পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আর চুপ করে থাকার সময় নেই। আপনারা মাঠে নামুন। সরকার ভয়ে আছে, পালিয়ে যাবে। রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মিলনায়তনে গতকাল এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মরহুম কাজী জাফর আহমদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সরকার এখন সব কিছুতেই ভয় পাচ্ছে। আজকে পুলিশ অকারণে পেটাচ্ছে। তাদেরকে গুলি করার অধিকার কে দিয়েছে? ভোলা, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নেত্রকোণা, রংপুরে যা হচ্ছে, এটা কি বাংলাদেশের ছবি? তাই বলছি এ সরকারের আর বেশিদিন সময় নেই। সবাই মাঠে নামুন। সরকার পালাবে।
নারায়ণগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তার কঠোর সমালোচনা করেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি সরকার প্রধানের উদ্দেশে বলেন, দেশ এভাবে চলতে পারে না। ভুল পদক্ষেপ ছেড়ে জনগণের সঙ্গে কথা বলেন। দেশে পরিবর্তন দরকার। কিন্তু বিদ্রোহ দরকার নেই।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে কাজী জাফর আহমদ নেই। কিন্তু অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। আমরা রাস্তায় নামলে ১৫ মাসের মধ্যে দেশে পরিবর্তন আসতে বাধ্য। আমরা লড়াইয়ে আছি, থাকবো ইনশাল্লাহ।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, কাজী জাফর আহমদ আরেকটা আসবে না। তাকে আজ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সমাজ পরিবর্তনের পূর্বশর্ত হলো গণতন্ত্র। মানুষ কোনো মতাদর্শ বুঝে না। তারা চায় তাদের অধিকার। আজকে নারায়ণগঞ্জসহ সারাদেশে যা হচ্ছে, তাতে সরকার দেশকে রক্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, কাজী জাফর আহমদ ছিলেন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। আজ যেভাবে দেশ চলছে, তা চলতে পারে না। আমরা ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করছি। ইনশাল্লাহ আমরা বাংলাদেশকে বদলে দিতে পারবো।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কাঠামো নিয়ে নতুনভাবে ভাবতে হবে। আমরা এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু সভাপতিত্বে ও হাবিবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের ভিপি নুরুল হক নূর, জাতীয় পার্টির (জাফর) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলাম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আক্তার হোসেন, ডা. সেলিম, বাবুল বিশ্বাসসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।