পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
পিএইচডি থিসিসে কমপক্ষে ৩টি থেকে ৪/৫ বা ৬টি এক্সপেরিমেন্ট সংযোজন করতে হয় (সুপারভাইজার, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে)। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থী যাতে করে প্রতিটি এক্সপেরিমেন্ট থেকে কমপক্ষে একটি করে পাব্লিকেশন করতে পরে সে লক্ষ্য নিয়ে এগুনো ভালো। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, এই প্রতিটি এক্সপেরিমেন্ট একটির সাথে অন্যটি যেন রিলেটেড হয়। অর্থাৎ কোনরকম খাপছাড়া হতে পারবে না। এক্ষেত্রে গোটা থিসিসের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট স্টোরি লাইন থাকতে হবে। প্রতিটি এক্সপেরিমেন্ট শেষ করার সাথে সাথে শিক্ষার্থীকে পাব্লিকেশনে জন্য ডিটেইলস আউটলাইন করা উচিত। এই আউটলাইন হবে একটি স্টোরি লাইনের উপর নির্ভর করে। কেননা, প্রত্যেক পাব্লিকেশনে একটি সুনির্দিষ্ট স্টোরি লাইন থাকতে হবে। সেই স্টোরি লাইন অনুযায়ী পাব্লিকেশনের জন্য নিজের ম্যানুস্ক্রিপ্ট লিখে ফেলতে হবে। এক্সপেরিমেন্ট শেষ করার সাথে সাথে পাব্লিকেশনের দিকে নজর দিলে বেশ কিছু সুবিধা আছে। যেমন: ম্যানুস্ক্রিপ্ট লেখার সময়ে ঐ একই এক্সপেরিমেন্টের অনেক উইক পয়েন্ট ধরা পড়তে পারে; বা এক্সপেরিমেন্টের সাথে আরও নতুন কিছু সংযোজন বা বিয়োজনের প্রয়োজন পড়লে সাথে সাথে সেটা করা যায়। সকল স্ট্যান্ডার্ড সম্পন্ন হলে ফাইনাল ম্যানুস্ক্রিপ্ট লিখে যে জার্নালের ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করে সেখানে সাবমিট করার জন্য ম্যানুস্ক্রিপ্টের ফর্মেট করতে হয়। পাব্লিকেশনের জন্য সঠিক জার্নাল বাছাই ও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এক্ষেত্রে সুপারভাইজার বা কো-সুপারভাইজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যেকোন এক্সপেরিমেন্ট পাব্লিশড হওয়া মানে সেটা স্থায়ীভাবে ভেলিডেশন হওয়া। তাই যত দ্রুত পারা যায় পাব্লিকেশনের দিকে নজর দেওয়া উচিত। তাছাড়া যেকোন প্রি-রিভিউ বা ভালো মানের জার্নালে পাব্লিকেশন বেশ দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়া। তাই এক্সপেরিমেন্ট শেষ করার সাথে সাথে কোনরকম আলসেমি না করে পাব্লিকেশনের দিকে নজর দিতে হবে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার পিএইচডি ডিগ্রির জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক পাব্লিকেশন লাগে সেটিও সময়ের ভিতর চুকে যায়। এছাড়াও দ্রুত পাব্লিকেশনে আরও কিছু সুবিধা আছে। যেমন: সুপারভাইজার শিক্ষার্থীর প্রতি বেশ প্লিজড থাকে, পিএইচডি ডিগ্রির সাথে সাথে পাব্লিকেশনের ঝামেলার পাঠ চুকে যায়, সর্বোপরি শিক্ষার্থীর মানসিক প্রেসার অনেক কমে যায়।
পাব্লিকেশন থাকলে শিক্ষার্থীদের মূল থিসিস লেখা নিয়েও তেমন কোনো ঝামেলা হওয়ার কথা নয়। থিসিসের সুনির্দিষ্ট স্টোরি লাইনের উপর ভিত্তি করে পাব্লিকেশন হলে শুধুমাত্র সেগুলোকে সাজিয়ে লিখলেই মূল থিসিস রেডি হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি এক্সপেরিমেন্টের একটির সাথে অন্যটির গভীর মিল খুঁজে বের করে থিসিস লিখতে হবে। যেমন, আগের এক্সপেরিমেন্টে এই অসুবিধা ছিল, পরবর্তী এক্সপেরিমেন্ট করে ওই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। একইক্রমে ধারাবাহিকভাবে বাকি এক্সপেরিমেন্টগুলোরও একটির সাথে অন্যটির যোগসূত্র থাকতে হবে।
