বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ধর্ষণের দায়ে খুলনার একটি আদালত মাসুদ গাজী (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আজ বুধবার বিকেলে যাবজ্জীবন সশ্রম কারদান্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম করাদন্ড দেওয়া হয়েছে। মাসুদ খানজাহান আলী থানার মাত্তমডাঙ্গা পূর্বপাড়া এলাকার মরিয়ম বেগমের ভাড়াটিয়া আব্দুর রহমান গাজী ওরফে দফাদারের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। খুলনা নারী নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আ: ছালাম খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: রুবেল খান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীর বাবা রাজমিস্ত্রির হেলপার। তারা খানজাহান আলী থানাধীন মাত্তমডাঙ্গা পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে কাজ করেন। কাজের সুবাদে তাকে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। তাছাড়া এ ঘটনা ঘটার ১ বছর আগে তার স্ত্রী মারা যান। সেই সুবাদে তার ১৬ বছর বয়সী একটি কন্যা ও ৮ বছর বয়সী ছেলেকে বাড়িতে একা থাকতে হয়।
এ সুযোগে তার প্রতিবেশী মাসুদ বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতে শুরু করে। ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর আসামি কিশোরীকে বাসায় ডেকে নেয়। শারিরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব কিশোরী অপারগতা করলে তার গলায় ধারালো দা ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেয় মাসুদ। একপর্যায়ে আসামি কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেওয়া হয়। এরপর কয়েকবার জোরপূর্বক মেলামেশা করে মাসুদ।
এক পর্যায়ে কিশোরী ৮ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়ে। এর মধ্যে কিশোরীর বাবা বাড়িতে আসলে ঘটনাটি তাকে প্রতিবেশীরা জানায়। তিনি মাসুদের স্ত্রীকে বিষয়টি জানালে উল্টা তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীর বাবা ২০১৬ সালের ২০ জুন বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ০৩) ধারায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ৭। এস আই মো: রোকনুজ্জামান একই বছরের ১১ ডিসেম্বর মাসুদকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।