নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নদীমাতৃক বাংলাদেশের মানুষের জন্য সাঁতার একটি সহজ ব্যাপার হলেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গেমসের সুইমিংপুলে নামলেই যেন খেই হারিয়ে ফেলেন লাল-সবুজের সাঁতারুরা। যার ফলে বরাবরই ব্যর্থতার গøানি নিয়েই ঘরে ফিরতে হয় তাদের। বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসেও দেখা গেল একই চিত্র। সম্ভাবনার সাঁতারে এবারো কমনওয়েলথ গেমসে লাল-সবুজদের ভরাডুবি হয়েছে। বার্মিংহামের স্যান্ডওয়েলের অ্যাকুয়াটিক সেন্টার থেকে প্রতিদিনই আসছে হতাশার খবর। দেশসেরা সাঁতারু সোনিয়া খাতুন-আসিফ রেজারা হিটের গন্ডি তো পাড় হতে পারছেনই না, পাশাপাশি নিজেদের টাইমিংয়েও নেই তাদের কোন উন্নতি। আকর্ষণীয় সাঁতার ইভেন্টে প্রতিনিয়ত পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) কর্মকর্তারা। তাই তারা চাইছেন লাল-সবজের সাঁতারের উন্নতীর জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করতে। এ ধারাবাহিকতায় সাঁতারুদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য দেশে আধুনিক সুইমিংপুল নির্মাণ ও বিদেশি কোচের ব্যবস্থা করবে বিওএ। গতপরশু রাতে এমনটাই জানান বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
আধুনিক সুইমিংপুলের চাহিদা জানিয়ে ইতোমধ্যে বিশ^ সাঁতার নিয়ন্ত্রক সংস্থার (ফিনা) প্রধান হুসেইন আল মুসালামের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন শাহেদ রেজা। গেমস উপলক্ষে বার্মিংহামে আসা ফিনা প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশের সাঁতারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন বিওএ মহাসচিব। সেখানেই বাংলাদেশকে একটি সুইমিং পুল করে দেয়ার প্রæতিশ্রæতি দিয়েছেন ফিনা সভাপতি। সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন,‘অন্যান্য গেমসগুলোতে উন্নতি করলেও আমাদের সাঁতার দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে। সাঁতারের অবস্থা খুব একটা ভাল নেই। আমি ফিনা প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। উনি আমাদের একটা আধুনিক সুইমিংপুল করে দিবেন বলে প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন।’
আধুনিক পুল বলতে মিরপুর সুইমিং কমপ্লেক্সই আছে বাংলাদেশে। এখানেই জাতীয়, আন্তর্জাতিক সব ধরনের প্রতিযোগিতা হয়। মিরপুরের এই পুলটি বিশ^ মানের নয়। তাই সব সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি পুল বাংলাদেশকে বানিয়ে দিচ্ছে বিশ^ সাঁতারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সাঁতারকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে তৃনমূল পর্যায়ে প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচিতেও বাংলাদেশকে ফিনা সহায়তা দিবে বলে জানিয়েছেন শাহেদ রেজা, ‘ফিনা শুধু আমাদের একটা সুইমিং পুলই দিবে না, প্রতিভা অন্বেষনেও সাহায্য করবে। তাদের কথা হলো একেবারে স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করতে। যাতে ভবিষ্যতে তাদের মধ্য থেকে সেরা সাঁতারু খুজে বের করা যায়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।