পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
আজ থেকে ১৬ বছর আগের ঘটনা। ২০০৬ সালের ৪ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের কানসাটে বিদ্যুতের দাবিতে মানুষ আন্দোলনে নেমেছিল। ঐ আন্দোলন দমন করার জন্য পুলিশ গুলি চালালে অন্তত ১৭ ব্যক্তি নিহত হয়। ১৬ বছর পর ৩১ জুলাই সেই একই বিদ্যুতের দাবিতে বিএনপির ডাকে মানুষ ভোলার প্রধান সড়কে নেমে আসেন। সেদিনের কানসাটের মতই ভোলাতেও কোনোরূপ পূর্বাহ্নিক ওয়ার্নিং ছাড়াই পুলিশ বেপরোয়া গুলি চালায়। এই গুলি বর্ষণে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলেই মারা যান। ভোলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমসহ অন্তত ৫০ জন এই গুলি বর্ষণে আহত হন। এই ৫০ জনের মধ্যে নূরে আলমসহ ৪ জন ছাত্রদল নেতা ও কর্মীর জখম গুরুতর হওয়ায় ঐ ৪ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম গত ৩ জুলাই মারা যান। নূরে আলমের কপালে ৬টি গুলি লেগেছিল। এই নিয়ে ভোলায় বিদ্যুতের দাবিতে ২ জন মারা গেল। কানসাট হত্যাকাÐের পর বিএনপি সরকারের গদি টলটলায়মান হয়। কিন্তু ভোলা হত্যাকাÐের পর আওয়ামী লীগ সরকারের জনপ্রিয়তায় বিপুল ধ্বস নামলেও তাদের গদি টলটলায়মান হওয়ার কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত প্রকাশ পায়নি। বিএনপিও এই গুলি বর্ষণজনিত হত্যাকাÐের প্রতিবাদে সারাদেশব্যাপী কঠোর কোনো কর্মসূচি দেয়নি। যদিও বিএনপির শোক সভায় হাজার হাজার লোক সমাগম হয়েছিল। এই কলামে যে ছবি দেখা যাচ্ছে সেই ছবি থেকেই বোঝা যায় যে, শোক সভার আয়তন ছিল কী বিশাল। গত মাস খানেক ধরে মির্জা ফখরুল থেকে শুরু করে বিএনপির বড় বড় নেতারা বলছেন যে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কার মতো হবে। এই সরকার নাকি পালাবার পথ পাবে না। এসব কথা বিএনপি নেতৃবৃন্দ গত দুই এক মাস ধরে অনর্গল বলে যাচ্ছেন। কিন্তু ২০১৫ সালের পর ২০২২ সালের আগস্টÑ অর্থাৎ এই ৭ বছরে বিএনপি রাজপথে নামেনি। কিন্তু হাট বাজার, বাস, ট্রেন এসব জায়গায় জনগণের আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, মানুষ শুধু বিদ্যুৎ নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য অকল্পনীয়ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং রাজনৈতিক তৎপরতা কঠোরভাবে সংকুচিত হওয়ায় এই সরকার অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন। কিন্তু বিগত ৭ বছরে শুধু বিএনপি নয়, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, চরমোনাইয়ের হুজুরের ইসলামী আন্দোলন, বামপন্থী দলগুলো এবং মধ্যবাম দলগুলো সরকারের প্রতি কোনো বড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেনি।
বহু বছর পর দেশে ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। ঢাকায় কোনো কোনো ক্ষেত্রে দিনে ২ ঘণ্টা লোড শেডিং হচ্ছে। কিন্তু সাধারণভাবে ঢাকা মহানগরীতে ১ ঘণ্টা লোড শেডিং হচ্ছে। ঢাকার বাইরের অনেক মফস্বল জেলাতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোড শেডিং হচ্ছে। এক কথায় বলা যায়, বাংলাদেশের ১৬ কোটি ৫১ লক্ষ মানুষ (সর্বশেষ আদমশুমারী অনুযায়ী) এই লোড শেডিংয়ে মারাত্মকভাবে