থিসিসের এক্সপেরিমেন্ট সাজিয়ে তার সাথে ‘জেনারেল ইন্ট্রোডাকশান’ ও ‘লেটারেচার রিভিউ’ পার্ট যুক্ত করে থিসেসের ড্রাফট লিখে প্রি-ডিফেন্সের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। বলে রাখা ভালো প্রি-ডিফেন্সের সময় থিসিসের হার্ড কপি সাবমিট করা লাগে (বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে নির্ভর করে)। যদিও এই কপি পরবর্তীতে পরিমার্জন ও সংশোধন করা যায়। প্রি-ডিফেন্সের পার্ট ও বেশ কঠিন। এখানেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত এক্সপার্ট কমিটির সামনে প্রার্থীর বিগত দিনের যাবতীয় অর্জন উপস্থাপন করতে হয়। এসময়ে এক্সপার্ট কমিটি প্রার্থীর শেষ করা প্রতিটি এক্সপেরিমেন্টের সায়েন্টিফিক ভেলিডেশন করবেন। সেক্ষেত্রে যদি আগে থেকে পাব্লিকেশন থাকে তাহলে প্রার্থীর জন্য অনেক বেশি সুবিধা হয়। কেননা, সেগুলো ইতোমধ্যে ভেলিডেশন শেষ। তবে প্রি-ডিফেন্সের সময়ে প্রতিজন এক্সপার্ট পাব্লিকেশনের সাথে সাথে থিসিসের স্টোরি লাইনের উপর বেশি জোর দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রেও এক্সপার্টদের পক্ষ থেকে প্রার্থীর জন্য অনেক বেশি সাজেশন থাকে। এক্সপার্টদের সাজেশন অনুযায়ী থিসিস সংশোধন করে জমা দেওয়া লাগে। এক্ষেত্রে খুব বেশি সময় প্রার্থী পায় না। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এর পরবর্তী স্টেপে থিসিসের ঢ়ষধমরধৎরংস/ংরসরষধৎরঃু (অন্যের লেখা বা এক্সপেরিমেন্ট কপি করা হয়েছে কিনা যাচাই করা) চেকের জন্য পাঠানো হয়। সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই চেক করা হয়। প্লেজিয়ারিজম রেজাল্ট শতকরা ২০ ভাগের বেশি হলে প্রার্থী কোনভাবেই পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে না।
এর পরের ধাপ পার করাটা একজন প্রার্থীর পক্ষে একটু বেশি কঠিন। যেটাকে বলা হয় ‘ইষরহফ জবারব’ি (ব্লাইন্ড রিভিউ) প্রক্রিয়া। যেখানে প্রার্থীর এবং তাঁর সুপারভাইজারের কোনরকম তথ্য ছাড়াই এই রিভিউ প্রসেস হয়ে থাকে। ব্লাইন্ড রিভিউ এর পূর্বে প্রতিটি কলেজে জমাকৃত পিএইচডি শিক্ষার্থীর থিসিসের ফরম্যাট চেক করে ‘গ্রাজুয়েট স্কুল’ এর কাছে পাঠানো। গ্রাজুয়েট স্কুল সম্পূর্ণ ব্লাইন্ড রিভিউ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে। গ্রাজুয়েট স্কুল চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত হয়। প্রদেশভিত্তিক এই স্কুলের কাজ সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ক্যান্ডিডেটের থিসিসের ব্লাইন্ড রিভিউ, সার্টিফিকেট, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট প্রদান সহ ডিগ্রি রিলেটেড অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ করা। গ্রাজুয়েট স্কুল থিসিস পাওয়ার সাথে সাথে থিসিসের কন্টেন্ট দেখে রিলেটেড রিভিউয়ারের সাথে যোগাযোগ করে। যেখানে প্রতিটি থিসিসের রিভিউ করার জন্য তিনজন রিভিউয়ারের কাছে পাঠানো হয়। মোটামুটি মাস খানিকের মধ্যে (সামান্য কম বেশি হতে পারে) রিভিউ সম্পন্ন হয়ে রেজাল্ট চলে আসে। এখানে রিভিউয়ার, প্রার্থীর থিসিস মূল্যায়ন করতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর নম্বর দিয়ে থাকেন। যেগুলো যোগ করে গ্রেড নির্ধারিত হয়। এই গ্রেডের উপরই