মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী ২০ জুলাই শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে সর্বদলীয় সরকারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। তার আগে দেশে যেন নতুন কোনো অস্থিরতা শুরু না হয়, সেজন্য রোববার দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।
একই দিন দেশটিতে কমেছে জ্বালানি তেলের দামও। শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ভারতের জাতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, জ্বালানি সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কায় রোববার কমেছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অকটেন ৯২ পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ২০ শ্রীলঙ্কান রুপি কমেছে, অকটেন ৯৫ পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে কমেছে ১০ রুপি।
ফলে রাজধানী কলম্বোসহ সারা দেশে রোববার প্রতি লিটার অকটেন ৯২ পেট্রোল বিক্রি হয়েছে ৪৫০ শ্রীলঙ্কান রুপিতে। আর অকটেন ৯৫ পেট্রোলের দাম হয়েছে ৫৪০ রুপি।
পেট্রোলের পাশাপাশি কমেছে ডিজেলের দামও। সাধারণ ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ২০ রুপি কমে হয়েছে ৪৪০ রুপি এবং সুপার ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ রুপি কমে ৫৪০ শ্রীলঙ্কান রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।
১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর বর্তমানে সবচেয়ে ভয়াবহ আর্থিক সংকট পার করছে শ্রীলঙ্কা। বর্তমানে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বলতে কিছু নেই। ফলে খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যও আমদানি করতে পারছে না দক্ষিণ এশিয়ার ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত ছোট এই দ্বীপরাষ্ট্র।
জ্বালানির অভাবে ডিজেলচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে শ্রীলঙ্কা। সেই সঙ্গে বন্ধ রয়েছে মোটরচালিত যানবাহনও। ফলে একদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকা এবং সেই সঙ্গে যাতায়াত ও পরিবহন সংকটে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ জনগণের।
গত সপ্তাহে অবশ্য জ্বালানি তেলের দু’টি চালান এসে পৌঁছেছে দেশটিতে, কিন্তু পরবর্তী চালান কবে আসবে- তা অনিশ্চিত। এই অনিশ্চয়তারও মূল কারণ রিজার্ভ সংকট।
এদিকে, রিজার্ভ সংকটের প্রভাবে প্রতিদিনই নামছে শ্রীলঙ্কান রুপির মান। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, মার্চ থেকে এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কান রুপির মান ৮০ শতাংশ কমেছে।
এ পরিস্থিতিতে গত মার্চ থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় শ্রীলঙ্কায়। আন্দোলনের চাপে গত মে মাসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে। তারপর গত সপ্তাহে গোপনে দেশ থেকে পলায়ন করেন তার ছোটভাই ও শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। তার দেশ ত্যাগের পর থেকে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।