মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সাইবেরিয়া থেকে সাংহাই পর্যন্ত গ্যাস পাঠাতে পারে এমন প্রথম পাইপলাইন নির্মাণের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে চীন ও রাশিয়া। চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া অনুসারে, এটি ডিসেম্বর ২০১৯ সালে উত্তর চীনে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা শুরু করে।
এ পাইপলাইনের রাশিয়ায় অবস্থিত অংশটিকে বলা হয় ‘পাওয়ার অফ সাইবেরিয়া’। চীনে, পাইপলাইনটি দেশের পূর্ব দিকে, রাজধানী বেইজিং এবং সাংহাই পর্যন্ত চলে গেছে। মধ্যম পর্বটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করেছে এবং চূড়ান্ত দক্ষিণ অংশটি ২০২৫ সালে গ্যাস সরবরাহ শুরু করতে প্রস্তুত বলে চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জ্বালানি কোম্পানি, রাশিয়ার গ্যাজপ্রম এবং চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, প্রায় আট বছর ধরে পাইপলাইন তৈরি করছে।
এমন সময়ে এ পাইপলাইন তৈরির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে যখন, মস্কো যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমামিত্রদের দ্বারা একের একের পর নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হচ্ছে। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন হচ্ছে রাশিয়ার একটি বড় গ্রাহক যারা ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে রুশ গ্যাস আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ হ্রাস করার লক্ষ্য রাখে। অন্যদিকে, চীন তার শক্তির উৎসকে বহুমুখী করার চেষ্টা করছে। বেইজিং ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেনে অভিযানের জন্য মস্কোর নিন্দা করতে অস্বীকার করেছে। চীন-রাশিয়া গ্যাস পাইপলাইনের স্কেল নির্দেশ করে যে, এটি বেইজিংয়ের জন্য অনেকগুলি জ্বালানি বিকল্পের মধ্যে একটি মাত্র।
যদিও রাশিয়া চীনের সাথে তার পাইপলাইন চুক্তিতে ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে বলে জানা গেছে, তবে চীন ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে মোট ৩৮১ কোটি ডলারের প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করেছে। এ বছরের প্রথমার্ধে চীনের কেনাকাটার গতি বেড়েছে – যা এক বছর আগের থেকে প্রায় বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় তিনগুণ (১৬৬ কোটি ডলার) হয়েছে। চীন মূলত অপরিশোধিত তেল বেশি আমাদনি করে। সে তুলনায় প্রাকৃতিক গ্যাস চীনের জ্বালানি আমদানির একটিক্ষুদ্র ভগ্নাংশ হিসাবে রয়ে গেছে।
রাশিয়ান বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স অনুসারে, পাইপলাইনের মাধ্যমে চীনে গ্যাজপ্রমের গ্যাস রপ্তানি বছরের প্রথমার্ধে ৬৩ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫০ কোটি ঘনমিটার হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শুরুতে, চীন এবং রাশিয়া তাদের বার্ষিক গ্যাস ক্রয় চুক্তিতে পরিমাণ বাড়িয়ে ১ হাজার কোটি ঘন মিটার করেছে - তারা কখন এটি কবে ঘটবে তা নির্দিষ্ট করেনি তবে বলেছিল যে এটি একটি ‘দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি’।
দুই দেশ সাইবেরিয়া থেকে মঙ্গোলিয়ার মধ্য দিয়ে প্রত্যাশিত একটি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করেছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস এই মাসে রিপোর্ট করেছে যে মঙ্গোলিয়া আশা করছে নতুন গ্যাস পাইপলাইন, ‘পাওয়ার অফ সাইবেরিয়া ২’ নামে পরিচিত, দুই বছরের মধ্যে নির্মাণ শুরু হবে। সূত্র : সিএনবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।