নির্ভর করে একজন প্রার্থীর বিগত চার বছরের ফলাফল। রেজাল্টের ক্যাটাগরি থাকে অ, ই, ঈ, উ এবং প্রতিটি ক্যাটাগরিকে প্রাপ্ত নাম্বারের উপর এভাবে সাজানো হয়: অ=৮৫-১০০, ই=৭৫-৮৪, ঈ=৬০-৭৪, উ<৬০। তিনজন রিভিউয়ারের প্রাপ্ত গ্রেড যদি এমন হয়: অঅঅ, অঅই, অইই, ইইই তাহলে সে পাশ। কমপক্ষে দুইটা ঈ বা একটা উ পেলেই সে ফেল। একটা ঈ পেলে পুনরায় আরেকবার (১ জনের কাছে) তার থিসিস পাঠানো হয় নতুনভাবে ব্লাইন্ড রিভিউতে। তবে প্রার্থী যে গ্রেডই পেয়ে থাকুক, রিভিউয়ারের কমেন্টের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জবাব দিতে হয়। কেননা প্রার্থীর লিখিত ‘পয়েন্ট টু পয়েন্ট’ দেওয়া জবাব পরবর্তী ধাপে যাচাই করা হয়। এখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়নটা এভাবে সাজানো। চীনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মের হেরফের হতে পারে। বাইরের দেশে এই নিয়ম আছে কিনা সে বিষয়ে আমার ধারনা নেই। শুনেছি যদি থিসিস মূল্যায়ন কমিটি/এক্সপার্ট কমিটি এবং সুপারভাইজার রাজি থাকে তাহলে সেখানে ডিগ্রি পেতে সমস্যা হয়না। কিন্তু চীনের এই ব্লাইন্ড রিভিউ প্রসেসে সুপারভাইজারগণ একেবারে নিরুপায়। এই ব্লাইন্ড রিভিউ প্রসেসে কতটা গোপনীয়তা অবলম্বন করা হয় সেটা ইতোমধ্যে যারা চীনে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন তারাই অনুধাবন করতে পারবেন। চীনাদের নিয়মের এতটা কড়াকড়ির কারণ সম্পর্কে আমার কো-সুপারভাইজার বলেছিলেন ‘কোয়ালিফাইড ক্যান্ডিডেট ছাড়া অন্য কারো জন্য পিএইচডি ডিগ্রি না। গবেষণার ক্ষেত্রে যাতে কোন স্বজনপ্রীতি বা তেলবাজি না হয় এজন্য চীনের উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থায় এত কড়াকড়ি আরোপ করা হয়’।
সাফল্যের সাথে ব্লাইন্ড রিভিউ পাশ করার পরে রিভিউয়ারের কমেন্ট মোতাবেক থিসিস পেপার পরিমার্জন ও সংশোধন করে চূড়ান্ত ফরমাল ডিফেন্সের জন্য প্রস্তুত করতে হয়। সাধারণত সুপারভাইজার ফরমাল ডিফেন্সের আয়োজন করেন। এক্ষেত্রেও বাইরের এক্সপার্টের সাথে কলেজের এক্সপার্ট টিম নিয়ে গঠিত কমিটির সামনে প্রার্থী তার চূড়ান্ত ডিফেন্স উপস্থাপনা করেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একজন এক্সটারনালের সমন্বয়ে ডিফেন্স কমিটি গঠিত হয়। আবার কোথাও কোথাও একের অধিক এক্সটারনাল থাকে। যেমন, আমার ফরমাল ডিফেন্সের সময় বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের (এক্সটারনাল) তিন জন এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ জন মিলে মোট আট জনের কমিটি হয়েছিল। তবে যে কয়জনই থাকুক না কেন, বিগত দিনগুলোর ফলাফল যদি প্রার্থীর পক্ষে থাকে তাহলে বলা যায় চূড়ান্ত ডিফেন্স খুব বেশি কঠিন কিছু না। শুধুমাত্র ফরমালিটি বা আনুষ্ঠিকতা। তারপরেও এখানে এক্সপার্ট কমিটি থিসিসের বেশ কিছু সংশোধন দিয়ে থাকেন।
