পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
আমরা চলার পথে, অনেকসময় দেখি রাস্তার ধারে কিছু ছেলেমেয়ে বসে আছে। কেউবা খেলা করছে আবার কেউ করছে হাঁটাহাঁটি, দৌড়াদৌড়ি। প্রথম দেখায় সবাই ওদের পথশিশু ভাবে। হ্যাঁ, ওরা পথশিশু। ওদের কারো পিতা-মাতা আছে, কারো নেই, আবার কারো পিতামাতা থেকেও নেই। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের যে অনুভূতি, মায়া বা ভালোবাসা থাকা উচিত ছিল, হয়তো ওদের বেলায় ততটুকু পাওয়া হয়নি। এর ফলে ছোটবেলা থেকেই ওরা নিজেদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিজেরাই নিয়ে নেয়। প্রতিটি পথশিশু ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজকর্মে যুক্ত হয়ে পড়ে। আবার কেউ পেটের ক্ষুধা মেটাতো বেছে নেয় অপরাধের পথ। কেউ কাজ করে কলকারখানায়, হোটেলে, চায়ের দোকানে। আবার কেউ যুক্ত হয় ছিনতাই, চুরি-ডাকাতির মতো ভয়াবহ পেশায়। কিন্তু এই পথশিশুরা কারো না কারো সন্তান। সামান্য একটু সুদৃষ্টি পেলে হয়তো পরিবর্তন হতে পারে ওদের ভবিষ্যৎ। অন্ধকার থেকে আলোকিত হতে পারে ওদের জীবন। পথশিশুদের কখনো গালি দেওয়া বা ওদের সাথে খারাপ আচরণ করবেন না। এতে ওদের মনের ভেতরে অন্যরকম একটা ঘৃণা তৈরি হবে। যে ঘৃণার ফলে ওরা বড় বড় অন্যায়-অপরাধ করতেও দ্বিধান্বিত হয় না। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী পথশিশুদের পাশে দাঁড়ান। ওদের একবেলা খাবারের ব্যবস্থা করে হলেও ওদের পাশে দাঁড়ান। অন্তত একজন পথশিশুর দায়িত্ব নিন আপনি। একজনের পড়াশোনা বা চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে পারেন। ওদের নিয়ে ভাববার সময় এখনই। সময় ফুরিয়ে গেলে, তখন আর আফসোস করেও লাভ হবে না। বাংলাদেশে হাজারো শিল্পপতি, বিত্তবান শ্রেণির মানুষ রয়েছে। প্রত্যেকে যদি একটি পথশিশুর দায়িত্ব নেন, তাহলে দেশের কোথাও পথশিশুদের এমন করুণ পরিস্থিতিতে দেখতে হতো না।
ইমরান খান রাজ
শিক্ষার্থী, শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।