Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৎস্য সপ্তাহে শ্রেষ্ঠ পোনা চাষী প্রতিষ্ঠান বিরামপুরের তাজ এগ্রো ফার্ম পেল স্বর্ণপদক!!

বিরামপুর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা, | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২২, ৫:৩৪ পিএম

দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার তাজ এগ্রো ফার্মের মালিক বিরামপুরের আবু সালেহ মো. তারেক দেশের শ্রেষ্ঠ মাছ চাষী হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পুরস্কার স্বর্ণপদক পেয়েছে ।

জানা যায়, গত রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ /২০২২ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, এতে মাছের গুণগতমানের পোনা উৎপাদনে দেশের শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষী বিরামপুর উপজেলার কৃতি সন্তান আবু সালেহ মো. তারেক মৎস্য খাতে উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পুরস্কার স্বর্ণ পদক পেয়েছেন। সাথে নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর শেষে চাকরির পিছনে না দৌড়িয়ে নিজ উদ্যোগে মৎস্য চাষের জন্য বিরমপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নে গ্রামের বাড়িতে গড়ে তোলেন ছোট বড় ৬৭ বিঘা মোট ১৪ টি পুকুর। তাজ এগ্রো ফার্ম বিরামপুর নামে একটি মৎস্য হ্যাচারী গড়ে তোলেন। এখানে দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় চার হেক্টর জলাশয় উন্নত মানের পোনা মাছ চাষ করে সাড়া ফেলেছেন এ অঞ্চলে। শত শত মাছ চাষীরা এখান থেকে পোনা মাছ সরবরাহ করে। আবু সালেহ মো.তারেক বিরামপুর পৌর শহরের ইসলাম পাড়া এলাকার বাসিন্দা বিরামপুর সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যাক্ষ এ কে এম শাহাজান এর ছেলে। তার বড় ভাই বিরামপুর সরকারি কলেজের অধ্যাপক ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে সাংবাদিক।

জানা যায়, পুরস্কার প্রাপ্ত মৎস চাষী আবু সালেহ মোহাম্মদ তারেক ২০১৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকত্তোর শেষ করে চাকুরির পেছনে না ছুটে ছোটবড় মোট ১৪টি পুকুর নিয়ে ৬৭ বিঘার তাজ এগ্রোফাম নামের একটি মৎস্য প্রজেক্ট গড়ে তোলেন।

স্বত্বাধিকারী আবু সালেহ মো.তারেক জানান, তাজ এগ্রোফার্মে দেশীয় প্রজাতির উন্নতজাতের পোনা উৎপাদন এবং রয়েছে উন্নত প্রযুক্তি এবং আধুনিক মৎস্য চাষ ব্যবস্থাপনা। চার হেক্টর একটি পুকুরে দেশি প্রজাতির মাছের পোনা চাষ করে ৪৬ লক্ষ্ টাকা বিনিয়োগ করে পোনা মাছ উৎপাদন করে এ বছরে তার আয় হয় ৮৩ লক্ষ টাকা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.কাওসার হোসেন জানান, বিরামপুর উপজেলায় ২ হাজার ২শ টি পুকুর রয়েছে। মৎস্য চাষী রয়েছে ১ হাজার ৬ শ জন। এ ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ে রয়েছে এক (একর) এর অধিক ৭শ টি‘ পুকুর। জাতীয় পর্যায়ে তাজ এগ্রো ফার্মের মালিক আবু সালে মোঃ তারেক জাতীয় পর্যায়ে বিরামপুর উপজেলা থেকে পোনা উৎপাদনকারী মৎস্য চাষির নাম ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই অন্তে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে পাঠানোর পর কর্তৃপক্ষ তাকে দেশসেরা মৎস্য চাষে নির্বাচন করেন। বিরামপুরের তিনিই প্রথম স্বর্ণপদক প্রাপ্ত মৎস্য চাষী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বর্ণপদক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