বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ এনে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন দলের একদল নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল উপজেলার বাহেরচর বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে কমিটি প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নবগঠিত কমিটির ১নং সদস্য কবির হোসেন তালুকদার। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১১ই আগষ্ট উপজেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এতে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের লোকদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। গত ১১/০৮/২০১২ তারিখ রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির ১০১ সদস্য কমিটি প্রদান করা হয়েছে। দূর্নীতি যুক্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছি ২০০১ সাল থেকে তিল তিল করে গড়ে ওঠা রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপি কে দূর্বল করার জন্য একটি মহল কৌশলে কাজ করে যাচ্ছে। রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির বর্তমান সভাপতি আঃ রহমান ফরাজী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর ওয়ার্ড কমিটি থেকে শুরু করে ইউনিয়ন কমিটিতে দীর্ঘ দিনের পরীক্ষিত ত্যাগি নেতা কর্মীদের বাদ দিয়ে তার পছন্দের লোক দিয়ে বিভিন্ন কমিটি গঠন করেছেন। যাতে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন । গত ২৭/০৩/২০১২ং তারিখে রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল হয় ঐ কাউন্সিলে নিজের বানানো পকেট কমিটি দিয়ে ভোটে আঃ রহমান ফরাজী সভাপতি নির্বাচিত হয়। দলের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা চুপ করেছিলাম, কিন্তু যখন দেখলাম রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপি ও আলহাজ্জ এ, বি, এম মোশাররফ হোসেনের হাত দুর্বল করার জন্য তার ষড়যন্ত্র থেমে নেই তখন দলের একজন কর্মী হিসেবে আমরা চুপ থাকতে পাড়লাম না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের স্পষ্ট নির্দেশনা দলের একজন নেতা একটি মাত্র পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবে। পদায়ন করে এই স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট সরকারকে আন্দলনের মধ্যদিয়ে বিদায় করতে হবে ঠিক সেই মূহুর্তে জাতীয় পার্টি থেকে আগত রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আঃ রাহমান ফরাজী ৩৬ জন নেতা কে (তার পছন্দের) ইউনিয়ন কমিটিতে গুরুত্বপূর্ন পদে রেখে আবার উপজেলা কমিটির ভিবিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে পদায়ন করেছে। অথচ অনেক ত্যাগি নেতারা কোন পদ না পেয়ে ঘরমুখো হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নীতি অনুসারে প্রবাসী ভাইয়েরা যাতে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে তাই প্রত্যেকটি দেশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলও সকল অংগ সহযোগী দলের কমিটি আছে। অথচ আঃ রহমান ফরাজী টাকার বিনিময় ইটালী ও সৌদি প্রবাসী দুই জনকে এই উপজেলা কমিটিতে গুরুত্ব পূর্ন পদে পদায়ন করেছে। যারা প্রবাসে থেকে আঃ রহমান ফরাজীকে টাকা পাঠাতে পারবে। ঢাকাস্থ ও অন্য কোন শহরে অবস্থান রত কেউ নিজ উপজেলা কমিটিতে থাকতে পারবেনা অথচ আঃ রাহমান ফরাজী ৭জন কে রাঙ্গাবালী উপজেলা কমিটিতে স্থান দিয়েছে যারা স্থায়ী ভাবে ঢাকা সহ অন্যান্য শহরে অবস্থান করছে। যাদের আন্দলন সংগ্রামে দেখা পাওয়া যাবে না। আঃ রহমান ফরাজী বিএনপির নীতি আদর্শ বিসর্জন দিয়ে জাতীয় পার্টি জামায়েত এবং আওয়ামীলীগের লোক জন কে উপজেলা বিএনপির কমিটিতে স্থান দিয়ে দলকে কলংকিত করেছে যার প্রত্যেকটি তালিকা আছে। রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান ফরাজীর অনিয়ম ও দূর্নীতির চিত্র কেন্দ্রীও নেত্রী বৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন হয়। এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের মাধ্যমে এই কমিটি বিলুপ্ত করে ত্যাগি নেতা কর্মীদের সমন্বয় একটি আন্দোলন ও নির্বাচন মুখী কমিটি চাই। সুতরাং অনিয়ম ও দূর্ণীতিযুক্ত এই কমিটি দলের নেতাকর্মীরা মানেনা, এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করা হলো। সরকার পতন আন্দোলন ও আগামী জাতীয় নির্বাচনের কথা চিন্তা করে অবিলম্বে অবৈধ এই কমিটি ভেঙে দিয়ে ত্যাগীদের নিয়ে কমিটি গঠনের জন্য জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কমিটি বাতিলের দাবি জানান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন হাওলাদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নবগঠিত কমিটির সহ-সভাপতি আবুল হুদা, সহ-সভাপতি আবুল বাসার হাওলাদার, সহ নবগঠিত কমিটির ১৫ জন সদস্য। এছাড়াও ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।