গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অভিমান ভেঙে দীর্ঘ সময় পর বিএনপির প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে ভোলা জেলা সাবেক ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের জানাজায় অংশ নিতে হুইল চেয়ারে করে আসেন তিনি। জানাজায় অংশ নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের গুলি চালাতে হলে লিখিত অনুমতি নিতে হয়। আজকে দেশের এমন দুরাবস্থা যে, পুলিশ বিরোধী দলের মিছিলে বিনা অনুমতিতে গুলি চালানো হচ্ছে।
নিহত নূরে আলমের পরিবারের কাছে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এখনও সময় আছে তার পরিবারের প্রতি ক্ষমা চাওয়া উচিত। তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিশ্চিত করতে হবে, আন্দোলনকে বন্ধ করার চেষ্টা করবেন না। জনগণের কণ্ঠরোধ করে দেশ স্বাধীন করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনায় বসতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনও সম্ভব না। তিনি আরও বলেন, আমি অসুস্থ তাও তার জানাজায় অংশ নিতে এসেছি। আপনারা আন্দোলন করেন, আন্দোলন শেষ হলে আমি আপনাদের চা খাওয়াব।
গত ২৬ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন, 'বিএনপি লন্ডন থেকে আসা ওহি দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে'। খালেদা জিয়ার মুক্তি চাইলে তারেক রহমানকে দুই বছর চুপচাপ বসে থেকে লন্ডনে পড়াশোনা করার পরামর্শও দেন তিনি। ওইদিন তার এমন বক্তব্যের পর ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক কাউসার আক্রমণাত্মক হয়ে ডা. জাফরুল্লাহকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, 'ওস্তাদ স্লামালাইকুম। আপনি আমাদের নেতাকে নিয়ে কখনও এভাবে কথা বলবেন না। যদি বলেন পরবর্তী সময়ে কিছু হলে কিন্তু আমরা জানি না।'
এরপর বিএনপির নেতারাও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে ডা. জাফরুল্লাহর সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। বিষয়টি নিয়ে বিএনপি-ডা. জাফরুল্লাহর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যার ফলে গত কয়েক মাসে বিএনপির কোনো সভা-সমাবেশে অংশ নেননি তিনি। দীর্ঘ সময় বিএনপির প্রোগ্রামে ডা. জাফরুল্লাহ চেীধুরী অংশ না নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম না প্রকাশ শর্তে দলটির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ। তিনি সবসময় দেশের ভালো চান। কিন্তু আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়ে ওনার কোনো পরামর্শ বা অভিযোগ থাকলে সেটা আমাদেরকে জানাতে পারেন। ওপেন আলোচনা সভায় এভাবে সমালোচনা করা তো শোভনীয় নয়। তারপরও তিনি আজকে জানাজায় এসেছেন, এটা ভালো বিষয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।