অ্যাফেক্টেড হয়েছে। কিন্তু সচেতন জনগণের প্রশ্ন, লোড শেডিংকে তো যাদুঘরে পাঠানো হয়েছিল। এই কথাটি সত্যি। বেশ কয়েক বছর হলো, আমরা ঢাকায় লোড শেডিংয়ে পড়িনি। হাতিরঝিলে মহাসমারোহে বিদ্যুৎ উৎসব পালিত হয়েছিল। যেখানে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে মাসিক বিদ্যুৎ বিল উঠত ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, সেখানে এখন মাসিক বিল ৫০০০ থেকে ৭০০০ টাকা। বিদ্যুৎ বিল ৫ থেকে ৬ গুণ বৃদ্ধি পাওয়া সত্তে¡ও মানুষ সেটা মেনে নিয়েছিল। মেনে নিয়েছিল এই কারণে যে তাদের দৈনন্দিন সাংসারিক বাজেটের ওপর বিরাট চাপ পড়লেও অসহনীয় বিদ্যুৎ সংকট থেকে তো রক্ষা পেয়েছিল। সেই লোড শেডিং আবার কেন ফিরে আসলো? এ ব্যাপারে সরকার যে ব্যাখ্যা দেয় তা সাধারণ মানুষের জন্য স্পষ্ট ও পরিষ্কার নয়। বিরোধী দল অনেক কিছু বলে। কিন্তু তাদের বক্তব্যের সমর্থনে পরিমিত তথ্য ও পরিসংখ্যান দেয় না। তাহলে আসল ব্যাপারটি কী?
দুই
আসল ব্যাপারটি হলো, অর্থনীতির সেই সনাতন নিয়ম। অর্থাৎ চাহিদা ও সরবরাহের খেলা। সর্বশেষ হিসাবে দেখা যায় যে, বিভিন্ন সূত্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সংস্থাপিত সক্ষমতা হলো ২৫ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু এখন পর্যন্ত এত মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন নাই। বর্তমান চাহিদা হলো ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। সুতরাং প্রশ্ন হলো, চাহিদা না থাকা সত্তে¡ও ১০ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদনের অতিরিক্ত ক্যাপাসিটি ইন্সটল করা হলো কেন? অর্থাৎ প্রয়োজন না থাকা সত্তে¡ও অতিরিক্ত প্ল্যান্ট স্থাপন করা হলো কেন? ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদন করার ক্ষমতা তো আমাদের রয়েছে। তাহলে লোড শেডিং হচ্ছে কেন? হচ্ছে, কারণ, বর্তমানে উৎপাদন করা হচ্ছে ১২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ চাহিদার চেয়ে ২ হাজার ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন কম হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, কেন সক্ষমতা থাকা সত্তে¡ও ২ হাজার ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম উৎপাদিত হচ্ছে? সরকারি বক্তব্য হলো এই যে, জ¦ালানি সাশ্রয়ের জন্য নাকি উৎপাদন কমানো হয়েছে। কত দিন ধরে জ¦ালানি সাশ্রয় করতে হবে? সরকার বলছে, অক্টোবরের মধ্যে নাকি সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। সরকার এ কথাও বলছে যে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও নাকি আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো হচ্ছে। নিউইয়র্কের ‘বøুমবার্গ টেলিভিশন নেটওয়ার্কে’ বলা হয়েছে যে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বিশ^ব্যাপী জ¦ালানি সংকট থাকবে।
বিশ^ব্যাপী জ¦ালানি সংকটের কারণ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এ রকম কয়েকটি কলাম লিখতে হবে। সুতরাং সেদিকে আমরা যাচ্ছি না। আমরা বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছি এবং চেষ্টা করছি, অত্যন্ত সহজ ভাষায়, অর্থাৎ জনগণের ভাষায় সংকটের স্বরূপ তুলে ধরে এবং সমাধানের পথ সুপারিশ করতো।
