Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে

ড. মো. কামরুজ্জামান | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

জ্বালানি তেলের হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে দেশে চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে। এই অস্থিতিশীলতার এ কারণ দেখিয়ে কোনো প্রকার আলোচনা ও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমাদের দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়া মানেই হলো পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়া। তেলের দাম যে পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পায় গণপরিবহন ভাড়া। এছাড়া ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের মালিকেরা ইচ্ছেমত ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। সরকার এবং মালিক-শ্রমিক পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ করে দিলেও তা মানা হয় না। বরং যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করা হয় কয়েকগুণ বেশি। এটা নিয়ে যাত্রীদের সাথে প্রায়ই ভাড়া আদায়কারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে এটা নৈরাজ্যকর এক পরিবেশ সৃষ্টি করে। অতীতে বাংলাদেশে এমন ঘটনার নজির কম নয়।

এবারেও তেলের দাম বাড়ার সাথে পরিবহন ভাড়া বেড়ে গেছে। ভাড়া নির্ধারণের আগেই পরিবহন ভাড়া কয়েকগুণ আদায় করা হয়েছে। ৫ আগস্ট রাত ১২টা থেকে জ্বালানি তেলের নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। আর ৬ আগস্ট সকাল বেলা থেকেই দেশের গনপরিবহনে শুরু হয় অপ্রীতিকর অবস্থা। বিভিন্ন রুটে বাস ভাড়া ৫০ শতাংশ বৃদ্ধিসহ আদায় করতে থাকে। এতে কন্ডাক্টর-প্যাসেঞ্জারের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অনেক দিনমজুর পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া নিয়েই গাড়িতে উঠে বেকায়দায় পড়ে। তারা নতুন বর্ধিত ভাড়া দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। বিষয়টি নিয়ে চরম নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ফলে জনজীবনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। নিত্যপণ্যের বাজারেও এর মারাত্মক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। এর আগে সরকার গত নভেম্বরে এক দফা ডিজেলের দাম বৃদ্ধি করে। ৬৫ টাকার ডিজেলের দাম বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৮০ টাকা। সেবারেও নিত্যপণ্যের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। আর এবার শুধু ডিজেলের দামই বাড়ানো হয়নি। সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মত প্রকাশ করেছেন। তাৎক্ষণিক প্রক্রিয়ায় বিশেষজ্ঞগণ বলেছিলেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সার্বিকভাবে দেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। দেশের পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে দ্রব্যমূল্যও বৃদ্ধি পাবে। কৃষিতে সেচের খরচও বৃদ্ধি পাবে। এতে খাদ্যপণ্য মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। নিম্নবিত্তরা দ্রব্যমূল্যের চাপে পিষ্ঠ হবে। আর সার্বিকভাবে অর্থনীতি আরও চাপে পড়বে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা ৬৫ লাখ টন, যার প্রায় ৭৫ শতাংশই পূরণ হয় ডিজেলের মাধ্যমে। বাংলাদেশ এখনও একটা গরিব দেশ হিসেবেই পরিচিত। এখনও এটা একটি কৃষিপ্রধান দেশ। উপেক্ষিত গরিব কৃষকেরাই এ দেশটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাদের ঘাম ঝরা পরিশ্রমের বিনিময়েই বাংলাদেশ খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা ১৭ কোটি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বিভাগের হিসেব মতে, বছরে দেশে চালের প্রয়োজন হয় ২ কোটি ৫৮ লাখ মেট্রিক টন। এর সঙ্গে অপচয়, পশুখাদ্য ও বীজের অতিরিক্ত চাহিদা বাবদ প্রয়োজন হয় ১৫ শতাংশ। এতে করে এক বছরে দেশে চালের প্রয়োজন হয় ২ কোটি ৯৬ লাখ টন। ২০১৯-২০২০ সালে দেশে মোট খাদ্য উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ৩০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে চালই উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৬৬ লাখ মেট্রিক টন। আর ২০২০-২১ সালে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৮৬ লাখ মেট্রিক টন। (দৈনিক ইত্তেফাক, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২)। এতেই বুঝা যাচ্ছে, দেশের খাদ্যচাহিদা পূরণে কৃষকই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। তারপরেও তারা সবসময় সরকারি সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে গেছে। বিবিএস ২০১৮-এর তথ্য মতে, বাংলাদেশে মোট পরিবার সংখ্যা ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ৭৬৩টি। এর মধ্যে কৃষি পরিবারের সংখ্যা ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৩ হাজার ১৮৩টি। তারপরেও এখন পর্যন্ত তাদেরকে চাষী, মাইঠো (মেঠো), কৃষক ইত্যাদি বলে ডাকা হয়। শুধু তাই নয়, এ নামের সাথে ন্যূনতম সম্মানের কোনো ছিঁটেফোটা