মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারে চলমান সেনা নৈরাজ্যে রাখাইন প্রদেশের একটি সেনানিবাসে রোহিঙ্গা পুরুষদের গণহারে ধরে নেয়া হচ্ছে। অনেক নারীকেও তুলে নিয়ে যাচ্ছে সৈন্যরা। এসব নারীর কেউ কেউ সম্ভ্রম হারিয়ে ফিরছেন। তবে যেসব পুরুষকে সৈন্যরা ধরে নিয়ে গেছে, তাদের কাউকে এখনো পর্যন্ত ফিরতে দেখা যায়নি। আর যারা সৈন্যদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে গেছেন, তারা একমাস ধরে প্যারাবন, খাল ও গহীন পাহাড়ে লুকিয়ে আছেন। টেকনাফ-উখিয়ায় অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা এমনটাই বলছেন।
অনুপ্রবেশকারীরা বলছে, সেনানিবাসে ধরে নেয়া এসব রোহিঙ্গা পুরুষদের অনেককেই হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হতে পারে, অনেককে পুড়িয়েও ফেলতে পারে। অন্যথায়, এতদিন ধরে তাদের আটকে রাখার কথা না। আর যেসব নারীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে তাদেরও পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হচ্ছে। এরকম অনেক রোহিঙ্গা নারীর বেওয়ারিশ লাশ উত্তর মংডুর বিভিন্ন গ্রামে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। আর যেসব পুরুষ সৈন্যদের হাত থেকে বাঁচতে প্রদেশটির উপকূলীয় প্যারাবন, পাহাড়সহ দুর্গম এলাকাগুলোতে পালিয়ে আছে, তারাও খাবার-দাবারের অভাবে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। আবার হত্যার বিষয়টি যাতে ইন্টারনেট-ফেইসবুকে না যায়, সে বিষয়েও সৈন্যরা সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
রাখাইনের রাইম্যাবিল থেকে এসে টেকনাফের লেদা বস্তিতে আশ্রয় নেয়া মোহাম্মদ হোসেন জানান, সৈন্যদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে উত্তর মংডুর শীলখালি, কুইরখালি, জীবংখালী, খোয়ারবিল, ফুরমা, লোদাইন, চিংড়িপাড়া, বুইশ্চর গ্রামের পার্শ্ববর্তী দুর্গম এলাকাগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন পুরুষরা। তারা সৈন্যদের ভয়ে বাংলাদেশেও আসতে পারছেন না, আবার নিজ বাড়িতেও যেতে পারছেন না। সেখানে খাবার, পানির অভাবে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়লেও ওষুধ পাচ্ছেন না। তার উপর শীত নামতে শুরু করায় দুর্ভোগ আরো বাড়ছে। তার আত্মীয় রফিক মিয়া, সাইফুল্লাহ, জাহিদুর রহমানও একটি দুর্গম এলাকায় আটকে আছেন বলে দাবি করেন তিনি।
দুইদিন আগে উখিয়ার কুতুপালং বস্তিতে আশ্রয় নেয়া নুর আলম দাবি করেছেন, পুরুষদের সেনানিবাসে ধরে নিয়ে মধ্যযুগের দাসের মতো সেনা ব্যারাকের উন্নয়ন কাজে খাটানো হচ্ছে। ঠিকমতো খাবার-দাবার না পেয়ে অনেক রোহিঙ্গা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে কাজে অক্ষম হয়ে যাচ্ছে। তখন তাদের মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলা হচ্ছে।
রাখাইন রাজ্যে চলমান সেনা নৈরাজ্যে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত ৮০ জন রোহিঙ্গাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করা হলেও গণমাধ্যমের দাবি, ১৩০ জন রোহিঙ্গাকে ইতোমধ্যে হত্যা করা হয়েছে। তবে সেখান থেকে আসা রোহিঙ্গাদর ভাষ্যÑ জনসমক্ষে যাদের হত্যা করা হয়েছে কেবল তাদের সংখ্যাটাই সামনে এসেছে। এর বাইরে সেনানিবাসে কিংবা সেনা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গোপনে অনেককে হত্যা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গারা বলছেনÑ যে হারে রোহিঙ্গাদের ধরে নেয়া হয়েছে, মৃতের সংখ্যা কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। যদিও এখনো পর্যন্ত গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর রাখাইন প্রদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা সামনে আসছে না। সিএনএন, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।