মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কথিত আর্থিক দুর্নীতি রোধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাঁচশ’ ও এক হাজার রুপির নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত শেষপর্যন্ত দেশটির অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থ সরবরাহের কথা বলে উচ্চমূল্যের নোটগুলোকে তথাকথিত কালো মুদ্রা অখ্যায়িত করে সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু জনগণের হাতে এখনো পুরোপুরিভাবে নতুন নোট তুলে দিতে পারেননি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতি যখন এগুচ্ছে, তখন সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রবৃদ্ধির ওপর নাটকীয়ভাবে ধস নামাতে পারে। বাজারের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে অর্থ, কিন্তু এখনো এর সরবরাহ অপ্রতুল। প্রধানমন্ত্রী ৮৬ শতাংশ নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার তিন সপ্তাহ পরও এ অবস্থা বিরাজ করছে।
অনেক এটিএম বুথ খালি হয়ে আছে এবং ব্যাংকগুলোকে গ্রাহকদের প্রবল প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেকেই এখনো তাদের পুরনো নোট পরিবতন করতে সমর্থ হননি। কৃষকরাও তাদের পণ্য নিয়ে ক্রেতাশূন্য বাজারে হতাশ হয়ে বসে থাকে। এমনকি, রাস্তার পাশের ছোট চায়ের দাকানিদের ব্যবসাও মন্দা যাচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিং বৃহস্পতিবার লোকসভায় বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আন্তত দু’শতাংশ হ্রাস করবে। এদিকে, কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা চেন্নাইয়ে গত ব্যাংকগুলোর সামনে মোদি এবং উচ্চমূল্যের নোট প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং আরো বলেছেন, এ ব্যবস্থাটি করা হয়েছে লুটপাটের জন্য এবং লুটপাটকে বৈধতা দেয়ার জন্য। মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি ল্যারি সামার্স তার ব্লগে লেখেন, দুর্নীতি বন্ধে নতুন পদক্ষেপ না নেয়া হলে মুদ্রা সংস্কার কোনো ফল বয়ে আনবে না। দুর্নীতি তার রূপ পরিবর্তন করে অব্যাহত থাকবে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ভারত যে ৭.১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল, মোদির এ সিদ্ধান্তের কারণে তাতে ভাটা পড়বে। মোদির এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কয়েকদিন আগে নতুন দিল্লিতে বিক্ষোভ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।