পর্যন্ত থাকে না। উপরন্তু তাদের অনেক সময় এ নামের মাধ্যমে অবজ্ঞা করা হয়ে থাকে। এখনও তাঁরা মর্যাদাবান শ্রেণীতে উন্নীত হতে পারেনি! তাদের অপেক্ষাকৃত নিচু জাতের হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অথচ সেই তারাই বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কৃষক ডিজেল দিয়েই তাদের কৃষি কাজ সম্পন্ন করে থাকে। তারা কখনও দেশ বিরোধী কাজের সাথে জড়িত নয়, আর কখনো ছিলও না। তাদের মাধ্যমে কখনও দেশ থেকে টাকা পাচার হয়নি। উন্নতি-অগ্রগতিতে তারাই সিংহ ভাগ ভূমিকা রেখে চলেছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে তারাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে হু হু করে বেড়ে গেছে ভোগ্যপণ্যের দাম। দাম বৃদ্ধিতে সরকারি আমলা ও মন্ত্রীরা বেশ আরামেই আছেন। কিন্তু কৃষক ভালো নেই। বড় বড় আমলা, মন্ত্রী ও ব্যবসায়ীগণ বেহেশতে বসবাস করলেও এসব গরিব কৃষক বসবাস করে গ্রামে। বেহেশতের ন্যূনতম ঘ্রাণটাও তারা উপভোগ করতে পারে না। দ্রব্যমূল্য তাদের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। প্রতিটি পণ্যমূল্য তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সরেজমিনে মফস্বলের একটি বাজারমূল্য অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি পণ্যের দাম আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে। বাজারে পণ্যমূল্য সর্বনিম্ন ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার কোনো কোনোটির বর্ধিত মূল্য শতভাগ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কদিন আগেও এক কেজি মিনিকেট চাল যেখানে বিক্রি হতো ৬৫ টাকা, বর্তমান সেটা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। এক কেজি কাজল লতা চাল বিক্রি হতো ৫৬ টাকা, বর্তমানে সেটার মূল্য হয়েছে ৬৫ টাকা। এক কেজি পোলাওয়ের চাল আগে বিক্রি হতো ১১৫ টাকা, বর্তমানে সেটা বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। গরিবের মোটা চালের দাম ছিল ৪৮ টাকা, বর্তমানে সেটা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা! পূর্বে আটার দাম ছিল ৪২ টাকা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকা। চিনির পূর্ব মূল্য ছিল ৮০ টাকা, বর্তমান মূল্য ৯০ টাকা। এক কেজি দেশি মুরগীর দাম ছিল ৪৫০ টাকা, বর্তমানে দাম হাঁকানো হচ্ছে ৫০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা। এক কেজি সোনালি মুরগীর দাম ছিল ২৬০ টাকা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগীর পূর্ব মূল্য ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, বর্তমানে সেটি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা! ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাবে, এ ঘোষণা পাবার পর পরই বাজার থেকে সোয়াবিন তেল উধাও হয়ে গেছে। যদিও বা পাওয়া যাচ্ছে দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা। পূর্বে যেকোনো সময়ের চেয়ে মাছের বাজারে যেনো আগুন লেগেছে। সব ধরনের মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ। আবার কোনো কোনোটি শত ভাগেরও বেশি বৃদ্ধি হয়েছে। মাঝারি সাইজের এক কেজি রুই মাছ আগে বিক্রি হতো ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এখন সেই মাছ বিকি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা! নিম্নবিত্ত আর গরিবের ছোটো সাইজের এক কেজি ইলিশের পূর্ব মূল্য ছিল ৫০০ টাকা, বর্তমান বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। আর তেলাপিয়া, পাঙ্গাস আর সিলভার কার্পের পূর্বমূল্য ছিল ১২০ টাকা, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। সবজির বাজারেও পড়েছে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব। কদিন আগেও যে লাউটির মূল্য ছিল ২০ টাকা, তার বর্তমান মূল্য ধরা হচ্ছে ৪০ টাকা। এক কেজি পটল কদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ২০ টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। ঢেঁড়সের পূর্ব মূল্য ছিল ২০ টাকা, বর্তমানে সেটাও বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এক কেজি করোলার দাম কদিন আগেও যেখানে ছিল ৪০ টাকা, বর্তমানে সেটার দাম ধরা হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এক মুঠো বরবটির দাম ছিল ১০ টাকা, বর্তমানে সেটা ২০ টাকা। বেগুন আর কাকরোলের কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। মশলার বাজারের অবস্থাও তথৈবচ। এক কেজি জিরার পূর্বমূল্য ছিল ৪০০ টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা। ৪০ টাকার পিঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ৭০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৪০ টাকা। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২৩০ টাকা। কদিন আগেও এক ডজন ডিমের দাম ছিল ১২০ টাকা, বর্তমানে সেটা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা! এটা যদি হয় একটা মফস্বল বাজারের চিত্র তাহলে জেলা ও রাজধানীর বাজারগুলোর চিত্র কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।

