২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
পারকিনসন্স ডিজিস ধারাবাহিক ও দীর্ঘস্থায়ীভাবে ঘটা একটি শারীরিক অবস্থা যা মস্তিষ্কে ডোপামিন (হরমোন) উৎপন্নকারী কোষসমূহের ক্ষতির কারণে সংঘটিত হয়। ডোপামিনের অভাবের কারণে মস্তিষ্কের মটর কর্টেক্সের ব্যাসাল গ্যাংলিয়ায় উদ্দীপনা সক্রিয়তা কমে যায়, যার ফলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন কোষ ও কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এতে পারকিনসনস ছাড়াও মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের অবস্থা বা রোগের সৃষ্টি হয়। এই রোগের কারণ এখন পর্যন্ত অজানা। তবে গবেষণায় দেখা যায় যে, পারিপার্শ্বিক এবং জীনগত কিছু বিষয়ের প্রভাবে এই রোগ হতে পারে।
লক্ষণ :
- শারীরিক অসাড়তা
- কোন কাজের শুরু ও শেষ কঠিনসাধ্য হয়ে যায়
- ধীরগতির শারীরিক নড়াচড়া
- ঝিমুনিভাব
- শরীরের জয়েন্টগুলো শক্ত হয়ে যাওয়া।
- অস্বাভাবিক বা অনিচ্ছাকৃত নড়াচড়া হওয়া।
- শরীর কাঠামোয় অক্ষমতা আসা।
- চোখে কম দেখা
- মনোযোগে সমস্যা
- হতাশা
- কোন কাজ করতে পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের অভাব
অকুপেশনাল থেরাপির ভূমিকা :
যারা প্রতিনিয়ত প্রাত্যহিক কাজ সম্পাদনে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক সমস্যায় ভুগছেন, অকুপেশনাল থেরাপি তাদেরকে ভালোভাবে সাহায্য করতে পারে। অকুপেশনাল থেরাপির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমস্যাগ্রস্ত মানুষকে তাদের সমস্যা ও সামর্থ্য অনুযায়ী প্রাত্যহিক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করানো। একজন অকুপেশনাল থেরাপিসট এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সমস্যাগ্রস্ত মানুষ এবং সমাজের সাথে কাজ করেন এবং তাদের চাহিদা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী তাদেরকে বিভিন্ন কাজে নিয়োগ করেন, তাদের কাজে পরিবর্তন আনেন অথবা তাদের কাজের পরিবেশকে আংশিক বা পুরো পরিবর্তন করে তাদেরকে ভালো একটা সমর্থন জুগিয়ে তাদের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেন।
পারকিনসন্স রোগীর জন্য অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতি :
১) রোগীকে তার রোগ, অবস্থা এবং তার জন্য অকুপেশনাল থেরাপির ভূমিকা সম্পর্কে জানানো
২) শারীরিক অসাড়তা দূরীকরণে সাহায্য করা এবং পরামর্শ প্রদান
৩) দৈনন্দিন কাজসমূহকে রোগীর অবস্থা ও সামর্থ্য অনুযায়ী ধাপে ধাপে উন্নতি করা
৪) সেন্সরি উদ্দীপনা প্রদানের মাধ্যমে রোগীর সেন্সরি ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা
৫) রোগীকে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে অভ্যস্ত করা
৬) দৈনন্দিন কাজসমূহ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য একটি রুটিন তৈরি করে দেয়া
৭) কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি এবং জীবন যাপনের মান উন্নয়নে রোগীকে দিক-নির্দেশনা প্রদান ও শেখানো
৮) শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনার জন্য থেরাপিউটিক কিছু কৌশল প্রয়োগ করে দেখানো
৯) রোগীর সার্বিক সামর্থ্য অনুযায়ী উদ্দেশ্যমূলক, অর্থবহ কাজে নিয়োজিত করা
১০) রোগীর মানসিক দিক- মনোযোগ, বুঝার ক্ষমতা ইত্যাদি বৃদ্ধিকরণে সেবাকারীর সাথে একীভূত হয়ে থেরাপি প্রদান
১১) দীর্ঘ শ্বাস-প্রশ্বাস ও পরিশ্রান্তির কিছু কৌশল শেখানো যেগুলো রোগীর শারীরিক অক্ষমতা দূরীকরণে এবং মাংসপেশির শক্ত হয়ে যাওয়াকে রোধ করবে।
১২) রোগীর নিরাপত্তা ও পড়ে যাওয়া রোধ নিশ্চিতকরণে পরামর্শ প্রদান।
ষ শ,ম, ফারহান বিন হোসেন
ই-মেইল : ভধৎযধহথপৎঢ়@ুধযড়ড়.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।