গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (৩১ জুলাই) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে সোহল নামে একজনের নাম জানা গেছে। তাকে গতরাতে রাজধানীর নটরডেম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি দুজনের নামপরিচয় জানা যায়নি। তাদের শনিবার বিকেলে আটক করা হয়েছিল বলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
তবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি।
গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরের আমতলী এলাকার রাস্তায় অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম টিপু। তার মাইক্রোবাসের পাশে দাঁড়িয়ে গুলি ছোঁড়ে হেলমেটধারী আততায়ী। ওই সময় গাড়ির কাছেই রিকশায় থাকা বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতিও গুলিতে নিহত হন। আহত হন টিপুর গাড়ি চালক মুন্না।
এক থেকে দেড় মিনিটের অপারেশন শেষে পালিয়ে যায় পেশাদার খুনিরা। ১২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে টিপুর দিকে। ঘটনাটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলে গত ২৬ মার্চ রাতে বগুড়া থেকে মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশ নামে একজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ব্যক্তিই টিপুকে গুলি করেছিলেন। পরে আরফান উল্লাহ দামাল নামে আরও একজনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয় কমলাপুর থেকে।
এরপর ২ এপ্রিল মুসার ভাই সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ চারজনকে গ্রেফতার করার কথা জানায় র্যাব। ওই সময় র্যাব বলেছিল, চাঁদাবাজি ও দরপত্র নিয়ে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব, রিয়াজুল হক মিল্কী হত্যার বদলা এবং বোঁচা বাবু হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে টিপুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ওমর ফারুকসহ স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। বাজেট ছিল ১৫ লাখ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।