সঠিক কি না আমরা সেটাও জানি না। ইউপিতে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভোট পড়েছে। তাহলে গ্রামের মানুষ কীভাবে ভোট দিল। তার মানে এটা হলো অপপপ্রচার। আপনি তো বলবেন আমি খারাপ, এর জন্য প্রমাণ দিতে হবে। আপনারা অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু প্রমাণ দেননি। বিএনপি যদি আলোচনায় এসে বলে নির্বাচনে যাব, ইভিএম চাই না, তখন কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাহলে তাদের প্রস্তাব অবশ্যই আমলে নেব। কারণ তারা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল। আমলে না নেওয়ার তো সুযোগ নেই। যেহেতু সংলাপে আসেনি, আলোচনায় আসেনি, কাজেই তাদের কথা তো রেজ্যুলুশনভুক্ত করে আলোচনা করতে পারি না।
সাবেক এ সচিব বলেন, আমাদের সংবিধান ক্ষমতা দিয়েছে নির্বাচন করার, নির্বাচন সুষ্ঠু করার, গ্রহণযোগ্য করার। যারা নির্বাচনে আসবেন না, তাদেরকে লোভ দেখিয়ে সন্তুষ্ট করে, অনুরোধ করে, পায়ে ধরে নির্বাচনে আনেন এটা কিন্তু সংবিধানের কোথাও বলা নেই। যেখানে সংবিধান আমাদের বলেনি, সেখানে আমরা কেন আনব। যদি থাকতো তাহলে করতাম। আমাদের দরজা তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত খোলা থাকবে। আমাদের দরজা দাওয়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, আমাদের দরজা তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।