পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গরু আর গরুর গোশত নিয়ে বিপাকে পড়ে গেছে ভারতের হিন্দুত্ববাদী নরেন্দ্র মোদী সরকার। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ গরু প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় এখন গরু নিয়ে কৃষকদের চাপের মুখে মোদী। ফলে পুনরায় গোশত আমদানি করার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস। বর্তমানে গোশত আমদানি বন্ধ থাকায় এই পণ্য আমদানির সঙ্গে জড়িত দুই দেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দূতাবাসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
সম্প্রতি এ বিষয়টি সমাধানের অনুরোধ জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ভারতীয় দূতাবাস। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দেশের পশু খামারিদের সুরক্ষা এবং অভ্যন্তরীণ পশুসম্পদ খাতের বিকাশের জন্য ভারত থেকে হিমায়িত গোশত, বিশেষ করে মহিষের গোশত আমদানি বন্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
ওই চিঠিতে বলা হয়, গত এপ্রিলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জারি করা আমদানি নীতি-২০২১-২৪ প্রজ্ঞাপন অনুসারে, হিমায়িত মহিষের গোশতসহ (বৌভাইন) সকল ধরনের গোশত আমদানির জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদফতর থেকে পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। এ ঘটনায় ভারতের রফতানিকারক ও বাংলাদেশি আমদানিকারক সমিতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশর আমদানি নীতির পরিবর্তনের কারণে গত কয়েক মাসে কোনো হিমায়িত গরুর গোশত আমদানি না হওয়ায় ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
অল ইন্ডিয়ান বাফেলো অ্যান্ড শিপ মিট এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (এআইএমএলইএ) এবং বাংলাদেশ মিট ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমআইটিএ) বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সমাধানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জাতীয় বাজেটে হিমায়িত হাড়বিহীন গরুর গোশত আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। ফলে এই গোশতের প্রতি কেজির দাম ৪ ডলার থেকে বেড়ে ৫ ডলারে দাঁড়ায়। এই নির্দেশনার ফলে সাফটা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভারতের রফতানিকারকরা।
সেখানে আরও বলা হয়, ভারতীয় কোম্পানিগুলো উচ্চ মান ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে প্রক্রিয়াজাত গোশতের বৃহত্তম রফতানিকারকদের তালিকায় রয়েছে। বাংলাদেশে তাদের কোনো প্রতিযোগী নেই।
বাংলাদেশ এখন গোশত উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে একটি সূত্র জানায়, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৪টি দেশ থেকে হিমায়ত গোশত আমদানি করতে প্রায় ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়। কিছু বিলাসবহুল হোটেলগুলো এ গোশত আমদানি করে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ৭ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন বার্ষিক চাহিদার বিপরীতে ৮ দশমিক মিলিয়ন টন গোশত উৎপাদন হয়েছে দেশে।
বিশ্বের ১৪টি দেশ থেকে গোশত আমদানি করে বাংলাদেশ, এর মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎস ভারত। অন্যান্য দেশগুলো হলো ইথিওপিয়া, ফ্রান্স, কোরিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এবং ইন্দোনেশিয়া।
বাংলাদেশের গোশত ব্যবসায়ী ও খামারিরা বলছেন, ভারত থেকে কোনো ভাবেই গরুর গোশত আমদানি করা যাবে না। এতে দেশের গরু প্রতিপালন করা খামারগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।