পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘মানুষের পাশে দাঁড়ানোই বিএনপির রাজনীতি’ উল্লেখ করে বন্যার্তদের কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত বিএনপিকে তাদের পাশে থাকতে বলেছেন দলটির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গত রোববার রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় দলের চেয়ারপারসনের সাথে সাক্ষাতের পর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের কাছে একথা জানান। খালেদা জিয়া দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে রাত সাড়ে ৮টায় মহাসচিবের নেতৃত্বে স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সেলিমা রহমান গুলশানের ‘ফিরোজা’য় প্রবেশ করেন। দেড় ঘন্টা সাক্ষাত শেষে রাত ১০টায় তারা বেরিয়ে আসেন।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান যুক্তরাষ্ট্র এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু নিজ নির্বাচনী এলাকায় থাকায় এই সাক্ষাতে তারা অনুপস্থিত ছিলেন। সর্বশেষ গত রমজানের ঈদে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের দলের চেয়ারপারসনের সাথে সাক্ষাত করেন।
সাক্ষাত শেষে বেরিয়ে এসে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনায় যেখানে বন্যায় মানুষ প্লাবিত হয়েছে, এই দুর্গত মানুষের খবর আমাদের কাছ থেকে তিনি নিয়েছেন। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, তোমরা যেভাবে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছো ঠিক সেভাবেই তোমরা বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে থাকবে তাদের কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত। তিনি মনে করেন বন্যার্তদের সেবা করা মানে হচ্ছে মানুষের সেবা করা এবং এটাই রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ডাক্তাররা যারা তার চিকিৎসা করছে তারা সবাই বার বার করে বলেছেন যে, তার (খালেদা জিয়া) উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে উন্নত চিকিৎসা দরকার, যেটা বাংলাদেশে নেই।যে কারণে তারা (চিকিৎসকরা) মনে করেন যে, ম্যাডামের যদি সত্যিকার অর্থে সম্পূর্ণ রোগমুক্ত করার জন্য চিকিৎসা করতে হয় তাহলে সেটা অবশ্যই দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়া প্রয়োজন। আমরা সেই কথা আবারো আপনাদের কাছে তুলে ধরছি।
সাক্ষাতে দেশের রাজনীতি নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনি আমাদের দলের প্রধান, দলের চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, তিনি তিন বার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এখনো তিনি দেশের চলমান যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন তার খোঁজ-খবর রাখছেন। তিনি মনে করেন যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ তারা নিশ্চয়ই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।