মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরকে সামনে রেখে তাইওয়ানের ওপর নো ফ্লাইজোন প্রতিষ্ঠা করতে পারে চীন। এমনটাই আশঙ্কা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। চীন এই পদক্ষেপ নিলে স্পিকার পেলোসির সফর গোলমেলে অবস্থার মধ্যে পড়তে পারে। আসন্ন সফরকে ঘিরে এরইমধ্যে আমেরিকা এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী মাসে তার এই সফর করার কথা রয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এও আশঙ্কা করছে যে, ন্যান্সি পেলোসির সফরের সময় চীন তাইওয়ানের ওপর তার যুদ্ধবিমান ওড়াতে পারে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পেলোসি তাইওয়ান সফর করতে পারেন বলে অন্তত তিনটি সূত্রে জানা গেছে। যদিও সা¤প্রতিক সময়ে আমেরিকার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং আইনপ্রণেতা তাইওয়ান সফর করেছেন তবে ন্যান্সি পেলোসির সফর হবে গত ২৫ বছরের মধ্যে আমেরিকার সর্বোচ্চ কোন আইনপ্রণেতার পক্ষে প্রথম তাইওয়ান সফর। এর আগে ১৯৯৭ সালে রিপাবলিকান দলের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার যুদ্ধবাজ নিউট গিঙরিচ তাইওয়ান সফর করেন। খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি আগামী মাসে তাইওয়ান সফরের কথা ভাবছেন বলে গত সপ্তাহে জানায় ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। পেলোসির আগামী মাসের সম্ভাব্য তাইওয়ান সফর নিয়ে জো বাইডেন প্রশাসনকে চীন ভেতরে ভেতরে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। শনিবার তাদের প্রতিবেদনে চীনের হুঁশিয়ারির সঙ্গে পরিচিত ছয়জন বলেছেন, আগে তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ও কর্মকান্ডে অসন্তুষ্ট হলে বেইজিং যেসব হুঁশিয়ারি দিত, এবারের হুঁশিয়ারিগুলো তার চেয়েও কড়া মনে হচ্ছে। এসব হুঁশিয়ারির মাধ্যমে সম্ভাব্য সামরিক প্রতিক্রিয়ারই ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে, এ ধরনের পরিস্থিতি সম্বন্ধে ধারণা রাখেন এমন একাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস। তাদের এ প্রতিবেদনের বিষয়ে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি; বার্তা সংস্থা রয়টার্স রোববার এ প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য চাইলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের কাছ থেকে সাড়া পায়নি। চীন তাইওয়ানকে তাদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে। মূল ভুখন্ডেরর সঙ্গে দ্বীপটিকে একীভ‚ত করতে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ করারও হুমকি দিয়ে রেখেছে তারা। বেইজিং সা¤প্রতিক বছরগুলোতে তাইওয়ানের আশপাশে সামরিক কর্মকান্ডের মাত্রাও বাড়িয়েছে। রয়টার্স, ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।