মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইংল্যান্ডের অদ্বিতীয় ঐতিহ্য টেমস নদী। ব্রিটেনের বৃহত্তম নদী এটি। ৩৫৬ কিলোমিটারের টেমস লন্ডনের ভেতর দিয়ে বয়ে গিয়ে রাজধানীকে দুভাগে বিভক্ত করেছে। দেশটির জল সরবরাহের মূল উৎস এটি। তবে বিরূপ আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিস্থিতিতে পানি শূন্যতায় ভুগছে টেমস নদী। খবর এনডিটিভির
প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানায়, টেমস নদীর উৎসে পানির কোনো চিহ্ন নেই। নদীর পানির স্তর নিচের দিকে নামছে। কম বৃষ্টিপাত আর জুলাই মাসজুড়ে তাপপ্রবাহে যুক্তরাজ্যে রেকর্ড তাপমাত্রায় এ অবস্থা হয়েছে। আর এতেই খরার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে দেশটি। তবে এ জন্য তারা অপ্রস্তুত।
ব্রিটেনের আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত জুলাই ছিল সবচেয়ে রুক্ষ মাস। ১৯৩৫ সালের পর সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয়েছে এ মাসে। জুলাইয়ে সাধারণত ২৩ দশমিক এক শতাংশ বৃষ্টিপাত হয়। তবে গত জুলাইয়ে হয়েছে মাত্র এর ৩৫ শতাংশ। এমনকি কোথাও কোথাও এর থেকেও কম হয়েছে।
পাহাড় আর সবুজে ঘেরা কটসওল্ডস গ্রামীণ এলাকার অংশ সিরেন্সেস্টারের প্রাকৃতিক ঝর্ণা থেকে শুরু টেমস নদীর। তবে এবারের গরমে একদম শুষ্ক হয়ে গেছে উৎপত্তিস্থল। এমনকি পশ্চিম ইংল্যান্ডের গ্লুচেস্টারশায়ারের কেম্বেল ও সোমারফোর্ড কেইনস এলাকায় নদীর তলদেশে শুকনো পাতা আর মরা ডালপালা পড়ে আছে।
বিশেষজ্ঞদের তথ্যানুসারে, সাধারণত গ্রীষ্মকালে নদীর উৎপত্তিস্থল শুকিয়ে যায়। এমনকি নদীর পানি কমে যায়। গ্রীষ্মের এ অবস্থাকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। তবে চলতি মৌসুমে নদীর তলদেশ আগের বছরগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে আরও নিচের দিকে নেমে গেছে।
নদী নিয়ে যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে কাজ করা সংগঠন রিভারস ট্রাস্ট জানিয়েছে, স্বল্প বৃষ্টিপাত আর খরায় নদীটি উৎপত্তিস্থল থেকে সোমারফোর্ড কেইনস পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার নিচের দিকে সরে গেছে। নদীর স্রোত প্রবাহও দুর্বল।
নদী নিয়ে কাজ করা আলিসডেইর নোল বলেন, ‘পানি কমায় টেমসের গভীরতা কমে গেছে। অন্য সময়ে যে পাবের পাশে টেমসের পানি থাকতো এখন পানির ছোঁয়া পেতে সেখান থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে যেতে হয়। যে মাটি সর্বদা বেঝা থাকা উচিত তা এখন রুক্ষ।’
এক বিবৃতিতে রিভারস ট্রাস্টের পরিচালক ক্রিস্টিন কোলভিন বলেন, ‘টেমসের উৎসস্থলের যে চিত্র দেখতে পাচ্ছি তা দুঃখজনক। গ্রীষ্মে নদীর উৎস শুকিয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়, তবে ৫ মাইল পর্যন্ত নিচে চলে যাওয়া অকল্পনীয় ও অভূতপূর্ব বিষয়। আমরা যে বিপদের মুখোমুখি হচ্ছি এটি তার প্রতীক।’ সূত্র : এনডিটিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।