মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার উপরে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরে এবার প্রথমবারের মত চীনও এর আওতায় পড়ে যাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মস্কো এবং বেইজিং। প্রতিক্রিয়ায় ‘এর ফলাফল ভোগ করতে হবে’ বলে গত শুক্রবার তারা যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হুমকি দিয়েছে।
রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকোভ বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে।” পাশাপাশি চীনও যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে।
সারা বিশ্বের উপর খবরদারি করে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টায় বিরক্ত হয়ে চীন ও রাশিয়া বিকল্প হিসেবে একত্রিত হয়ে তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার পথ বেছে নিয়েছে এবং এর অংশ হিসেবে চলতি মাসের প্রথমদিকে মস্কোর আয়োজিত এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় এক সপ্তাহব্যাপী সামড়িক মহড়ায় চীনও অংশগ্রহণ করেছিল।
রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পর যুক্তরাষ্ট্র আগেই ঘোষণা করে রেখেছিল মস্কোর সাথে কোন দেশ লেনদেন করলে তাদের উপরেও শাস্তি হিসেবে কী কী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। গত বৃহস্পতিবার, ওয়াশিংটনের সাথে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের মধ্যেই আবার নতুন করে সেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও জড়িয়ে পড়ল।
সম্প্রতি রুশ সরকারের কাছ থেকে ১০টি সুখোই এসইউ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং এস-৪০০ ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র কেনার দায়ে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘ইকুইপমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট’ (ইডিডি) এবং এর ডিরেক্টর লি শাংফু-র উপর আর্থিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি নির্দেশিকায় সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছে নিষেধাজ্ঞা তুলে নাও অথবা এর ফল ভোগ করতে হবে।
চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল নিয়মকানুনকেই লঙ্ঘন করেছে। একই সঙ্গে দু’টি দেশ (চীন ও আমেরিকা) আর দু’দেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্কে ভীষণভাবে আঘাত করেছে। আমরা আন্তরিকভাবে ওই ভুল শুধরে নিতে বলছি আমেরিকাকে। না হলে পরিণতি ভাল হবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, তৃতীয় কোন দেশ হিসেবে ‘ক্যাটসা’ নিষেধাজ্ঞায় প্রথম পড়া দেশ হচ্ছে চীন। এর মাধ্যমে অন্য দেশগুলোকে বার্তা দেয়া হলো যে, মস্কোর উপরে দেয়া নিষেধাজ্ঞা না মানলে যুক্তরাষ্ট্র কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে। সূত্রঃ ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।