সমস্ত ফরমালিটিস সম্পন্নের পরের কাজটুকু একজন পিএইচডি প্রার্থীর জন্য বেশ আনন্দের। ফরমাল ডিফেন্সের পরে এক্সপার্ট কমিটির যিনি চেয়ারম্যান থাকেন তিনিই প্রার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে চূড়ান্ত ডিগ্রির ফলাফল জানিয়ে দেন। এরপর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রার্থীর আনুষ্ঠানিক ডক্টরেট স্বীকৃত দেয়া হয়। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রতিবছর এই সমাবর্তনের আয়োজন করে। একজন প্রার্থী তিনি অনার্স, মাস্টার্স বা পিএইচডি শেষ করেই এই সমাবর্তনে অংশ নিতে পারে। এক্ষেত্রে সব কলেজের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই সমাবর্তনের আয়োজন করে থাকে। সেজন্য প্রতিজন গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থী কমপক্ষে ২টি সমাবর্তনে অংশ নিতে পারে। একটি নিজের কলেজ কর্তৃপক্ষের আয়োজনে অন্যটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে। এই সময়টাতে চীনের সব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে সমাবর্তনের পোশাক পরা ঝাঁক ঝাঁক মেধাবীদের পদচারনায় মুখরিত থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আনন্দঘন ও স্মৃতিময় মুহূর্তগুলোকে স্মরণীয় করে রাখতে বন্ধুবান্ধবদের সাথে সদ্য ডিগ্রিপ্রাপ্তরা মেতে ওঠেন ক্যামেরা বন্দি করতে। শেষ হয় জীবনের কঠিনতম অধ্যায়গুলোর একটি।
একানে অতিসংক্ষেপে পিএইচডি ডিগ্রি’র সারসংক্ষেপ বর্ণনা করা হলো। পিএইচডি চলাকালীন পুরো সময়টাতে একজন প্রার্থীর ব্যক্তিত্বকে পূর্ণরূপে ভেঙ্গে আরও মজবুত করে তোলে। এই প্রক্রিয়ার সফলতা নির্ভর করে পিএইচডি সুপারভাইজরের জ্ঞান এবং দক্ষতার উপর। এখানে প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন সমস্যা ফেস করতে হয়। একটা সমাধান করতে করতেই অন্য দুইটা সমস্যা এসে দাঁড়ায়। যেগুলো একজন শিক্ষার্থীর নিজের চিন্তাশক্তিকে অনেকাংশে বাড়িয়ে কঠিন ও বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে সাহায্য করে। নিজের গবেষণার নানা ধরণের সমস্যার পাশাপাশি ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনের অনেক সমস্যা এ সময় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
সাইন্স সবসময় পরীক্ষিত ও প্রমাণিত। সাইন্সের বিষয়াদি ল্যাবওয়ার্ক ছাড়া কখনো সম্ভব নয়। তাই অনলাইন পিএইচডি থেকে সবসময় দূরে থাকুন। এটি হলো হলো প্রভাবশালী, পয়সাওয়ালা, ভন্ড ও প্রতারকদের জন্য। যদিও কর্মক্ষেত্র ফায়দা লোটা এবং নিজেকে লোক দেখানো বিদ্বান বলে জাহির করতে আমাদের সমাজে এধরণের সুযোগ সন্ধানীদের সর্বত্রই দেখা যায়।
পিএইচডি ডিগ্রি একজন প্রার্থীর জ্ঞানের পরিধি বাড়ায়। যাদের ভবিষ্যতে গবেষণা পেশায় থাকার ইচ্ছা আছে কেবলমাত্র তাদের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ইচ্ছা পোষন করা উচিৎ। পিএইচডি শুরু করার আগে পিএইচডি সম্পর্কিত বিষয়াদি জেনে শুনে তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আমি এখানে খুব সংক্ষেপে আমার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করলাম। আগ্রহীরা অনলাইন ঘাঁটলে আরও অনেক বেশি তথ্য জানতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই দেশ, কাল, বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে প্রত্যেকের অভিজ্ঞতা ভিন্ন থেকে ভিন্নতর হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব কথার মদ্দাকথা হলো, পিএইচডি’র পুরো সময়টা নিয়মে ঘেরা। নিদারুণ মানসিক চাপ, কঠিন অধ্যাবসায়, সফলতা-ব্যর্থতার বহু স্মৃতি নিয়ে হাঁটিহাঁটি পা পা করে লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছানোর পরে শেষ হাসিটা কিন্তু আপনিই হাসবেন। (সমাপ্ত)
লেখক: গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।