পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্যায় জনগণ অনেক কষ্টের মধ্যে দিন পার করেছেন। তারপরও বন্যাদুর্গত এলাকায় পানি কমে যাওয়ায় কিছুটা ঈদের আনন্দ দেখা গেছে বলে দাবি করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। সারাদেশে ১৭ মে থেকে গতকাল পর্যন্ত বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬ জন। এ সময়কালে বন্যাকবলিত এলাকায় বন্যাসৃষ্ট দুর্ঘটনা ও বিভিন্ন রোগে এদের মৃত্যু হয়। সবচেয়ে বেশি ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ তিনি এ দাবি করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বানভাসি মানুষদের প্রতি সমবেদনা জানাই। আমরা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় পাশে থাকব। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমাদের কাছে চলে এসেছে। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে এটি কম্পাইল করছি। সংবাদ সম্মেলন করে কোন জায়গায় কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটি জানাতে পারব। আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতি পূরণে একটি ত্বরিত উদ্যোগ নেব। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য, চাল, টিন, গৃহনির্মাণ সামগ্রী রয়েছে। তিনি বলেন, বানভাসি মানুষ যাতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সে জন্য আমরা পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা দিয়েছি। নগদ অর্থ সহায়তাও দিয়েছি। ঈদ উপলক্ষে আমরা নগদ ২ কোটি টাকা দিয়েছি, ১ হাজার মেট্রিক টন চাল দিয়েছি, চার হাজার বান্ডেল টিন দিয়েছি, ১ কোটি ২০ লাখ টাকা গৃহনির্মাণ মজুরি বাবদ দিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আছে, অতিরিক্ত কিছু লাগলে সেটি চাইলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে বরাদ্দ দেন। সিলেট-সুনামগঞ্জে যখন বন্যা চলছিল আমাদের জিআর নগদ টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল, আমরা ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলাম তিনি পরদিন ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ৫ হাজার ৫০০ জনকে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন। ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন সিলেট ও সুনামগঞ্জে। আরেক দফায় তিনি এ অর্থ বরাদ্দ দেবেন।
চলতি বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে এনামুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্টগুলো এসেছে। এগুলো কম্পাইল না করে সঠিক তথ্য দেয়া যাবে না। ত্রাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে, নগদ অর্থ আছে, কাপড়, টিনসহ সবকিছুই আছে। যে পরিমাণ প্রয়োজন হবে সে পরিমাণ ত্রাণ দেয়ার সক্ষমতা আছে।
গতকাল সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে গত ১৭ মে থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬ জন। এ সময়কালে বন্যাকবলিত এলাকায় বন্যাসৃষ্ট দুর্ঘটনা ও বিভিন্ন রোগে এদের মৃত্যু হয়। সবচেয়ে বেশি ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৭ মে থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত বন্যায় রংপুর বিভাগে ১২, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০, সিলেট বিভাগে ৬৩ জন, ঢাকা বিভাগে ১ জনসহ মোট ১১৬ জনের মৃত্যু হয়। সোমবার (১১ জুলাই) পর্যন্ত বন্যাজনিত বিভিন্ন রোগে ১৬ হাজার ৪০৭ জন আক্রান্ত থাকলেও মঙ্গলবার তা বেড়ে ১৬ হাজার ৯৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৫৪৭ জন। এতে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫৪ জন। এ ক্ষেত্রে কারো মৃত্যুর খবর নেই।
বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছে ১৫ জন, যাদের মধ্যে ১৫ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন ২০ জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। জেলাভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে সুনামগঞ্জ। ১৭ মে থেকে ৪ জুলাইয়ের মধ্যে এখানে ২৯ জনের মৃত্যু হয়। সিলেট জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। হবিগঞ্জ জেলায় ৬ ও মৌলভীবাজারে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। নেত্রকোনায় ১৮ জন ও জামালপুরে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। ময়মনসিংহে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও শেরপুরে মারা গেছে ৭ জন, কুড়িগ্রামে ৫ জন ও লালমনিরহাটে ৭ জন। টাঙ্গাইলে মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।