Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিলুপ্তির পথে গুইসাপ

| প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

নামের পাশে সাপ শব্দ থাকলেও গুইসাপ আসলে সাপ নয়। এটি মূলত টিকটিকি জাতীয় সরীসৃপ প্রাণী এবং এর কোনো বিষ নেই। গুইসাপ বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় টিকটিকি জাতীয় প্রাণী। দেশের সর্বত্রই এদের দেখা যেত। বিশেষ করে, গ্রামীণ বসতবাড়ি, বন জঙ্গল, ঝোপঝাড় ও কৃষি জমিতে দেখা যায়। কিন্তু এখন তেমন একটা দেখা যায় না। আমাদের দেশে বর্তমানে তিন ধরনের গুইসাপ দেখা যায়। ১.কালো গুই, ২.বড় গুই বা রামগদি গুই এবং ৩. সোনা গুই বা হলদে গুই। লম্বা আকারের এই সাপের দেহ আঁশে ঢাকা থাকে। এদের শক্তিশালী লেজ পানিতে সাতার কাটতে ও শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। আর চোখের দুই পাশে দুই পর্দা শ্রবণ ইন্দিয়ের কাজ করে। ডাঙ্গায় দ্রুত দৌড়ানোর জন্য আছে মজবুত পা। প্রয়োজন হলে এরা গাছেও উঠতে পারে। গাছে উঠার জন্য এদের তীক্ষ্ণ ও মজবুত নখ আছে। গুইসাপ মাংসাশী প্রাণী। এরা দিবাচর বলে দিনের বেলা খাদ্য গ্রহণ করে আর রাতের বেলা বিশ্রাম নেয়। গুইসাপ মরা ও পচা প্রাণী খেয়ে পরিবেশ দূষণ রোধ করে। এছাড়া ফসলের ক্ষতিকর পোকামাকড় খেয়ে আমাদের উপকার করে। তাই আমাদের পরিবেশ রক্ষার জন্য গুইসাপের গুরত্ব অপরিসীম। কিন্তু আবাসস্থল ধ্বংস এবং চামড়া ও মাংসের জন্য অবৈধভাবে শিকার করায় গুইসাপ আজ বিপন্ন হয়ে পড়ছে। তাছাড়া মানুষের ভ্রান্ত ধারণার কারণেও এরা মারা পড়ছে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য গুইসাপ সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে।

মিজানুর রহমান মিজান
শিক্ষার্থী, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়



 

Show all comments
  • jack ali ১৬ আগস্ট, ২০২২, ৫:৩০ পিএম says : 0
    বাংলাদেশের শত প্রজাতি ধ্বংস হয়ে গেছে শুধু এই সরকারের জন্য এরা নদী-নালা-খাল-বিল বন্ধ করে জঙ্গল গাছপালা কেটে দেশটাকে একদম ধংস করে দিয়েছে দেশের পরিবেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে ওদিকে তো ইন্ডিয়া আছে আমাদের 59 নদীকে বাঁধ দিয়ে দিয়েছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিলুপ্তির পথে গুইসাপ

আরও পড়ুন