Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশকে গরুর গোশত আমদানির অনুরোধ ভারতের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২২, ১২:০০ এএম

গরু আর গরুর গোশত নিয়ে বিপাকে পড়ে গেছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ গরু প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় এখন গরু নিয়ে কৃষকদের চাপের মুখে মোদী। ফলে পুনরায় গোশত আমদানি করার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস। বর্তমানে গোশত আমদানি বন্ধ থাকায় এই পণ্য আমদানির সঙ্গে জড়িত দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

সম্প্রতি এ বিষয়টি সমাধানের অনুরোধ জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের পশু খামারিদের সুরক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ পশুসম্পদ খাতের বিকাশের জন্য ভারত থেকে হিমায়িত গোশত, বিশেষ করে মহিষের গোশত আমদানি বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
ওই চিঠিতে বলা হয়, গত এপ্রিলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা আমদানি নীতি-২০২১-২৪ প্রজ্ঞাপন অনুসারে, হিমায়িত মহিষের গোশতসহ (বৌভাইন) সকল ধরনের গোশত আমদানির জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। এ ঘটনায় ভারতের রফতানিকারক ও বাংলাদেশি আমদানিকারক সমিতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশর আমদানি নীতির পরিবর্তনের কারণে গত কয়েক মাসে কোনো হিমায়িত গরুর গোশত আমদানি না হওয়ায় ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
অল ইন্ডিয়ান বাফেলো অ্যান্ড শিপ মিট এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এআইএমএলইএ) এবং বাংলাদেশ মিট ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমআইটিএ) বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সমাধানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে হিমায়িত হাড়বিহীন গরুর গোশত আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। ফলে এই গোশতের প্রতি কেজির দাম ৪ ডলার থেকে বেড়ে ৫ ডলারে দাঁড়ায়। এই নির্দেশনার ফলে সাফটা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভারতের রফতানিকারকরা।
সেখানে আরও বলা হয়, ভারতীয় কোম্পানিগুলো উচ্চ মান ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রক্রিয়াজাত গোশতের বৃহত্তম রফতানিকারকদের তালিকায় রয়েছে। বাংলাদেশে তাদের কোনো প্রতিযোগী নেই।
বাংলাদেশ এখন গোশত উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে একটি সূত্র জানায়, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৪টি দেশ থেকে হিমায়ত গোশত আমদানি করতে প্রায় ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়। কিছু বিলাসবহুল হোটেলগুলো এ গোশত আমদানি করে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন বার্ষিক চাহিদার বিপরীতে ৮ দশমিক মিলিয়ন টন গোশত উৎপাদন হয়েছে দেশে।
বিশ্বের ১৪টি দেশ থেকে গোশত আমদানি করে বাংলাদেশ, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎস ভারত। অন্যান্য দেশগুলো হলো ইথিওপিয়া, ফ্রান্স, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ইন্দোনেশিয়া।

বাংলাদেশের গোশত ব্যবসায়ী ও খামারিরা বলছেন, ভারত থেকে কোনো ভাবেই গরুর গোশত আমদানি করা যাবে না। এতে দেশের গরু প্রতিপালন করা খামারগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে।



 