জ¦ালানি সাশ্রয় বলতে সরকার কী বুঝাতে চাচ্ছে? এখানে আমাকে একটু টেকনিক্যাল পয়েন্টে যেতে হবে। জ¦ালানি উৎপাদিত হয় একাধিক সূত্র থেকে। সেগুলো হলো (১) ফার্নেস তেল, (২) প্রাকৃতিক গ্যাস, (৩) কয়লা, (৪) নবায়নযোগ্য জ¦ালানি, যথা, পানি বা হাইড্রোইলেকট্রিক, (৫) সৌর শক্তি ও (৬) উইন্ড (বায়ু) এনার্জি ইত্যাদি। বাংলাদেশে এতদিন ধরে যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছিল তার উৎস নি¤œরূপ: (১) গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ ৫১.৫৭% (২) ফার্নেস ওয়েল ভিত্তিক বিদ্যুৎ ২৭.২৫% (৩) ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ ৫.৮৬% (৪) কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ ৮.০৩% (৫) সৌর বিদ্যুৎ ০.৫৯% (৬) পানি ভিত্তিক বা হাইড্রোইলেকট্রিক ১.০৪% এবং (৭) ভারত থেকে আমদানি ৫.২৭%। মোট ১০০.০১%। এখান থেকে দেখা যাচ্ছে যে তেল এবং গ্যাস ভিত্তিতেই বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো ৫১.৯৭ + ২৭.২৫ + ৫.৮৬ ৮৫.০৮% (সূত্র: বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বার্ষিক রিপোর্ট, ২০২০-২১)।
আমি পরিসংখ্যান দিয়ে এই নিবন্ধটি ভারাক্রান্ত করতে চাইনি। তারপরেও কিছু কিছু তথ্য ও পরিসংখ্যান না দিলে সেটি পলিটিক্যাল রেটোরিক হয়ে যাবে। এখন প্রশ্ন হলো, এই যে ২৫ হাজার মেগাওয়াট সংস্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা, এরমধ্যে রেন্টাল এবং কুইক রেন্টাল প্ল্যান্টের সংখ্যা ১৬টি। ইতোপূর্বে এর সংখ্যা ছিল ২৬টি। এই ১৬টি রেন্টাল প্ল্যান্টের উৎপাদন ক্ষমতা হলো ১ হাজার ১০৯ মেগাওয়াট। এগুলোর মধ্যে ৭টি কেন্দ্র গ্যাস ভিত্তিক এবং তাদের উৎপাদন ক্ষমতা হলো ৩৫২ মেগাওয়াট। অবশিষ্টগুলি ফার্নেস তেল ভিত্তিক। তাদের উৎপাদন ক্ষমতা হলো ৭৫৭ মেগাওয়াট। এই রেন্টাল এবং কুইক রেন্টাল শুধু বিদ্যুৎ সেক্টর নয়, সমগ্র অর্থনীতির সর্বনাশ ডেকে এনেছে। এগুলো সব গ্যাস ও বিদ্যুৎ চালিত। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যকে সরকার ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি দিয়েছে। এর অর্থ হলো, কাদেরকে এসব কেন্দ্র স্থাপন করতে দেওয়া হবে, স্থাপন করার খরচ কত পড়বে, এর ফুয়েল হিসেবে যে তেল বা গ্যাস ব্যবহার করা হবে তার দাম কত হবে, তাদের কাছ থেকে সরকার যে বিদ্যুৎ কিনবে তার দাম কত হবে, ইত্যাদি কোনো কিছুতেই প্রশ্ন তোলা যাবে না বা আদালতে মামলা করা যাবে না। কাদেরকে দেওয়া হবে সে ব্যাপারে কোনো দরপত্র আহŸান করতেও সরকার বাধ্য থাকবে না।
কেন্দ্রগুলি উৎপাদন করুক আর না করুক, তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট অংকের ভাড়া দিতেই হবে। এই ভাড়াকে বলে ক্যাপাসিটি চার্জ।
