Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীন-রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে যাত্রীবাহী জেট নির্মাণ প্রকল্প ঝুঁকিতে

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২২, ১:২৭ পিএম

চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বিমান চালনার সবচেয়ে বড় যৌথ উদ্যোগের ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে। কারণ লভ্যাংশ কীভাবে ভাগাভাগি হবে এবং পশ্চিমা কোম্পানির সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। ডেইলি টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
দুটি সূত্র বলছে, রাশিয়ানরা অসন্তুষ্ট, কারণ সিআর-৯২৯ নামের একটি নতুন প্যাসেঞ্জার জেট তৈরির জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পে অংশ নিতে পশ্চিমা কোম্পানিগুলো আমন্ত্রণ জানাতে চায় চীন।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এর একটি মূল কারণ হলো বেইজিং আশা করে সিআর-৯২৯ যাত্রীবাহী জেটটি পশ্চিমা বিমান সেবার যে মান তা পূরণ করবে। প্রশস্ত বডির জেটটি ডিজাইন করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে উড়ানোর জন্য। সুতরাং ইউরোপীয় এবং আমেরিকান নির্মাতাদের সঙ্গে কিছু অর্ডার ভাগ করে কিছু মূল উপাদান বেছে নেওয়া ভালো হবে।
সূত্র আরও জানায়, বেইজিং একটি আমেরিকান বা জার্মান আন্ডারক্যারেজ ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু দুর্বল নিরাপত্তা রেকর্ড সত্ত্বেও রাশিয়া তাদের নিজস্বটি ব্যবহার করার জন্য জোর দিচ্ছে।
সূত্র বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পশ্চিমের কাছে সাদা পতাকা দেখানোর মতো পশ্চিমা উপাদানগুলো ব্যবহার করার জন্য বেইজিংয়ের পছন্দকে বিবেচনা করছে রাশিয়ার পক্ষ।
দূর-পাল্লার জন্য সিআর৯২৯-৬০০ জেটটি তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। ২৮০ সিটের যাত্রীবাহী জেট চীনের সাংহাইভিত্তিক বাণিজ্যিক বিমান কর্পোরেশন এবং রাশিয়ার ইউনাইটেড এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন যৌথভাবে তৈরি করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বোয়িং এবং ইউরোপের এয়ারবাসের মতো আন্তর্জাতিক নির্মাতাদের চ্যালেঞ্জ করার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে প্রকল্পটি চালু হয়েছিল।
অন্য একটি সূত্র বলছে, চীন চাচ্ছে তাদের বাজারে লাভের একটি অংশ থেকে রাশিয়াকে বাদ দিতে। পরিবর্তে বাকি বিশ্ব থেকে প্রাপ্ত মুনাফা ভাগ করে নিতে চায়, যেখানে রাশিয়ার শেয়ার ৭০ শতাংশ। কিন্তু চীনের বাজার অন্য যেকোনো স্থানের তুলনায় অনেক বেশি লাভজনক হতে পারে, যার অর্থ এই উদ্যোগ থেকে রাশিয়ার লাভের সম্ভাবনা অনেক কম হবে।
আরেকটি সূত্র বলছে, ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে শুধুমাত্র চীনা বাজারেই ভবিষ্যতে ৩ হাজারের বেশি বেশি ওয়াইডবডি বিমানের প্রয়োজন হবে, যাতে বোয়িং এবং এয়ারবাসের বর্তমান বাজারের শেয়ার অপরিবর্তিত থাকে।
মস্কো বুঝতে পেরেছে যে চীনের বাইরে বোয়িং এবং এয়ারবাসের মতো প্রতিযোগীদের থেকে সম্ভাব্য গ্রাহকদের টানা সিআর৯২৯ এর পক্ষে কঠিন হবে।
রাশিয়ান গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, দেশটি এই প্রকল্প থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়ার কথা বিবেচনা করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন-রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