গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টায় ঈদুল আজহার প্রথম জামাত শুরু হয়। এতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
ঈদের প্রধান এই জামাতে অংশ নেন প্রধান বিচারপতির হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটির (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
নামাজ শেষে খুৎবাহ দেন ইমাম। পরে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এর আগে রোববার সকাল থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কোরবানির ঈদের প্রধান জামাত পড়তে মুসল্লিরা ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করেন। পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে দিয়ে তিনটি চেকপোস্টের মধ্য দিয়ে ঈদগাহ ময়দানে যান মুসল্লিরা।
ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে র্যাব-পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে। ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিদের তিন জায়গায় তল্লাশি করার পরই ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এরআগে সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। এতে ইমামতি করেন সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বিরের দায়িত্ব পালন করেন হাফেজ আতাউর রহমান।
নামাজ আদায়ের জন্য ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোর সাড়ে ৫টা থেকে জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে ভিড় করেন মুসল্লিরা। ঈদের নামাজ শেষে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।
নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।