পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রী ধর্ষণের বিচার চেয়ে, ছাত্রলীগ সভাপতি কর্তৃক বিচার চাইতে বাধা দেয়ার প্রতিবাদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা বলেন, ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সন্ত্রাস, চাদাবাজী ও ধর্ষণের অখড়া বানিয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে ৫ জন মিলে তার ভিডিও ধারণ করেছে। চবি শাখা ছাত্রলীগের নেতারা সেই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। প্রক্টরের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে চবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল বাধা প্রদান করে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এই নিপীড়নের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করছে আমরা তাদের সাথে আছি। ২৪ ঘন্টার ভিতরে এই কালপ্রিটদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা না হলে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিবাদের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বলে উঠবে।
মোল্লা বলেন, ছাত্রলীগের এক সময়ের গৌরবউজ্বল ইতিহাস থাকলেও আজ তারা সন্ত্রাসী চাদাবাজী আর ধর্ষণের যে মহামারী সারা দেশে ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলা এখন সকলের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে দাড়িয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের একটি বিষয় হচ্ছে আপনি একজনকে শিক্ষামন্ত্রী বানিয়েছেন যার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা নিয়ে দূর্ণীতির অভিযোগ উঠে। এমন একজনকে শিক্ষা উপমন্ত্রী বানিয়েছেন যার অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাদাবাজী আর মাদকের সিন্ডিকেট চালায়, ধর্ষণের চক্র গড়ে তুলে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতারা টাকা নিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে তুলে, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণে সেঞ্চুরি মানিকের কথা এখনো কেউ ভুলে নাই। দুর্নীতির দায়ে শোভন রাব্বানীর পতনের কথা মনে আছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাদের দুর্নীতির খবর দেখা গেলো প্রিতিটি নির্মানকাজে চাদাবাজী করতেছে। নিজের সহকর্মীকে কু প্রস্তাব দেয়। ধৈর্যের একটা সীমা আছে, সহ্যের একটা সীমা আছে। আমাদের মা বোনদের গায়ে হাত দিবে সেটাও আমরা সহ্য করবো এমনটা কখনো সম্ভব নয়। এই জানোয়ারদের জনসমক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, ঢাবি শাখা সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন সহ কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রায় ৩০ জন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।