পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভোলা সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা সদরের মহাজনপট্টিতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আনার দাবিতে বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে এ সংঘর্ষ হয়। নিহত ব্যক্তির নাম মো. আবদুর রহিম। তিনি সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলধী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি ওই ইউনিয়নের যুবদল নেতা বলে জানা গেছে। এদিকে এ ঘটনায় ১২ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শহরের মহাজনপট্টি বিএনপি অফিসের সামনে বিএনপি সমাবেশ করে। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাস্তায় বের হলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও লাঠিচার্জ ও গুলি করে। এতে সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন যুবদল নেতা আবদুর রহিম এবং আহত হয় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আবদুর রহিমকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ জানান, এলাকায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে বিএনপি নেতা আবদুর রহিম নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
ভোলার সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন সরদার জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন সময়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের ওপর লাঠি দিয়ে আঘাত সহ ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করে। পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোড়া ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় ১২ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
হামলার প্রতিবাদে ভোলায় বিএনপির সংবাদ সম্মেলন
ভোলায় বিএনপি কর্মীকে গুলি করে হত্যা ও নেতাকর্মীদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি করে আহত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভোলা জেলা বিএনপি। গতকাল বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীরের বাসভবনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের অহেতুক হামলা গুলিবর্ষণ করে দলীয় কর্মীকে আহত ও হত্যা করার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী গ্যাস ও বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছেন ভোলা জেলা বিএনপি। তারই ধারাবাহিকতায় সকালে দলীয় কার্যালয় জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ সভা শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল রাস্তায় নামতে না নামতেই কোন কারন ছাড়া মিছিলের উপর পুলিশ অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। পুলিশের পক্ষ থেকে মুহুর্মুহু টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটের আঘাতে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দলের আব্দুর রহিম নামে এক কর্মী নিহত হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় শতাধিক নেতাকর্মী। গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমসহ ৮ কর্মীকে বরিশাল শেবাচিমে নেয়া হয়। সেখানে ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে তাকে ঢাকা রেফার করা হয়।
এছাড়া বহু নেতাকর্মী আহত অবস্থায় পুলিশের ভয়ে বাসা বাড়িতে পালিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কি কারণে কেনো এই বর্বরতা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর নিশ্চিত তা করে আমরা কেউই বলতে পারছিনা। তিনি আরো অভিযোগ করেন, ভোলায় এমন কোন পরিস্থিতি হয়নি যেখানে পুলিশ এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড করতে পারে। কার ইশারায় কোন ইশারায় পুলিশ কেন কি কারণে এ ধরনের হামলা চালিয়েছে নেতাকর্মীদের উপর তা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডের জন্য সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। তা না হলে আগামী দিনে আরো কঠোর কর্মসসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ ট্রুম্যান, সহ-সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি খন্দকার আল আমিন সহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।