মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিজের জোটভুক্ত দল ফাইভ স্টারের সমর্থন হারানোর পর প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা চেয়ে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্তন প্রধান মারিও ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইতালির ঐক্য সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ঐক্য সরকারকে টিকিয়ে রাখার অবস্থা আর নেই। তবে মারিও দ্রাঘির পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলা। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
করোনা মহামারিতে পর্যুদস্ত ইতালিকে পুনর্গঠনের জন্য গত বছর মারিও দ্রাঘিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেলা। তিনি পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট চিত্র তুলে ধরার জন্য দ্রাঘিকে সংসদে ভাষণ দেওয়া আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে দ্রাঘি তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টাবেন কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে মারিও দ্রাঘি আগামী বুধবারে পার্লামেন্টে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি পর্যাপ্ত সমর্থনসহ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছেন না—সম্প্রতি এমন অভিযোগ তোলেন ফাইভ স্টার নেতা জিউসেপ কন্টে। তিনি ব্যবসার জন্য সরকারের ২৩ বিলিয়ন ইউরোর অর্থনৈতিক সহায়তা প্যাকেজে সমর্থন দিতেও অস্বীকৃতি জানান। এরপর থেকেই জোটের মধ্যে সংকট ঘনীভূত হতে শুরু করে।
তবে অন্য দলের সমর্থনে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবারের ভোটে জিতে গেছেন মারিও দ্রাঘির সরকার। তারপরও ‘সুপার মারিও’ নামে পরিচিত মারিও দ্রাঘি বারবার সতর্ক করে বলেছেন, ফাইভ স্টারের সমর্থন ছাড়া সরকার চলতে পারে না।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পদত্যাগপত্র দেওয়ার আগে মারিও দ্রাঘি প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট মাত্তারেলার সঙ্গে। তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ চিন্তার কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্টকে। তারপর পদত্যাগের বিবৃতি দিয়েছেন।
২০২৩ সালের প্রথম দিকে ইতালিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু তার আগেই যদি সরকার পতন হয়, তাহলে এই শরতেই একটি ভোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে বামপন্থী দলগুলো খুব একটা আগ্রহী না হলেও ডানপন্থী বেশ কয়েকটি দল আগাম নির্বাচনে আগ্রহী। সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।