মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে দুই পরাশক্তি চীন-রাশিয়ার যৌথ ব্যবসা প্রায় ৫২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি।
পশ্চিমাগোষ্ঠীর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার বাণে জর্জরিত রাশিয়া নিজের বিশ্বস্ত ব্যবসা সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছে চীনকে। চীনও হতাশ করেনি রাশিয়াকে। চীনের রাজস্ব বিভাগের তথ্যমতে, ইউরোপ থেকে নিজের ব্যবসার সিংহভাগ এশিয়ার শক্তিধর দেশ চীনে নিয়ে আসায় গত বছরের তুলনায় এ বছর দেশ দুটির ব্যবসা বেড়েছে ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ। চীনা মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩৪৪ বিলিয়ন ইউয়ান।
চীনের রাজস্ব বিভাগের জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত চীন রাশিয়াতে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ রফতানি বাড়িয়েছে, বাজারে যার মূল্যমান ২০ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। এদিকে চীনের বাজারে রাশিয়ার পণ্য বিক্রি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ (৩০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার)। এ ছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়েছে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ (১২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন)। ফেব্রুয়ারির শেষার্ধে ও মার্চে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়া ৭০ শতাংশ জ্বালানি তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লা ইউরোপের পরিবর্তে চীনে রফতানি করেছে। এছাড়া চীনের বাজারে রাশিয়ান কপার, কাঠ, ফুয়েল ও সামুদ্রিক খাদ্যপণ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
এদিকে রাশিয়া থেকে পশ্চিমা কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার সুবাদে রাশিয়ার বাজার দখল করেছে চীন। রাশিয়ার বাজার চীনা স্মার্টফোন, বাচ্চাদের খেলনা, জুতা, মোটরসাইকেল, এসি ও কম্পিউটারে সয়লাব হয়ে গেছে। ২০২০ সালে মহামারিকালে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রায় ১০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা হয়েছিল। ২০২১ সালে রেকর্ড পরিমাণ দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা করে রাশিয়া-চীন। গত বছর দেশদুটি দ্বিপাক্ষিকভাবে প্রায় ১৪৭ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের সময় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাশাপাশি রাশিয়ার তেল ও গ্যাস খাতে ১১৭ বিলিয়ন ডলারের চীনা বিনিয়োগেরও চুক্তি করেন দুই নেতা।
এদিকে সুইফট থেকে রাশিয়া বাদ পড়ায় বর্তমানে চীনের সঙ্গে ইউয়ানে লেনদেন বাড়িয়েছে মস্কো। আগে দুই দেশের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ লেনদেন ইউয়ানে হলেও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ হার বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে মার্চ থেকে ইউয়ান ব্যবহার করে জ্বালানি কিনছে চীনের পেট্রো কেমিক্যাল কোম্পানিগুলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।