শুরুতে বলা হয়েছিল যে, ২/৩ বছরের বেশি এসব রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল প্ল্যান্ট বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু ১২ বছর পার হয়ে গেছে। এখনও ১৬টি রেন্টাল প্ল্যান্ট রয়েছে। গত বছরের ফেব্রæয়ারি মাসে জ¦ালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন যে, গত ১০ বছরে সরকার তাদেরকে ভর্তুকি অথবা ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়েছে ৫২ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। এদের প্রতি ইউনিট উৎপাদন খরচ ফার্নেস তেল ভিত্তিক ১৩ থেকে ১৪ টাকা, ডিজেল ভিত্তিক ২৫ থেকে ৩০ টাকা। কিন্তু সরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইউনিট প্রতি খরচ সর্বোচ্চ ৫ টাকা ৮২ পয়সা। এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করতে হবে। সেটি হলো, যে কোনো কারণে এসব কেন্দ্র যদি বসে থাকে, অথবা তাদেরকে যদি বসিয়ে রাখা হয় তাহলেও তাদেরকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। এখন দেশের পলিটিশিয়ানরাই শুধু নন, বিশেষজ্ঞরাও বলছেন যে, চলতি বছরের জুলই মাস পর্যন্ত রেন্টাল এবং কুইক রেন্টালকে অন্তত লক্ষ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ বা ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
তিন
এখানে অনেক প্রশ্ন এসে ভিড় করে। আজকের এই একটি কলামে সবগুলো পয়েন্ট উল্লেখ করা সম্ভব নয়। কারণ, স্থান সংকুলান সমস্যা। এই ব্যাপারে আমাকে সম্ভবত আরো একটি বা দুটি কলাম লিখতে হতে পারে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, এই যে ২৬ বা ১৬টি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল প্ল্যান্টের অনুমোদন দেওয়া হলো, সেই অনুমোদন প্রাপ্তরা কারা? এ সম্পর্কে কোনো কোনো গণমাধ্যমে অন্তত ১৫ জন সৌভাগ্যবানের নাম দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে কত হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়েছে। সামিট গ্রæপের নাম তো প্রকাশ্যেই বলা হচ্ছে। এমনি আরো অনেক নাম এসেছে যাদের হাই লেভেল কানেকশনের কথাও বলা হয়েছে।
মাসে মাত্র ১১ শত মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় না করে সরকার যদি মাটির নিচে অবস্থিত গ্যাস ক্ষেত্র খনন করার কাজে ব্যাপৃত হতো অথবা ঙভভংযড়ৎব বা ঙহংযড়ৎব অর্থাৎ সমুদ্রের ভেতর বা তার কাছাকাছি এলাকায় গ্যাসক‚প খনন করতো অথবা গ্যাস আহরণের জন্য বিদেশিদের সাথে চুক্তি করতো তাহলে আজ বাংলাদেশ যে বিদ্যুৎ তথা গ্যাস ও তেলের ফাটা বাঁশে আটকে পড়েছে সেটি ঘটতো না। বরং বাংলাদেশ জ¦ালানিতে স্বয়ংসম্পন্ন হতো। সেক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাবিও করতে হতো না এবং মানুষকেও পুলিশের গুলিতে অকারণে প্রাণ দিতে হতো না।
আরেকটি পয়েন্ট আছে। সেটি হলো এলএনজি বা লিকুফায়েড গ্যাস, সোজা কথায় তরলীকৃত গ্যাস আমদানির উন্মাদনা। আজ স্থানাভাব। শুধু এটুকু বলছি যে, ১০ ডলারের এলএনজি এখন স্পট মার্কেটে, বিশেষ করে সিঙ্গাপুর থেকে ৪০ ডলারে কিনতে হচ্ছে। কেন এই ১২ বছর ধরে এলএনজির পেছনে ছোটা হলো? এলএনজি আনার পর প্রয়োজন হয় টার্মিনাল নির্মাণ। তারপর টার্মিনাল থেকে গ্রিডে সংযুক্তি। এই কাজে মুনাফা পাহাড় সমান। দেশীয় গ্যাস উত্তোলন করলে অথবা নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে তো ঐ মুনাফার পাহাড় থেকে বঞ্চিত হওয়া লাগতো। এ সম্পর্কে আজ আর বেশি বলা সম্ভব হচ্ছে না। সম্ভব হলে বারান্তরে বলবো, ইনশাআল্লাহ।
Email: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।