দেশের বাজারের এই যখন অবস্থা তখন মধ্যবিত্তরা রীতিমত দ্রব্যমূল্যের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নিম্নমধ্যবিত্তদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। আর্থিক চাপে সকলের জীবন থেকে শখ আর আহ্লাদ যেন হারিয়ে যেতে বসেছে। সন্তানদের বিনোদনের সকল বিষয় থেকে নিজেরা হাত গুটিয়ে নিয়েছে। খাদ্যের ক্ষেত্রে ব্যয় সংকোচন নীতি অবলম্বন করতে তারা বাধ্য হয়েছে। অনেকে দিনে তিনবারই আলু সিদ্ধ আর লবণকে খাবারের মেনু হিসেবে নির্বাচন করে নিয়েছেন, যদিও রাষ্ট্রের কর্তা বাবুরা বেহেশতে বসবাস করছেন। বেহেশতী খাবারে রসনা বিলাসে তারা আয়েশী জীবন অতিবাহিত করছেন!

আলোচনায় বুঝা গেল, তেলের বাড়তি দরের কারণে দেশের প্রান্তিক আয়ের মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। আর সরকার বেহেশতে বসবাসের কথা বললেও ভিতরে ভিতরে তার চরম খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে। বর্ধিত এ মূল্য তাকে ভীষণ বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। রাজনৈতিকভাবে বড় ধরনের চাপের মুখে পড়েছে। নানামুখী প্রশ্নে জর্জরিত সরকার তেমন কোনো সদুত্তর দিতে পারছে না। বৈশ্বিক মহাসংকটের মধ্যেও পাকিস্তানের মতো একটি ভঙ্গুর দেশে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ১০৩.৭১ টাকা। আর প্রতি লিটার অকটেন বিক্রি হচ্ছে ১০৬.৬৪ টাকা। ভারতে প্রতি লিটার ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ১১০.৯৫ টাকা আর প্রতি লিটার অকটেন বিক্রি হচ্ছে ১২৩.৬৫ টাকা। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সরকারের উচিত, জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করা। অবশ্য তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, জ্বালানি তেলের এই দাম সাময়িক সময়ের জন্য। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে গেলে বাংলাদেশেও তেলের দাম কমে যাবে। রয়টার্স সূত্রে বলা হয়েছে, বিশ^বাজারে গত ১৫ আগস্ট সোমবারে তেলের দাম ব্যারেল প্রতি দুই দফা কমেছে। সুতরাং জনগণের ভোগান্তি কমাতে বর্ধিত তেলের মূল্য দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে! দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

লেখক: কলামিস্ট ও অধ্যাপক, দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে
আরও পড়ুন