গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জনগণ রাস্তায় নামলে এই সরকারকে হটাতে এক সপ্তাহ লাগবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুলহক নুর। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে বলতে চাই- ‘গাছে কাঁঠাল গোফে তেল’ এই অভ্যাস পরিহার করুন। বিদেশিরা কখনো ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে না। ক্ষমতায় বসতে চাইলে এ দেশের জনগণকে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জনগণ রাস্তায় নামলেই সরকারকে হটাতে একমাস বা এক বছর নয়, মাত্র এক সপ্তাহ লাগবে।
শুক্রবার (২০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি ও রাজনৈতিক নেতাদের ওপর হামলা এবং হুমকির প্রতিবাদে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত হয়ে ভালো ছাত্ররাও মাদকাসক্ত ও খুনি হয়ে যায়। এরা নিজের দলের লোককেও খুন করে। বাংলাদেশের এ কর্তৃত্ববাদ সরকার যদি আরও এক মেয়াদ থাকে, তাহলে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা উন্মাদ হয়ে গেছেন। তাই তারা ড. রেজা কিবরিয়ার বাবা শাহ এএমএস কিবরিয়ারকে বাজে কথা বলছেন। যিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন ও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য কাজ করেছেন।
ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, এ সরকার ড. ইউনুসের মতো সম্মানিত ব্যক্তিকে কীভাবে অপমান করেছে আমরা তা দেখেছি। রিজার্ভ নিয়ে সরকার যে হিসাব দিচ্ছে তা প্রকৃত হিসাব নয়, সেখানে অনেক ফাঁকফোকর রয়েছে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ বলেন, সবকিছুর দাম বাড়ছে। মানুষ ক্ষুধা ও দারিদ্রের সঙ্গে সংগ্রাম করছে। দেশে ফেরাউনের নীতিতে শাসন হচ্ছে। জালিম শাসক তার জুলুমের মসনদ টিকিয়ে রাখতে প্রতিবাদী মানুষকে ডুবিয়ে মারতে চায়। শ্রীলঙ্কার রাজাপাকসে জনগণকে ডুবিয়ে মারতে চেয়ে উল্টো ঘটনা ঘটেছে।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন, ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুলহক নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের উত্থানকে সরকার ভয় পায়। এজন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা তো বলেছেন- পদ্মা নদীতে চুবাবেন। জনগণ সুযোগ পেলে আপনাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বুড়িগঙ্গা নদীতে চুবাবো। কারণ বুড়িগঙ্গার পানিতে ময়লা বেশি। ২০১৪ সাল কিংবা ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো নির্বাচন আর হতে দেবে না গণঅধিকার পরিষদ।
বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক জাফর মাহমুদ বলেন, এ সরকারের দুই গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন। সরকারের সব শরীরে ক্যানসার ধরেছে। এ সরকার মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার , কথার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সবাইকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদ যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, সাদ্দাম হোসেন, শাকিল জামান, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুজ জাহের ও সহকারী সদস্য সচিব ফাতেমা তাসনিম, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রিজওয়ান রুপ দীনেশ ও ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল আলম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।