গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সরকারের চারিত্রিক অধঃপতন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর। শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনাসহ পাঁচ দফা দাবিতে গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
নুর বলেন, বর্তমান সরকারের চারিত্রিক অধঃপতন হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। বর্তমান সংকট কোনো রাজনৈতিক সংকট নয়। এটি ১৮ কোটি মানুষের সংকট। এ সংকট সমাধানে ১৮ কোটি মানুষকে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। তিনি বলেন, সরকার এখন সংক্রামকে পরিণত হয়েছে। এ সংক্রামকের প্রতিষেধক না নিলে বছরের পর বছর জনগণকে গ্লানি টানতে হবে। সংক্রামকের প্রতিষেধক হলো রাজপথ। রাজপথেই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
নুর বলেন, প্রশাসনকে বলব সরকারের বেআইনি নির্দেশ পালন করে আপনারা জনগণের বিরুদ্ধে যাবেন না। সভা সমাবেশ করার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। কুমিল্লা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা এ ছাত্রদের গায়ে হাত তুলেছেন, তাদের হাত পুড়ে যাবে। জ্বলেপুরে ছারখার হয়ে যাবে। যেখানেই হামলা হবে, সেখানেই প্রতিরোধ করব।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগকে বলবো ফ্যাসিবাদের গোলামি ছাড়ুন। রাজপথ কারো একার নয়৷ যেখানে যে দল যেদিন সভা সমাবেশ করবে সেদিন রাজপথ তাদের, রাজপথ সবার। সবাইকে সম্মিলিতভাবে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। নুর বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বিরোধীদলের আন্দোলন না থাকায় আওয়ামী লীগ এখনো হাস্যরস করছে। তাদের ঔদ্ধত্য শেষ। বিরোধীদল এক হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবিতে।
তিনি বলেন, টাকা পাচার করে দেশকে ঋণগ্রস্ত করেছে সরকার। আওয়ামী লীগের পতন হলে ঋণের গ্লানি টানতে হবে পরবর্তী সরকারকে, টানতে হবে দেশের জনগণকে। তাই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।