Show all comments
  • হামজা ১৬ জুলাই, ২০২২, ১২:২৭ পিএম says : 0
    ভারতের হিন্দুদের এখন গরুর গোশত বেশি করে খাওয়ানো দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ ইছাহক আলী ১৬ জুলাই, ২০২২, ৬:৪৩ পিএম says : 0
    দেশকে গরুসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য উৎপাদনে ও শিল্পজাত পণ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর করার জন্য বিদেশি পণ্য আমদানি ও ব্যবহার বর্জন করা খুব জরুরী। আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। দেশি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। একটু বেশি দামে কিনতে হলেও আমাদের কেনা উচিত। কেবলমাত্র যে পণ্য আমারা একেবারেই উৎপাদন করতে পারি না সেগুলো আমদানি করা যেতে পারে। আর সেগুলোরও দ্রুত উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ভারত খুব রক্ষণশীল। আমাদের পণ্য বর্জন করে।
    Total Reply(0) Reply
  • হামজা ১৬ জুলাই, ২০২২, ১২:২৫ পিএম says : 0
    ফালতু একটা দেশ ভারত।
    Total Reply(0) Reply
  • হামজা ১৬ জুলাই, ২০২২, ১২:২৫ পিএম says : 0
    যখন বাংলাদেশে পর্যাপ্ত গরু ছিল না, তখন তারা গরু দেয়নি। এখন কেনো দিবে, এখন তো আমাদের দেশেই পর্যাপ্ত গরু আছে। আসলে তারা বিপদের সময় উপকার করে না।
    Total Reply(0) Reply
  • আলিফ ১৬ জুলাই, ২০২২, ১২:৪৬ পিএম says : 0
    ভারতের হিন্দুরা না গরুর মুত খাই, তা হলে এখন গরুর গোশত আমদানি করবে কেনো। তারা না গরুকে মা বলে ডাকে। এখন তো দেখি আবার মাকে আমদানি করতে চায়। যতসব ফালতু ভারতের হিন্দুরা। তাদের ভালো কোনো মন মানসিকতা নেই
    Total Reply(0) Reply
  • আমিনুল ১৭ জুলাই, ২০২২, ৯:৪২ এএম says : 0
    ভারত থেকে গরু বা গরুর মাংস আমদানি করা ঠিক হবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • হাফিজুর রহমান ১৮ জুলাই, ২০২২, ১২:৫৯ এএম says : 0
    যে সমস্ত প্রাণী আল্লাহর নামে জবাই করা হয় না ঐ সব প্রাণীর মাংস খাওয়ার জন্য জায়েজ হবে না। আর হিন্দু ধর্মালম্বিরা তো আল্লাহর নামে জবাই করে না তা হলে ঐ প্রাণীর মাংস খাওয়া হারাম। অতএব ঐ সমস্ত পাণীর মাংস আমদানি না করাই শ্রেয়। তবে দাদাদের খুশি করার জন্য আমরা কত কিছুই না করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • হামজা ১৬ জুলাই, ২০২২, ১২:২৩ পিএম says : 0
    ভারত না গরুকে মা বলে, এখন কেনো তারা গরুর গোশত আমদানি করার অনুরোধ করবে
    Total Reply(0) Reply
  • আকিব ১৬ জুলাই, ২০২২, ১২:৪৭ পিএম says : 0
    মোদি সরকার সব সময় অস্থিশীলতা চায়। ফলে তারা ভালো জিনিস চায় না
    Total Reply(0) Reply
  • Rejwanul Haque Raju ১৬ জুলাই, ২০২২, ৬:৫৬ পিএম says : 0
    কোনভাবেই ভারত থেকে গরু বা মাংস আমদানি করা ঠিক হবে না। দেশের খামারিদের বাচাতে হবে। ডলার সংকটতো আছেই।
    Total Reply(0) Reply
  • কামরুল ১৭ জুলাই, ২০২২, ৬:৫৩ পিএম says : 0
    সংবাদ হতে জানা গেল, ভারতীয় হিন্দুরা পয়সার জন্য তাদের "মা" গরুর মাংস রপ্তানি করতে মুসলমানদের পায়ে পড়তে রাজী; যে মুসলমানদের তারা হত্যা করে এই গরুর জন্যই।
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ১৭ জুলাই, ২০২২, ৫:৩০ পিএম says : 0
    বাংলাদেশি হিন্দুত্ববাদী সরকার বিজেপির ভায়রাভাই আমাদের দেশটাকে ইন্ডিয়ার কাছে বিনা পয়সায় বিক্রি করে দিয়েছে ইন্ডিয়া আমাদের দেশ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ইনকাম করে এখন আবার গোশত পাঠাতে চায় খবরা-খবর দা আপনাদের সাহস বাড়ছে এখন আকাশচুম্বী হয়ে গেছে ইনশাল্লাহ আল্লাহ তাদেরকে ফেলে দিবে আমাদের দেশের সম্পদ কে ধ্বংস করার জন্য আপনারা আবার উঠে পড়ে লেগেছেন এটা কখনোই হতে দেওয়া যাবে না
    Total Reply(0) Reply
  • আবেদ ১৭ জুলাই, ২০২২, ৮:৩৮ পিএম says : 0
    অমুসলিমদের হাতে বা মেশিনে জবাইকৃত পশুর গোস্ত খাওয়া আমাদের ঠিক হবেনা
    Total Reply(0) Reply
  • M.D Aktah Hosen ১৮ জুলাই, ২০২২, ৩:৪০ পিএম says : 0
    বিশেষজ্ঞের মতামত চাই, দেশে গরু অপর্যাপ্ত হলে গরু আনা যেতে পারে। গোশত নয় । কারণ গায়রুল্লাহর নামে জবাই হলে ?
    Total Reply(0) Reply
  • SOJOL ২২ জুলাই, ২০২২, ৮:২৭ এএম says : 0
    GORUR GOST EKHON 700 TAKA KICHU DIN PORE HOBE 800/900 TAKA.EKHANE KRETADER SARTHO KE DEKHBE TAI GORUR GOST AMDANI KORA HOK .
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