মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী বিক্ষোভকারীদের ‘নিষ্ঠুরভাবে দমন’ করার পর রাজধানীতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সৈন্যরা সংলগ্ন গোটাগোগামা প্রতিবাদস্থলের এলাকাটি ঘিরে ফেলে। সেখান থেকে তারা বিক্ষাভকারীদের উচ্ছেদ করে ও বেশ কয়েকজন প্রতিবাদী নেতাসহ শতাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করে।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন টেম্পল ট্রিসের সামনে থেকে বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্প থেকে সরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সামরিক হামলা হয়। বিক্ষোভকারীরা ইতিমধ্যেই ২২ জুলাই প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ‘মাঝরাতে আমরা শুনতে পেলাম যে সেনাবাহিনীর একটি বিশাল দল গোটাগোগামার দিকে যাচ্ছে এবং হঠাৎ আমরা তাদের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের দিকে ছুটে যেতে দেখলাম,’ নিপুন চারকা জয়সেকারা, গোটাগোগামায় থাকা একজন তরুণ বিক্ষোভকারী আল জাজিরাকে বলেছেন।
‘শীঘ্রই, তারা এলাকাটি ঘেরাও করে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের নির্মমভাবে আক্রমণ করে যেন আমরা গুণ্ডা,’ তিনি বলেন, সামরিক ক্র্যাকডাউন থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় তিনি সামান্য আঘাত পেয়েছেন। সামরিক আক্রমণ শুরু হওয়ার সাথে সাথে জয়সেকারা এটি লাইভ স্ট্রিম করেন কিন্তু পরে বিশৃঙ্খলায় তার স্মার্টফোনটি হারিয়ে ফেলেন। অনুমান করা হয় যে প্রায় ১০ জন বিক্ষোভকারী হামলার পরে গুরুতর আহত হয়েছেন।
ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বিক্ষোভস্থলে হামলা চালানো হয়। তার পূর্বসূরি, গোটাবায়া রাজাপক্ষে, দেশটির অর্থনৈতিক পতন এবং রাজাপক্ষের পরিবারের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রভাবের উপর জনগণের ক্ষোভের কারণে কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন।
এর পর প্রথমে ভারপ্রাপ্ত এবং পরে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বিক্রমাসিংহে। তবে বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি সাধারণ বিক্ষোভকারীরা। জানা গেছে, তার বিরুদ্ধেও আন্দোলন গড়ে তুলতে জড়ো হচ্ছেন সাধারণ বিক্ষোভকারীরা। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই বিক্রমাসিংহে বিক্ষোভকারীদের হুমকি দিয়েছেন তাদের কঠোর হস্তে দমন করবেন। সূত্র: আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।